দ্বি-মাসিক প্রতিবেদন
৪র্থ টার্ম কার্যক্রম
সময়কাল: ১২/০২/২০২০
তারিখ হতে ১৮/০২/২০২০ তারিখ পর্যন্ত।
প্রতিবেদনটি লেখার দুইটা নমুনা নিচে দেওয়া হলো
ডিপিএড প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে চতুর্থ
টার্মের কার্যক্রমে অংশগ্রহনের জন্য নিজ বিদ্যালয়ে গত ০১-০১-২০২০২ তারিখে যোগদান করি।
০১-০১-২০২০ তারিখ হতে ২৯-০২-২০২০ তারিখ পর্যন্ত বেজলাইন মূল্যায়ন, পাক্ষিক পাঠ পরিকল্পনা
প্রণয়ন,দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন, উপকরণ তৈরি ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি।
গণিত বিষয়ঃ প্রথম পাক্ষিকে দ্বিতীয় শ্রেণির প্রাথমিক গণিত
ছিল।এই বিষয়ে স্থানয়িমান, সংখ্যার তুলনা এবং ক্রমবাচক সংখ্যা নিয়ে শ্রেণি কর্যক্রম
পরিচালনা করি। শ্রেণি কক্ষে আন্তরিকতার সহিত পাঠদান করায় শিক্ষার্থীরা পাঠগুলি সহজে
ভালোভাবে আয়ত্ব করায় শিক্ষার্থীরা পাঠগুলি সহজে ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পেরেছে। কতিপয়
শিক্ষার্থী ভালো করতে না পারলেও সামগ্রিক ভাবে ভালো করেছে বলে আমি মনে করি।
দ্বিতীয় পাক্ষিকে প্রথম শ্রেণির গণিত বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম
পরিচালনা করি। গণিত বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে বাস্তব উপকরণের ব্যবহার
বেশি করেছি। প্রথম শ্রেণির গণিত বিষয়ে শিশুরা পাঠগুলি ভালোমত বুঝতে পেরেছে। ১ থেকে
৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলির যোগ উপকরণ ব্যবহার করে ভালো ভাবে করতে পেরেছে। যথাযথ বাস্তব
উপকরণ ব্যবহার করে গণিত বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা কররে শিক্ষার্থীরা সহজে বিষয়বস্তু
আয়ত্ব করতে পারবে বরে মনে করি।
ইংরেজিঃ পথম পাক্ষিকে তৃতীয় শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান
করি। এই বিষয়ে Greeting and introduction নিয়ে পাঠদান করি। Questions and answers,
pair work ইত্যাদি কৌশল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের Greeting and introduction এর উপর
শিখন ফল অর্জন করতে সহযোগিতা করি। শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে সাবলিল ভাবে প্রশ্ন উত্তর
করতে পেরেছে। ইংরেজি বই দেখে শব্দ পড়া, বাক্য পড়ায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলে আমি বেশি
বেশি শব্দও বাক্য পড়ানোর উপর জোর দিয়।
দ্বিতীয় পাক্ষিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম
পরিচালনা করি। এখানে number ও Alphabet নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করি। শিক্ষার্থীরা
সক্রিয় ভাবে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করায় পাঠ পরিচালনা করা আমার সহজ হয়। এই বিষয়ে
শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যে সব উপকরণ ব্যবহার করি তা দেখে শিক্ষার্থীরা
মনোযোগি হয় এবং প্রশ্ন করতে উৎসাহিত হয়। সব মিলিয়ে সন্তোষজনক ভাবে পাঠগুলি শেষ করতে
পেরেছি।
বিজ্ঞান বিষয়ঃ প্রথম পাক্ষিকে চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি। বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদানের সময় পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণ ব্যবহার, দলীয় আলোচনা বিষয়বস্তু
আলোচনা, নীরব পাঠ, প্রশ্নোত্তর
ইত্যাদি পদ্ধতি অনুযায়ী পাঠদান করি। বাস্তব জিনিসের সাথে শিক্ষার্থীদের
পরিচয় করে দিয়। পাক্ষিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে লক্ষ্য করি শিক্ষার্থীরা শ্রেণি পাঠদান
অনুযায়ী পাক্ষিক মূল্যায়নের ভালো করতে পারছেনা। এ জন্য তাদের বাড়িতে আগের পাঠ দেখার
জন্য উৎসাহ যোগাতে চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ঃ দ্বিতীয় পাক্ষিকে তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি। সমাজের বিভিন্ন পেশা মানুষের গুণ ও সামাজিক পরিবেশের
উন্নয়ন এসব অধ্যায় নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি। এই বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম
পরিচালনার সময়, উপকরন ব্যবহার, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি, বিষয়বস্তু আলোচানা দলীয় আলোচনা,
জোড়ায় কাজ, নীরব পাঠের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি। শিক্ষর্থীরা পাঠে সক্রিয়
ভাবে অংশগ্রহণ করায় শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হয়। পাক্ষিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা
ভালো করেছে।
বাংলাবিষয়ঃ প্রথম পাক্ষিকে প্রথম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা
করি। বছরের প্রথম দিকে বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠা হতে করো পাতা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান
কর্ উপকরণ ও ছবি ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করায় শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভাবে
পাঠে অংশগ্রহণ করে। পাক্ষিক মূল্যায়নে তাদের ফলাফল ছিল সন্তোষ জনক।
দ্বিতীয় পাক্ষিকে চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে পাঠদান করি। আজকে আমার ছুটি চায়
এবং বীরশ্রেষ্ঠদের বীরগাথা অধ্যায় সমুহের উপর শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করি। উপকরণ
ব্যবহার, শিক্ষকের আদর্শ পাঠ, মুক্ত বর্ণ বিশ্লেষণ, জাটিল শব্দের ব্যবহার, বিষয়বস্তু
আলোচনা বাক্য দিয়ে শব্দ তৈরি, জোড়ায় সরব পাঠ ও দলীয় আলোচনার মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম
পরিচালনা করি। পাক্ষিক মূল্যায়নের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেছে।
উল্লেখিত বিষয় গুলি নিয়ে সান্তোষজনক ভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচারনা করতে সক্ষম
হয়েছি। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি মাঝে মাঝে আমি দৈনিক সমাবেশ পরিচালনা করেছি।
দৈনিক সামাবেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য ভূল ছিল আমি তা সংশোধন করে
দিয়েছি। এক থেকে ষোল নং পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যায়ম করিয়েছি।
পরিশেষে একথা বলতে পারি যে, প্রতিদিন নির্ধারিত কাজ গুলি নিজে করায় উক্ত কাজগুলি
আমার কাছে সহজ হয়েগেছে। শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার সময় কোন সমস্যার সম্মুখিন হলে প্রধান
শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সহযোগিতায় সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী পাক্ষিক গুলিতে
সংশিষ্ট বিষয়ে পদ্ধতিগত ভাবে এবং আন্তরিকতার সাথে শ্রেণি কার্যকৃম পরিচালনা করতে পারবো
বলে আশা করি।
ডিপিএড ৪র্থ টার্ম সহ ডিপিএডের অন্য সকল তথ্য জানতে এই সাইটে ভিজিট করুন। এবং সাইটের ফেজবৃক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন।
Tags:
ডিপিএড সম্পর্কিত