ব্যায়ম কী?
ব্যায়ম হচ্ছে শারীরিক কসরত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চলাচল করানো।
ব্যায়ম দুই প্রকার, যথা: ১.মুক্ত হস্ত ব্যায়াম। ২. সরঞ্জামযুক্ত ব্যায়ম
মুক্ত হস্ত ব্যায়াম কী?
ব্যায়াম মানুষের মন, শরীরকে মজবুত ও নিরোগ রাখে। কোনো সরঞ্জাম বিহীন একই স্থানে থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যে ব্যায়াম করা হয় তাকে মুক্ত হস্ত ব্যায়াম বলে। শরীরের বিশেষ বিশেষ প্রধান অঙ্গ যেমন হাত পা পিঠ, ধড় তলপেট ইত্যাদিকে কর্মক্ষম ও উপযুক্ত রাখার জন্য এই ব্যায়াম চর্চা করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুরা এই ব্যায়াম পূর্ণ অনুশীলন করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, প্রত্যঙ্গগুলো যথাযথ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর ও মন সতেজ থাকবে।
পায়ের ব্যায়াম :
বাহু ও কাঁধের ব্যায়াম :
মাথা ও ঘাড়ের ব্যায়াম :
ব্যায়াম (ভারসাম্য রক্ষা) :
ছোট ছোট সরঞ্জাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো সঞ্চালন করা হলো ভারসাম্য রক্ষা ব্যায়াম।
স্কিপিং রোপ (দড়ির লাফ) দড়ির সাহায্যে ছোট লাফ দেওয়া শরীর গঠনে উপকারী এবং আনন্দ দায়ক।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই ধরনের ব্যায়াম, সরঞ্জাম বিহীন বা ছোট ছোট সরঞ্জাম দিয়ে খেলাধুলা অনুশীলন করালে তাদের মধ্যে এক ধরনের সফলতা বা কৃতকার্যতা উপলব্ধি করা যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দ, তৃপ্তি ও স্ফুর্তি পায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য ব্যায়ম কী? মুক্ত হস্ত ব্যায়াম কী? পায়ের ব্যায়াম, বাহু ও কাঁধের ব্যায়াম, মাথা ও ঘাড়ের ব্যায়াম, সমন্বয়ক মূলক ব্যায়াম, ব্যায়াম (ভারসাম্য রক্ষা) :
ব্যায়ম হচ্ছে শারীরিক কসরত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চলাচল করানো।
ব্যায়ম দুই প্রকার, যথা: ১.মুক্ত হস্ত ব্যায়াম। ২. সরঞ্জামযুক্ত ব্যায়ম
মুক্ত হস্ত ব্যায়াম কী?
ব্যায়াম মানুষের মন, শরীরকে মজবুত ও নিরোগ রাখে। কোনো সরঞ্জাম বিহীন একই স্থানে থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যে ব্যায়াম করা হয় তাকে মুক্ত হস্ত ব্যায়াম বলে। শরীরের বিশেষ বিশেষ প্রধান অঙ্গ যেমন হাত পা পিঠ, ধড় তলপেট ইত্যাদিকে কর্মক্ষম ও উপযুক্ত রাখার জন্য এই ব্যায়াম চর্চা করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুরা এই ব্যায়াম পূর্ণ অনুশীলন করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, প্রত্যঙ্গগুলো যথাযথ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর ও মন সতেজ থাকবে।
পায়ের ব্যায়াম :
- পা কিছুটা ফাঁক করে কোমড়ে দুই হাত দিয়ে দাঁড়ান : এবার পা দুটো সামনে পিছনে নিয়ে লাফ দিন। এভাবে বেশ কয়েকবার বাঁশির সাহায্যে তালে তালে ব্যায়ামটি করুন।
- কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়ান : দুই পা পাশে ফাঁক করে পরে একত্র করে লাফান। বাঁশির সাহায্য বা সংখ্যা দিয়ে তালে তালে ব্যায়ামটি করুন।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : এবার দুই পা একত্র করে উপরে লাফ দিয়ে হাঁটু ভাজ করে বুকের সাথে মিলানোর চেষ্টা করুন। এভাবে এই ব্যায়ামটি তিন/চার বার করুন।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : এবার বাম ডান করে পা উঠা নামা করান। এভাবে বাঁশির সাহায্যে তালে তালে ব্যায়ামটি করুন।
বাহু ও কাঁধের ব্যায়াম :
- কিছুটা পা ফাক করে দুই হাতের কনুই ভাঁজ করে হাতের আঙ্গুল গুলো কাঁধের উপরে রাখুন এবার ডান হাত কাঁধ বরাবর সোজা করুন আবার ভাজ করে কাঁধে আঙ্গুল রাখুন। এভাবে ডান হাতের পর বাম হাতের ব্যায়ামটি করুন। এই ব্যায়ামটি বাঁশির তালে তালে কয়েক বার করা যায়।
- কিছুটা পা ফাক করে দাঁড়ান : এবার ডান হাত মাথার উপরে নিন পরে বাম হাত মাথার উপরে নিয়ে তালি দিন এবং ডান হাত নিচে নিয়ে আনুন। এই ব্যায়ামটি বাঁশির সাহায্য তালে তালে করা যেতে পারে।
- কিছুটা পা ফাঁক করে দাঁড়ান : এবার দুই হাত একত্রে মাথার উপরে নিয়ে তালি দিন এবং নামিয়ে আনুন। এই ব্যায়ামটি বাঁশির সাহায্য তালে তালে কয়েক বার করা যায়।
- কিছুটা পা ফাঁক করে দাঁড়ান : এবার দুই হাত সামনে কাঁধ বরাবর সোজা করুন এবং নিচে নামিয়ে আনুন। এই ব্যায়ামটি বাঁশির সাহায্য কয়েকবার তালে তালে করা যেতে পারে।
মাথা ও ঘাড়ের ব্যায়াম :
- সোজা হয়ে দাড়িয়ে মাথা সামনে ও পিছনে ঝুঁকান। এভাবে ব্যয়ামটি কয়েক বার করা যেতে পারে।
- হাত কোমড়ে রেখে পা ফাক করে দাঁড়ান :। ঘাড় ও মাথাসহ শরীরের উপর অংশ তালে তালে বামে ও ডানে ঘুরান। এভাবে ব্যয়ামটি কয়েক বার করা যেতে পারে।
- সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বামে ও ডানে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘাড়ের পিছনের অংশ দেখার চেষ্টার করুন।
- দুই পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে দুই হাত বুকের কাছে নিয়ে এবার হাতের কুনই সোজা রেখে বাম হাত যতদূর সম্ভব পিছনে নিন। একই সাথে ঘাড় ডান দিকে ঘুরিয়ে ঘাড়ের পিছনের দিক দেখতে চেষ্টা করুন।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : দুই পা ফাঁক করে এবং দুই হাত কাঁধ বরাবর তুলে বাঁশির সাহায্যে তালে তালে লাফাতে থাকুন।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : দুই পা ফাঁক করে এবং দুই হাত মাথার উপরে তুলে তালি দিয়ে তালে তালে লাফাতে থাকুন। এটি বাঁশির সাহায্যে করা যায়।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : দুই পা ফাঁক করে এবং দুই হাত পাশে মাথার উপরে তুলে তালি দিয়ে তালে তালে বাঁশির সাহায্যে ব্যায়ামটি করা যেতে পারে।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান : এবার বাঁশির সাহায্যে তালে তালে হাঁটুর নিচে ও মাথার উপরে হাত তালি দিয়ে ব্যায়ামটি করুন।
ব্যায়াম (ভারসাম্য রক্ষা) :
ছোট ছোট সরঞ্জাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো সঞ্চালন করা হলো ভারসাম্য রক্ষা ব্যায়াম।
স্কিপিং রোপ (দড়ির লাফ) দড়ির সাহায্যে ছোট লাফ দেওয়া শরীর গঠনে উপকারী এবং আনন্দ দায়ক।
- এক পায়ে লাফানো : দুহাতে দড়ির দুপ্রান্ত ধরে দড়ি ঘুরানোর সময় এক পায়ে লাফাতে হবে। মাঝে মাঝে পা বদল করে নিতে হবে।
- জোড়া পায়ে লাফানো : দুহাতে দড়ির দুপ্রান্ত ধরে দড়ি ঘুরানোর তালে তালে জোড়া পায়ে লাফাতে হবে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফানো যাবে বা চলতে চলতে অনুশীলন করা যায়।
- লাফাতে লাফাতে সঙ্গী দলভূক্ত করা : একজনে দড়ি ঘুরাবে এবং একাধিক জন দড়ি মধ্যে তালে তালে লাফাতে থাকবে।
সঙ্গী দলভুক্ত করা
বাঁশ বা বেতের চাকার সাহায্যে ব্যায়াম :- বেতের চাকা শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ধরা, চাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া আসা, চাকার উপর দিয়ে লাফানো এবং চাকাটি কোমড়ে আটকে চারদিকে ঘুরানো ইত্যাদি অনেকগুলো ব্যায়াম করা যায়।
- সামনে চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দৌড়ানো।
- মেঝেতে চাকা ফেলে রেখে এর ভিতর দিয়ে , বাহির দিয়ে বা পরপর ভিতর দিয়ে এক পায়ে, দুপায়ে এক সাথে করে বা হাঁটু ভেঙ্গে লাফানো বা দৌড়ানো
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই ধরনের ব্যায়াম, সরঞ্জাম বিহীন বা ছোট ছোট সরঞ্জাম দিয়ে খেলাধুলা অনুশীলন করালে তাদের মধ্যে এক ধরনের সফলতা বা কৃতকার্যতা উপলব্ধি করা যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দ, তৃপ্তি ও স্ফুর্তি পায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য ব্যায়ম কী? মুক্ত হস্ত ব্যায়াম কী? পায়ের ব্যায়াম, বাহু ও কাঁধের ব্যায়াম, মাথা ও ঘাড়ের ব্যায়াম, সমন্বয়ক মূলক ব্যায়াম, ব্যায়াম (ভারসাম্য রক্ষা) :
Tags:
প্রাথমিক শিক্ষা