সপ্তম (৭ম) শ্রেণি কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট (৩য় সপ্তাহ) প্রশ্নের সমাধান ২০২০
বিষয়ঃ কৃষি
শিরোনামঃ ১ম অ্যাসাইনমেন্ট কৃষিশিক্ষা
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক) বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ এবং আমরা জানি বাংলাদেশ ব-দ্বিপ অঞ্চল। সুজলা-সুফলা শস্য-শামলা আমাদের এ বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ৪০৫ টি নদী । নদী মাতৃক এ দেশের উর্বর ভূমিতে প্রচুর ফসল ফলে । বিশেষ করে ধান, গম, পাট, ভুট্রা, আলু ইত্যাদি | সেই হিসেবে আদিকাল থেকে প্রচুর ধান উৎপন্ন হত এখানে এবং এদেশের মানুষ আদিকাল থেকে ভাত খেয়ে আসছে। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য ভাত। অন্যদিকে নদীর দেশ বাংলাদেশ ।এদেশের, নদীতে রয়েছে প্রচুর মাছ ।যেমন: রুপচাদা, লইটা: রুই, কাতলা মুগেল,চিতল, বোয়াল, শোল, কৈ-, শিং, মাগুর সহ আরো নানা জাতের মাছ । এসব মাছ সব নদীতে পাওয়া যায় বলে জীবন ও জীবিকার জন্য এখানকার মানুষ এর ওপর নির্ভরশীল । আর তাই আমাদের মাছে ভাতে বাঙালী বলা হয়।
খ) সমাজ গঠনে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম | নিচে তা আলোচনা করা করো- কৃষিকাজকে পুজি করে আমাদের সমাজ গঠনের সৃচনা হয়েছিল | কৃষিকাজ করার আগে মানুষ গুহায় বাস কারত। কৃষির কারণে মানুষ বেশি বেশি সচেতন হয়। মানুষ প্রথমে পশু শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। পরে পশু শিকার বাদ দিয়ে কৃষিকাজ করা শুরু করে। এবং কৃষি পণ্য বিনিময় করার জন্য বাজার ব্যবস্থা চালু করে। এবং কৃষি উত্তত করার জন্য তারা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। কৃষি মানুষকে শেখায় কিভাবে মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হয়। কিভাবে মানুষের সাথে আচরণ করতে হয়। তাই বলা যায় কৃষিকাজ সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
গ) যে সকল উপায়ে সেচের পানির অপচয় হয় তা লিচে উল্লেখ করা হলো-
- বাস্পীভবন
- পানির অনুস্রাবণ
- পানি চুয়ানো
বাষ্পীডবনঃ সূর্যের তাপে প্রতিনিয়ত খাল-বিল, নদী, নালা থেকে যেভাবে পানি বাষ্পীভূত হচ্ছে তেমনি ফসলের জমির পানিও বাষ্পীভূত হচ্ছে । পানির এই বাস্পীভবন রোধ করা কঠিন। তবে সয়ম মতো এবং পরিমাণমতো পানি সেচ দিতে হবে যাতে ফসল নিজ প্রয়োজনে পানি গ্রহণ করতে পারে!
পানির অনুস্রাবণঃ পানি বিন্দু আকারে সেচের পানি মাটির নিচে দিকে চলে যাওয়াকে পানির অনুস্রাবণ বলে। অনুস্রাবণের মাধামে সেচের পাসির অপচয় হয়। সেচের নালা বা জমি শক্ত হলে পানির অপচয় বেশি হয়। অতএব, নালা বা জজির নিচ নরম করে পানির অপচয় রোধ করা যায়।
পানি চুয়ানোঃ পানি চুয়ানো পানি অনুশ্রাবনের অনুরুপ | শুধু পার্থকা হলো অনুশ্রাবনের মাধামে পানি নিচে চলে যায়| আর পানি চুয়ানোর মাধামে পালি অনা ক্ষেতে চলে যায় | আইল বা নালা তৈরি না করলে এবং ইদুর আইলের এপাশ-ওপাশ করলে পানি চুইয়ে অন্য ক্ষেত চলে যায়| শক্ত মাটি ছারা অইিল ও নালা তৈরি এবং ইদুর দমন করে পানি চুয়ানো কমানো খায়। এভাবে সেচের পানির অপচয় হয়।
ফল গাছের গোড়ায় এবং সবজি ক্ষেতে যে যে পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়ঃ
- নালা সেচ পদ্ধতি
- বৃন্তকার সেচ পদ্ধতি
- ফোয়ারা সেচ পদ্ধতি
নালা সেচ পদ্ধতিঃ নালা সেচ পক্ষতিতে জামির ঢাল অনুযায়ী ভূমির বন্ধুরতা বা উচু নিচু সাপেক্ষে প্রয়োজলীয় সংখাক নালা তৈরি করা হয়| তারপর প্রধান নালার সাথে জমির এ নালাওলো সংযোগ করে সেচ দেওয়া হয়| নালার গভীরতা ও দের্ঘা জমির উচু ও নিচুর উপর নির্ভর করে। জমি সমতল হলে নালার দৈর্ঘা বেশি হবে আর জমির ঢাল বেশি হলে দৈর্ঘা কম হবে| যেমনঃ আলু চাষে নালার মাধামে পানি সেচ দেওয়া হয়।
বৃন্তকার সেচ পদ্ধতিঃ বৃত্তাকার সেচ পদ্ধতিতে পুরো জমিতে সেচ না দিয়ে শুধু যে স্থানে গাছ রয়েছে সেখানে পানি সরবরাহ করা হয় | সাধারণত বছবর্ষজীবী ফলগাছের গোড়ায় এই পদ্ধাতিভে সেচ দেওয়া হয়। ফল বাগানের মাঝ বরাবর একটি প্রধান নালা কাটা হয়। পরে ৬ গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার নালা কাটা হয় এবং প্রধান নালার সাথে সংযোগ দওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় লা এবং পানি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
ফোয়ারা সেচ পদ্ধতিঃ ফসলের জমিতে বৃষ্টির মতো পানি সেচ দেওয়াকে ফোয়ারা সেচ বলে | শাক সবজি ক্ষতে এই পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বীজতলা কিংবা চারা গাছে মাঝরি দিয়ে যে সেচ দেওয়া হয় সেটাও ফোয়ারা সেচ।
রুট স্টক ও সায়ন হলো-
রুট স্টকঃ অনুন্নত যে গাছের সাথে উন্নত গাছের জোড়া লাগানো হয় সে গাছটিকে রুট স্টক বলে। এটি জোড়া কলমের একটি অংশ।
সায়নঃ যে অঙ্গ উন্নত জাতের স্টকের সাথে লাগানো হয় তাকে বল হয় সায়ন। এটিও জোড় কলমের একটি অংশ।
ঘ) ২ টি সবুজ সারের নাম হলো।
- ধইনঞ্চা সার
- শন সার
ধইনঞ্চা সারঃ এক ক্ষেত্রে প্রায় ৮ টন কাচা সবুজ পদার্থ এবং আনুমানিক ৪০ কেজি নাইট্রোজেন পাওয়া যায় | গাছের বয়স ৩-৫ মাস হলে ১০-১৫ টন জৈব পদার্থ এবং প্রায় ৮৩ কেজি পর্যন্ত নাইট্রোজেন পাওয়া যেতে পারে। এতে শতকরা ০.৬২ ভাগ বা এর কিছু কম বেশি নাইট্রোজেন থাকতে পারে।
শন সারঃ গাছের বৃদ্ধি অনুযায়ী প্রতি হেক্টরে প্রায় ৮ টন (৯০-১৫ টনও হতে পারে) কাঁচা পদার্থ এবং ৪০ কেজি কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিওণ নাইট্রোজেন পাওয়া যেতে পারে এবং উহার বেশির ভাগ আসে বায়ু মন্ডল থেকে । শন গাছের পাতায় শতক ০.৭৫ ভাগ নাইট্রোজেন, ০.১৯২ ভাগ ফসফরাস ও ০.৫১ ডাগ পটাসিয়াম ধাকে।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক) সিয়ামের মরিচ গাছগুলো বড় হবার সাথে সাথে পাতার রং বিবর্ণ হয়ে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে। গাছে আয়রন অথবা লৌহ পুষ্টির অভাব হলে এমন লক্ষণ দেখা যায়। লৌহ বা আয়রনের অভাবে সিয়ামের মরিচ গাছের পতায় বিবর্ণ রং দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে সকল পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। আয়রন বা লৌহ গাছের ক্লোরোফিল বা সবুজ কণিকা গঠন করে। এছাড়াও গাছকে বেড়ে ওঠতে সহায়তা করে, ফলে ফষল বা বীজ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ফলের গুণ ও মান বৃদ্ধি করে। তাছাড়া, মাটির নিচের বৃদ্ধি অর্থাৎ শেকড় বৃদ্ধিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে। আয়রন বা লৌহের অভাবে যা যা হয়-
- পাতায় পাণ্ডুরোগ হয় (হলুদাভ হয়ে ঘায়) এবং কিনারা থেকে পাতা হলুদ হতে শুরু করে
- পত্রশিরা সবুজ থাকে
- পরবর্তী পর্যায়ে, পাতা বাদামী ছিট ছিট দাগসহ সাদাটে-হলুদ বর্ণ ধারণ করে
- গাছের বৃদ্ধি স্তব্ধ হয়
খ) সিয়ামের চাচা মরিচ গাছগুলো দেখেই বুঝে যায় যে তাতে আয়রন বা লৌহের অভাব রয়েছে। তাই তার চাচা সিয়ামকে পরামর্শ দিয়েছে পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহার করতে। তাই বলতে পারি যে সিয়ামের চাচা সিয়ামকে যথার্থ পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, উত্তিদের বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক বাবে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন হয়। স্থোন ভেদে মার্টির উর্বরতা কম বেশি থাকে। তাই যখন ব্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যঘাত ঘটে তখন গাছে পরিমিত গৌণ পুষ্টি উপাদান নিশ্টিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো সার ব্যবহার করতে হবে।
সপ্তম (৭ম) শ্রেণি কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট (৩য় সপ্তাহ) প্রশ্নের সমাধান ২০২০ class 7 agriculture assignment 1