শিরোনামঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব
ভূমিকা:
তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা -
১) তধ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা পারিবারিক ভবে যেকোনো কাজ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে পারি।
২) এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃক যেকোনো আদেশ সহজে অধন্তনদের পাঠাতে পারি। কিছুদিন
আগেও যে কাজটার আদেশ আসতে আসতে কাজের গুরুত্ব শেষ হয়ে যেত।
৩) আথুনিক তথ্য ব্যবস্থার কারণে আমরা ঘরে বসে ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোনা কাজ সহজে করে ফেলতে পারি। এখন আর নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে ব্যবসা সংক্রান্ত চুক্তি করার প্রয়োজন পড়ে না।
8) আধুশিক তথা প্রযুক্তির সুবাদে এখন আমরা ঘরে বসে অনলাইনে কাচা বাজার থেকে শুরু করে
জামাকাপড়, জুয়েলারি সবকিছু কিনতে পারি। এর জন্য শুধু অনলাইনে কেনাকাটা করার সাইটগুলোতে জিনিস দেখে অর্ডার করার সল্প সময়ের মধোই হোম ডেলিভারি পাওয়া ষায়।
৫) উন্নত তথা প্রযুক্তির সুবাদে আমরা অনলাইনে আউটসোর্সিং করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
করতেপারি। এতে আমাদের জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং
বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে ।
ব্যাক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গরুত্বঃ
মানব জীবনে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারের বহ্রমুধী গুরুত্ব রয়েছে। যা ব্যাধ্যা করতে গেলে কাগজ কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবেনা। তথাপি কতিপয় গুরুত্ব নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
১) তথ্য সংগ্রহ - আমরা সাধারণত বই, ধবরের কাগজ.টেলিভিশন এবং রেডিওর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকি।কিন্ত বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা অনেকসহজ। কারন ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের কম্পিউটার গুলোকে সংযুক্তকারী বিশাল নেটওয়ার্ক। আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্যটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনেরমাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই পেতে পারি। তবে ইন্টারনেটের মাধায়ে তথ্য সংগ্রহের জনা প্রথম কাজ হলো প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধান।
ইন্টারনেটে তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্চ ইঞ্জিন যেমন - গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি। এরপর যা ইচ্ছা তা সার্চ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে উপকৃত হতে পারি।
২) তথ্য সংরক্ষণ - ইন্টারনেটে তথ্যটি অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ততথ্য খাতায় লিখে, ছবি তুলে, ভিডিও রেকর্ড
করে সংরক্ষণ করতে পারি। বর্তমানে তথ্য সংরক্ষণের জন্য আমরা তধাসংরক্ষণ বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন - পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি,মেমোরি কার্ড ইত্যাদি বাবহার করি। তাছাড়া অনলাইনেও এটা সংরক্ষণ করা যায় যেখান থেকে তথ্য পাওয়া সবচেয়ে সহজ। এতে করে আমরা খুব সহজে সংরক্ষিত তথ্য আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে উপকৃত হই।
৩) তথ্য বিনিময় - তথ্য বিনিময়ের জন্য তধ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টেলিফোন বা মোবাইল্ ফোন ব্যবহার করে আমরা সহজে মানুষের সাথে যেকোনো মুহূর্তে কথা বলতে পারি।
যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের ছবি তুলে বা ভিডিও করে সহজে অন্য জনের কাছে পাঠাতে পারি। বর্তমানে ক্ষুদে বার্ডা (এসএমএস), ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন -ফেসবুক, টুইটার, ইমো ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঐ তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
উপসংহারঃ
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য ও ঘোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটা
কাজে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে গেছে, যা আমরা চাইলেও পৃথক করতে পারবোনা। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহারের প্রয়োজন দিন দিন বেড়েই চলেছে, ব্যাক্তিজীবনে হোক, আর মানব জীবনেই হোক। এর ব্যাবহারের কোন বিকল্প খুজে পাওয়া বিরল।
OP
উত্তরমুছুন