নবম(৯ম) বাংলা ৫ম সপ্তাহ অ্যাসইনমেন্ট
শিরোনামঃ পল্লিসাহিত্য
আরো পড়ুনঃ
নবম (৯ম) শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ প্রশ্ন ও সমাধান
আরো দেখুনঃ
- ৯ম ইংরেজি ৫ম সপ্তাহের অ্যাসইনমেন্ট
- ৯ম শ্রেণি পদার্থবিজ্ঞান ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
- ৯ম শ্রেণি ভূগোল ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
- ৯ম শ্রেণি হিসাববিজ্ঞান ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
- সকল শ্রেনির সকল বিষয়ের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
- ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো দেখুন
নবম বাংলা ৫ম সপ্তাহের প্রশ্নগুলো দেখে নিন
পল্লিসাহিত্যের ৫টি উপাদানের নাম উল্লেখ করে তোমার পছন্দের যে কোনো ২টি উপাদান সম্পর্কে ১০টি করে বাক্য লেখ।
অ্যাসাইনমেন্ট শুরু
পল্লিসাহিত্যের ৫টি উপাদানের নাম
নিম্নে পল্লিসাহিত্যের ৫টি উপাদানের নাম দেওয়া হলো।
- ১. মৈমনসিংহ গীতিকা।
- ২. খনার বচন।
- ৩.ছড়া ।
- ৪. পল্লিগান।
- ৫. রূপকথা ।
আমার পছন্দের দুটি পল্লিসাহিত্যের উপাদান হলো মৈমনসিংহ গীতিকা ও খনার বচন।
মৈমনসিংহ গীতিকা
নিম্নে "মৈমনসিংহ গীতিকা" সম্পর্কে ১০টি বাক্য লেখা হলো:
১) ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত পালাগানগুলোকে একত্রে মৈমনসিংহ গীতিকা বলা হয়।
২) দীনেশচন্দ্র সেন ইংরেজি ballad-এর বাংলা পরিভাষা হিসেবে ‘গীতিকা’ শব্দটি গ্রহণ করেন
৩) রচয়িতাদের আবির্ভাব কাল, কাব্যের জীবনকথা, আর্থ-সামাজিক পটভূমি, ভাষাদর্শ ইত্যাদি ব্যাখ্যা করে গীতিকাগুলি মধ্যযুগে রচিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
৪) এই গানগুলো প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে আসালেও ১৯২৩-৩২ সালে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন এই গানগুলো সম্পাদনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকাশ করেন।
৫) নেত্রকোনা জেলার আইথর নামক স্থানের আধিবাসী চন্দ্রকুমার দে এসব গাঁথা সংগ্রহ করছিলেন।
৬) মৈমনসিংহ গীতিকায় ১০টি গীতিকা স্থান পেয়েছে, যথা- মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দস্যু কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও লীলা, কাজলরেখা ও দেওয়ানা মদিনা।
৭) গীতিকার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পার্থিব জীবনকথা, ধর্ম নয়,।
৮) মৈমনসিংহ গীতিকার দস্যু কেনারামের পালা ছাড়া বাকি ৯টি পালার মুখ্য বিষয় নরনারীর লৌকিক প্রেম, প্রেমের পরিণতি কোনোটির মিলনাত্মক, কোনোটির বিয়োগাস্তক।
৯) গীতিকাগুলিতে পুরুষ চরিত্রের তুলনায় নারী চরিত্রের ভূমিকা উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত, প্রেমের প্রতিষ্ঠায় তারাই বেশি সংগ্রাম ও ত্যাগ ষীকার করেছে।
১০) মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, ময়মনসিংহ গীতিকার মদিনা বিবির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন ফরাসি দেশের কালজগ্লী সাহিত্যিক এ দার্শনিক রোমাঁ রোলা।
খনার বচন
নিম্নে "খনার বচন" সম্পর্কে ১০টি বাক্য লেখা হলো:
১) খনার বচন আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত সম্ভবত সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্যর রাজত্বকালে।
২) খনার বচন মুলত কৃষিভিত্তিক ছড়া।
৩) অনেকের মতে, খনা নান্নী জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙালি নারী।
৪) খনার বচন গুলো চার ভাগে বিভক্ত, যথা: কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার, কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান, আবহাওয়া জ্ঞান ,শস্যের যত্ব সম্পর্কিত উপদেশ। মুলত. ও জ্যোতির্বিজ্ঞান, আবহাওয়া জান ,শসৌর ধত্ব সম্পর্কিত উপদেশ।
৫) খনার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোই "খনার বচন' নামে বহুল পরিচিত।
৬) ধান, কলা ও গরুকে খনার বচনে তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অধিক সংখ্যক বচন রচিত হয়েছে।
৭) মাটি, আবহাওয়া, ধতুর অদলবদল, মেঘ-বৃষ্টির শ্রেণীকরণ ও সময় নির্ঘণ্ট, আবহাওয়ার আন্দাজ, দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের আগাম প্রস্ততি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ের আগাম হিসাবনিকাশ, প্রাকৃতিক নির্দেশনা ইত্যদি নিয়ে খনার বচন রয়েছে।
৮। খনা সম্পর্কে বাংলা ও উড়িয়া ভাষায় কিংবদন্তী আছে।
৯) অজস্র খনার বচন যুগ-যুগাস্তর ধরে গ্রাম বাংলার জন-জীবনের সাথে মিশে আছে।
১০। খনার বচনের একটি উদাহরণ হলো: পূর্ণিমা অমাবস্যায় যে ধরে হাল তার দুঃখ হয় চিরকাল
আরো দেখুনঃ
নবম(৯ম) বাংলা ৫ম সপ্তাহ অ্যাসইনমেন্ট