|
৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর (সমাধান) ১ম সপ্তাহ ২০২১ |
সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ প্রকাশ করা হয় বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। ৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর ১ম সপ্তাহ ২০২১ শতভাগ নির্ভূলভাবে প্রকাশ করা হলে। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৭ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট সহ সকল শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তোমরা এই সাইটে পেয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ
১ম সপ্তাহ ২০২১ ৭ম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম এসাইনমেন্ট উত্তর
শ্রেণিঃ সপ্তম (৭ম)
বিষয়ঃ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ ১ম অধ্যায়
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ
পাঠ-১ (তাওহিদ)
পাঠ-২ (তাওহিদ নৈতিকতা)
পাঠ-৩ (কুফর)
পাঠ-৪ (শিরক)
পাঠ-৫ (ইমান মুফাস্সাল)
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
পােস্টারঃ আমাদের চারপাশে সৃষ্টিজগতের মাঝে মহান আল্লাহর একত্ববাদের অসংখ্য নমুনা বিদ্যমান; বাস্তব উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করে একটি পােস্টার তৈরি কর।
নির্দেশনাঃ
- পাঠ্যবইয়ের অধ্যায় এক এর সংশ্লিষ্ট পাঠের আলােকে বিষয়বস্তুর মৌলিক চাহিদাগুলাে শনাক্ত করতে হবে।
- আর্ট পেপার/ক্যালেন্ডারের উল্টাপৃষ্ঠা অথবা খাতার পৃষ্ঠা ব্যবহার করে পােস্টার তৈরি করা যেতে পারে।
- প্রয়ােজনে সহায়ক পুস্তকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
- পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলােচনা করে বিষয়ের সঠিকতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেওয়া যেতে পারে।
মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ
অতি উত্তমঃ
- ১. বিষয়বস্তু পূর্ণমাত্রায় সঠিক ও ধারাবাহিক
- ২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি আরবিতে সঠিকভাবে লিখতে পারা
- ৩. লেখায় লক্ষনীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
উত্তমঃ
- ১. বিষয়বস্তু অধিকাংশক্ষেত্রে সঠিক ও ধারাবাহিক;
- ২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি আরবিতে অধিকাংশক্ষেত্রে সঠিকভাবে লিখতে পারা;
- ৩. লেখায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;
ভালোঃ
- ১. বিষয়বস্তু সঠিক থাকলেও ধারাবাহিকতা অভাব।
- ২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি আংশিকভাবে আরবিতে লিখতে পারা।
- ৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;
অগ্রগতি প্রয়ােজনঃ
- ১. বিষয়বস্তু সঠিকতা ও ধারাবাহিকতার অভাব;
- ২. কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি লিখতে না পারা;
- ৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা অনুপস্থিতি;
সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা উত্তর ১ম সপ্তাহ ২০২১
***আল্লাহর একত্বাবাদের প্রমাণ***
একত্ববাদের আরবি প্রতিশব্দ হলো তাওহীদ। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াকে তাওহিদ বলা হয়। তাওহিদের মূল কথা হলো আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্ধিতীয়। তিনি তার সত্তা ও গুণাবলিতে অদ্ভিতীয়। তিনিই প্রশংসা ও ইবাদতের একমাত্র মালিক। তার তুলনীয় কেউ নেই।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:- “বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।” সূরা আল-ইখলাস, আয়াত-১
আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও ইবাদতের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাসের নামই তাওহিদ।ইমনের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান ৰিষয় হলো তাওহিদ। অর্থাৎ মুমিন ৰা মুসলিম হতে হলে একজন মানুষকে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাস করতে হবে। তাওহিদে বিশ্বাস ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই ইমান বা ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। ইসলামের সকল শিক্ষা ও আদর্শই তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত। দুনিয়াতে যত নবী-রাসুল এসেছেন সকলেই তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন। সকলের দাওয়াতের মূলকথা ছিল - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তাওহিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জন্য নবী-রাসুলগণ আজীৰন সংগ্রাম করেছেন। হযরত ইবরাহিম (আ:) অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন। বস্তুত, তাওহিদই হলো ইমানের মূল। ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আমরা একটু গভীরভাবে চিন্তা করি তবে দেখতে পাবো কত বিশাল এ বিশ্বজগৎ। আমাদের পৃথিবী এর সামান্য অংশমাত্র ৷ গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা, গ্যালাক্সি এ বিশ্বজ্রগতে বিরাজমান । এগুলোর প্রত্যেকটি সু-শৃংখলভাবে ঘুরছে। কোনটি এর নিধাঁরিত নিয়মের বাইরে যাচ্ছে না। আমাদের পৃথিবী কত সুন্দর । এতে রয়েছে বিশাল আকাশ, বিস্তৃত মাঠ, বড পাহাড় পর্বত, প্রবাহমান নদী নালা, সাগর মহাসাগর । আল্লাহ তা'আলাই এসব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্ত্রন কারী । মহাজগতের নিয়ম-শৃঙ্খলা তাঁরই দান । পৃথিবীর সকল কিছুর ইচ্ছা করেন তাই হয়। এ সবকিছুতে যদি একের বেশি নিয়ন্ত্রন কারী থাকতো, তবে নানা রকম বিশুঙ্খলা দেখা দিত।
এই বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন:- “যদি আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ থাকতো তবে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেত।
-- সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত-২২
বিশ্বে কি দু'জন ইলাহ থাকা সম্ভব? মানুষের বিবেক সর্বদা একথা স্বীকার করতে বাধ্য যে, এ বিশ্বে একজনই মাত্র ইলাহ আছেন। নতুবা যদি দুজন বা একাধিক ইলাহ থাকত – তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া হলে- তাহলে প্রশ্ন দেখা দিতঃ যখন দুজনের মতে বিরোধ দেখা দিবে, বা দুজনই তাঁর নিজের ইচ্ছা পূরন করতে চাইবে তখন কি হবে? একজন একটি আদেশ দিবে আর অন্যজন এর বিপরীত আদেশ দিবে?! তখন একজনকেঅন্যজনের উপর জয়ী হতে হবে। আর একজন জয়ী হলে অন্যজন স্বাভাবিকভাবেই অক্ষম হবেন। আর একজন অক্ষম ব্যক্তি কি ইলাহ হতে পারেন? তাছাড়া একাধিক শ্রষ্টা থাকলে তারা তাদের সৃষ্টি কে নিয়ে আলাদা হয়ে যেতেন। যেমন আগুনের স্রষ্টা আগুন নিজ সৃষ্টি দ্বারা অন্যের উপর বিজয়ী হতে চাইতেন। সেরকম সূর্য দেবতা আলো দেওয়া বন্ধ করে দিতেন। অর্থ্যাৎ এভাবে ভাবলে দেখা যাবে প্রত্যেকটা জিনিসের একটি করে দেবতা তৈরি হবে। এবং তারা মারিমারিতে লিপ্ত হতো। ফলে আমাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যেত। পৃথিবীর সকল কিছুই ধ্বংস হয়ে যেত। তাহলে একথা প্রমাণিত হলো যে, এ মহাবিশ্বে একজনই ইলাহ আছেন।
উপরের আলোচনা থেকে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় ইলাহ মাত্র একজনই । আর তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালা । তিনি সকল কিছুর স্রষ্টা, নিয়ন্ত্রক ও পালনকর্তা । তাঁর হুকুম ও নিয়মেই সবকিছু পরিচালিত হয়। কোন সৃষ্টিই এ নিয়মের ব্যতিক্রম করতে পারে না। এসব কাজে তিনি একক ও অদ্বিতীয় । আন্তরিকভাবে এরূপ বিশ্বাসের নামই তাওহীদ বা একত্ববাদ। আর আমাদের সকলকে এই তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে।
https://web.facebook.com/groups/287269229272391