৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে তোমরা এখানে এসেছো। তোমাদের এই অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর খোঁজাটা সর্থক হয়েছে। তোমরা ঠিক জায় গায় এসেছো কারণ এখানে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণি ২য় সপ্তাহ এর সমাধান সঠিকভাবে ও নির্ভূলভাবে দেওয়া আছে।
৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট সমাজ এর উত্তর যারা লিখবা তাদের জন্য কিছু কথা বলা উচিত। তোমরা যারা ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টটি লিখবে তারা এই পোস্টটি পুরো পড়ে তারপর লিখবে। কারণ আমরা কিছু টিপস দিয়ে থাকি যা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার ক্ষেত্রে তোমাকে সাহায্য করবে এবং অন্যদের থেকে তোমার লেখাটা আলাদা হবে।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ এর উত্তর ২০২১
সামনের অ্যাসাইনমেন্টে তোমাদের ৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান ও ৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট গণিত সমাধান এর সমাধান লিখতে হবে।
৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় টির উত্তর খুব ভালোভাবে যাচাইবাছাই করে লেখা হয়েছে। তোমরা যারা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তরা এই অ্যাসাইনমেন্টটি তোমাদের খাতায় সুন্দর করে লিখবে। অথবা পোস্টার পেপারেও লিখতে পরো। সেজন্য তোমাদের পোস্টার পেপার কিনতে হবে।
শ্রেণি | উত্তর লিংক | |
৬ষ্ঠ | ||
৭ম | ||
৮ম | ||
৯ম | ফিন্যন্স ও ব্যাংকিং পৌরনীতি ও নাগরিকতা |
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
তো চলো ৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের প্রশ্নগুলো আগে দেখে নেওয়া যাক।
- ১। সাল উল্লেখ
- ২। ঘটনার বর্ণনা
- ৩। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য
- ১) পোস্টার পেপার অথবা ক্যালেন্ডারের উল্টা পৃষ্ঠা অথবা খাতার পৃষ্ঠা জোড়া দিয়ে পোস্টার তৈরি করা যেতে পারে।
- ২) তালিকায় উল্লেখিত তারিখ ও সাল ব্যবহারে রঙের বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে।
- ৩) উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পোস্টারে উল্লেখ করা যেতে পারে। (যেমন- ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, দ্বৈতশাসন, মুদ্রণযন্ত্রের প্রচলন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ইত্যাদি।)
- ৪) প্রয়োজনে ছবি, চিত্র, পেপার কাটিং ইত্যাদি সংযোজন করা যেতে পারে।
- ৫) প্রয়োজনে নিজের পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত অন্য সহায়ক পুস্তকের (উপরের/ নিচের শ্রেণির) সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- ১) পরিপূর্ণমাত্রায় বিষয়বস্তুর যথার্থতা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা
- ২) দশটি ঘটনা সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
- ৩) উপস্থাপনায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
- ৪) লক্ষনীয় মাত্রায় নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন
- খ. উত্তমঃ
- ১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর যথার্থতা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা
- ২) আটটি ঘটনা সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
- ৩) উপস্থাপনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
- ৪) অধিকাংশ ক্ষেত্রে নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন।
- ১) বিষয়বস্তুর যথার্থতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব।
- ২) পাঁচ/ছয়টি ঘটনা সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
- ৩) উপস্থাপনায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
- ৪) আংশিক নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন
- ১) বিষয়বস্তুর যথার্থতা ও ধারাবাহিকতার অভাব
- ২) চারটির কম ঘটনা সঠিক তথ্যসহ উপস্থাপন
- ৩) উপস্থাপনায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব
- ৪) নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপনার অভাব
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের অ্যাসােইনমেন্ট ২০২১ |
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তরটি লেখার সময় তোমরা কিছু কাটছাট করলে সেটা ভালোভাবে পড়ে তবে করো। কারণ না বুঝে বাদ দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ চলে যেতে পারে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টটি একটু বড় হবে কারণ এখানে ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে কোনো ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পোস্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণি ২য় সপ্তাহ ২০২১ উত্তর টি নিচে দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণি ২য় সপ্তাহ ২০২১
***১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ দশটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা***
১৭৫৭-পলাশীর যুদ্ধ
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইন্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে যে যুদ্ধ সংঘটিত হযেছিল তাই পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে এই যুদ্ধ সংঘটিত হযেছিল। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুচিত হয়। এটি ব্রিটিশদের দ্বিতীয় যুদ্ধ ছিল দক্ষিণ এশিয়াতে ইঙ্গ-মুঘল যুদ্ধের পর।
১৭৬৫-দৈত শাসন
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্রাইভ ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড্ষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এ সময় কিছু শর্ত সাপেক্ষে মীরজাফরের পুত্র নাজিম-উদ-দৌলাকে বাংলার সিংহাসনে বসানো হয়।
১৭৭০-ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলার ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নামে পরিচিত। ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৭৭০) এই দুর্ভিক্ষ হযেছিল বলে একে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলা হয়।
১৭৯৩-চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
চিরস্থায়ি বন্দোবস্ত ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইন্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থাযী চুক্তি। এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস । এ চুক্তির আওতায় জমিদার উপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন। জমির স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক নির্ধারিত হারের রাজস্বে জমিদারিত্ব লাভ করেন। জমিদারদের জমি বিক্রয়, বন্ধক, দান ইত্যাদি উপায়ে অবাধে হস্তান্তরের অধিকার থাকলেও তাদের প্রজা বা রাযতদের সে অধিকার দেওয়া হয়নি।
১৮২১-শ্রীরামপুরে মূদ্রণ যন্ত্র স্থাপন
বাংলা নবজাগরপের জন্য বাংলাই প্রথম বারের মতো ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে স্থাপিত হয় মুদ্রণযন্ত্র। এতে অনেক কিছু ছাপানো যেতো বলে বাংলায় তখন শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হতে থাকে।
১৮৫৭-সিপাহি বিদ্রোহ
সিপাহি বিদ্রোহ বা সৈনিক বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইন্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। যার মধ্যে আলেম ওলামাদের অবদান অপরিসীম। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তর মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি অঞ্চল ) ছড়িয়ে পডেছিল। বিদ্রোহটি ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ও ১৮৫৮ সালের গপ-অভ্যু্থান নামেও অভিহিত করা হযে থাকে। এই বিদ্রোহ দমন করা হয় নির্মমভাবে। বহ নিরপরাধ নরনারী, শিশু বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়।
১৮৬১-বঙ্গীয় আইনসভা
বঙ্গীয় আইন পরিষদ ব্রিটিশ বঙ্গের (বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য) আইনসভা ছিল। এটি ১৯ শতকের শেষ এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে বেঙ্গল প্রেসিডেক্সির আইনসভা ছিল। ১৯৩৭ সালে সংস্কার গৃহীত হওয়ার পর থেকে ভারত বিভক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বঙ্গীয় আইনসভার উচ্চকক্ষ হিসাবে কাজ করে
১৯০৫-বঙ্গভঙ্গ
১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে ১ম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয্। বাংলা বিভক্ত করে ফেলার ধারনার্টি অবশ্য কার্জন থেকে শুরু হয়নি। ১৭৬৫ দিলের পর থেকেই বিহার ও উড়িষ্যা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৯৪০-লাহোর প্রস্তাব
লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব, যাকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বলা হয়, তা হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবনা।
১৯৪৭-ভারত বিষাজন
ভারত বিভাজন বা দেশভাগ হল ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক বিভাজন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারত ভেঙে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামে দু'টি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা হয়। পাকিস্তান পরবর্তীকালে আবার দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ নামে দুটি রাষ্ট্রে পরিণত হয় ।
আরো পড়ুনঃ
- ৩য় সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর ২০২১ সকল শ্রেণি সকল বিষয়।
- অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট ইংরেজি প্রশ্ন উত্তর ২০২১
- ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ সকল শ্রেণি সকল বিষয়
- ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি উওর ২য় সপ্তাহ ২০২১।
- নবম শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট এর উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১
- সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর ২য় সপ্তাহ ২০২১
উপরের ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ টি ছোট করে লেখা হয়েছে। যাতে তোমাদের (অষ্টম শ্রেণি) জন্য অনেক সহজ হয়। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণি ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের ন্যয় অন্যান্য এসাইনমেন্টর উত্তরগুলি পেতে আমাদের ফেজবুক পেজে লােইক দিয়ে রাখো অথবা আমাদের ফেজবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকো।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
নিচে ফেজবুক পেজ ও গ্রুপের লিংক দেওয়া রইল। সেই সাথে আমাদের ইউটিউব চেনেল টি সাবসক্রাইব করে রাখে।