ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট অষ্টম শ্রেণি ১ম সপ্তাহ ২০২১ এর উত্তর শতভাগ নির্ভূলভাবে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো যা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ প্রকাশ পেয়েছ। অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর উত্তর তোমাদের খাতায় সুন্দর করে লিখে জমা দিবে।
আরো পড়ুনঃ
অষ্টম শ্রেণি ইসলাম এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ১ম সপ্তাহ ২০২১
শ্রেণিঃ অষ্টম (৮ম)
বিষয়ঃ ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা।
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ
প্রথম অধ্যায়ঃ আকাইদ
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ
- পাঠ-১ (ঈমান)
- পাঠ- ২ (নিফাক)
- পাঠ-৩ (আলআসমাউল হুসনা)
এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।
সংকেত ঃ
১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ;
২। উক্ত আচরণগুলাে কেন ক্ষতিকর তার ব্যাখ্যা;
৩। উক্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি;
৪। সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়;
৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তােমার পদক্ষেপ;
নির্দেশনা :
- পাঠ্যপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে
- প্রয়ােজনে অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া যেতে পারে;
- মােবাইল বা যে কোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যােগাযােগ করা যেতে পারে;
- ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে;
- অ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে;
মূল্যায়ন রুব্রিক্স ঃ
- নিচের নির্ণায়কের ভিত্তিতে শিক্ষক মূল্যায়ন করবেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
- প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে ফিডব্যাক প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করবেন।
অতি উত্তমঃ
১। কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি আরবিতে লিখা
২। ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা
উত্তমঃ
১। কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবাদ
২। আংশিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে আংশিক যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় আংশিমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলত
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা
ভালোঃ
১। কুরআন অথবা হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবাদ
২। কিছুটা ধারাবাহিকতা বজায় থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে আংশিক বিশ্লেষণ
৪। লেখায় আংশিকমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলত
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা
অগ্রগতি প্রয়ােজনঃ
১। কুরআন অথবা হাদিসের উদ্ধৃতির অনুবা অভাব।
২। ধারাবাহিকতা বজায় না থাকা
৩। পর্যায় উপলব্ধি করে বিশ্লেষণ না করা
৪। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা না থাকা
৫। বানান ও বাক্য গঠনে সঠিকতা না থাকা
অষ্টম (৮ম) শ্রেণি ইসলাম এসাইনমেন্ট সমাধান ১ম সপ্তাহ ২০২১
সহপাঠীর আচরনে মুনাফিকের লক্ষণ
আমার একজন ঘণিষ্ঠ সহপাঠী বন্ধুর আচরণে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় । সে কধা বললে মিথ্যা বলে। তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে মিথ্যা তথ্য দেয় । কাউকে কোন কিছু দিবে বলে ওয়াদা করলে বরখেলাপ করে । সময়মতো দেয় না । ক্লাসের কারো টাকা জমা রাখলে সে সেই টাকা খরচ করে ফেলে পরবর্তীতে সেই টাকা আর ফিরিয়ে দেয় না । আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক। তার আচরণে একজন মুনাফিকের আচরণের সাধে মিল রয়েছে ।
মুনাফিকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
মুনাফিক (আরবিতে: منافق, বহুবচন মুনাফিকুন)। ইসলামি পরিভাষায় যার অর্থ একজন প্রতারক বা "ভন্ড ধার্মিক" ব্যক্তি। যে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করে; কিন্তু গোপনে অন্তরে কুফরী বা ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস লালন করে। আর এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় নিফাক।
মুনাফিক সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের বর্ণনা।
মুনাফিক সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:-
--নিশ্চয় মুনাফিকগণ জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে, আর আপনি তাদের সাহায্যকারী হিসেবে কখনও কাউকে পাবেন না।’ (নিসা ১৪৫)
“হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা.) বলেন মুনাফিকের নির্দশন তিনটি –
- যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
- ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে ।
- যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার খিয়ানত করে।
-------(সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।
এছাড়া মুনাফিকের চরিত্রে যে সকল বৈশিষ্ট ফুটে ওঠে তা হলো: দুমুখো স্বভাবের, প্রতারক ও ধোঁকাবাজ, তাদের অন্তর অসুস্থ, নিজেদের শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে, ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, মুমিনদের নির্বোধ মনে করে, উপহাসকারী, অবাধ্যতার বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ায়, ভ্রষ্টতা ক্রয় করে, অহংকারী,
মুনাফিকির ক্ষতিকর দিকঃ
মুনাফিকরা প্রত্যেকেই দ্বিমুখী আচরণকারী। এক মুখে তারা মুমিনদের সঙ্গে মিলিত হয়। অন্য মুখে ভোল পাল্টিয়ে তারা কাফিরদের সঙ্গে মিলিত হয়। তাই মুনাফিকির পরিণাম খুবই ভয়াবহ।
আল্লাহ বলেন, ‘হে নবি! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। আর তাদের পরিণতির হচ্ছে জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান। (সূরা তাওবাহ : আয়াত ৭৩)
নিফাক পরিহারের উপায়ঃ
১. কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, মিথ্যা কথা বলবে না।
২. কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে ।
৩. আমানত রক্ষা করবে । যেমন কারে! কাছে কোলো জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে । কারো সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে । এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবে না।
মুনাফিকী থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনাঃ
- কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী আমল করার কথা বলতে হবে।
- ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্কে বুঝাতে হবে ।
- তাকে সত্য কথা বলার জন্য উপদেশ দিতে হবে ।
- সত্য কথা বলার গুরুত্ব বুঝাতে হবে ।
- মিথ্যা কথা বলার কুফল বুঝাতে হবে ।
- কারো সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বুঝাতে হবে ।
- আমানতের গুরুত্ব বুঝতে হবে ।
- আমানতের খেয়ানত করার কুফল বুঝতে হবে ।
- ভালো মানুষ ও মুমিন ব্যাক্তির গুণাবলী বুঝাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ