মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ নিয়ে এলাম। এই ৮ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ টি অনেকেই হয়তো অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে পেয়েছো। তবে ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ৮ম উত্তর এখানেই তোমরা পেয়ে যাবে।
তোমাদের সুবিধার্তে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর উত্তরটি অনন্য করে লেখার চেষ্টা করেছি। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে একটু ব্যতিক্রম ভাবে ৮ম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টটি লেখা হয়েছে।
৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১
তোমাদের এই ২০২১ সালের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টগুলো তোমরা লেখার আগে অবশ্যই ভালো করে যাচাই করে নিচে। অনেক ওয়েবসাইটে কিন্তু আগের একটি এসাইনমেন্টের উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই এসাইনমেন্টটিতেও বঙ্গবন্ধ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছে। তবে তোমাদের এই অষ্টম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ টি একটু ভিন্ন। তোমরা প্রশ্নটি দেখলেই তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবে। তাই তোমাদের প্রতি উপদেশ থাকবে প্রশ্ন পড়ে ভালোকরে বুঝে তারপর উত্তর লিখা শুরু করবে।
৫ম সপ্তাহ ২০২১ সালে তোমাদের ৮ম শ্রেনির দুটি অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে তা হলো ৮ম শ্রেণির বাংলা ও ৮ম শ্রেনির কর্ম ও জীবনমূখী শিক্ষা। এই দু্ইটি এসাইনমেন্টের উত্তরি তোমরা এখানে পেয়ে যাবে।
৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রশ্ন
- ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা,
- ২-তথ্য, তত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি বিষয়বস্তুর সাথে সংগতিপূর্ণ
- ৩. লেখায় লক্ষ্যণীয় মাত্রায় নিজন্বতা ও সৃজনশীলতা
- 8. সার্থক বাক্যের যথাযথ প্রয়োগ )
- ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা,
- ২. তথ্য, তত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ
- ৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
- ৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি)
- ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও
- ২.লেখায় তথ্য, তত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি বিষয়বন্ডুর সাথে আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ
- ৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা
- ৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি)
- ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতার অভাব,
- ২.লেখায় তথ্য, তন্ব, ধারণা, সুত্র ইত্যাদি বিষয়বন্ডুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
- ৩. লেখায় নিজন্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব
- ৪. সার্থক বাক্য ব্যবহারে ঘাটতি)
অষ্টম/ ৮ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর
তোমাদের উত্তরের যথাযথতার জন্য তোমরা প্রশ্নটি সম্পূর্ণরুপে পড়বে। প্রশ্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দুটি হলো নির্ধারিত কাজ ও লিখনে নির্দেশনা। এই দুইটি অংশ ভালোকরে পড়ে নিলে তোমাদের অষ্টম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট লিখতে সহজ হবে। প্রশ্নের নির্ধারিত কাজ ও লিখনে নির্দেশনা দেখতে একটু উপর থেকে ঘুরে আসো।
”বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে”
ভূমিকাঃ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি নাম, চেতনা ও অধ্যায়। তার জন্ম না হলে হয়তো আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র পেতাম না। তিনি একই সঙ্গে ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা ও মুক্তির। তার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি বীরের মতো লড়াই করে স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন করে। বিশ্ব মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি অনস্বীকার্য যে,বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাস্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু বাঙালীর নয় সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় গৌরবোজ্জল অধ্যায়। আর এই অধ্যায়ের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্বার্থকে কখনো চেপে রাখা যায়নি, যাবেও না ভবিষ্যৎকালে।
জন্ম ও পরিচয়ঃ বাংলার স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। তিনি যখন মিশনারি স্কুলে পড়তেন তখনই স্কুল ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছাত্রাবাসের দাবি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। সত্যিই বিরল ও তার রাজনৈতিক চেতনা বিকাশের একটি শুভ লক্ষণ। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন।
শিক্ষাজীবনঃ ১৯২৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। তারপর নয় বছর বয়সে ১৯১১ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এরপর তিনি মিশনারি স্কুলে ভর্তি হন ১৯৩৪ সালে। তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে চার বছর তার পড়ালেখা বন্ধ খাকে। ১৯৪২ সালে তিনি মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৪৪ সালে আইএ পাশ করেন। এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। তারপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন শুরু করেন। এখানে থাকাকালীন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের আন্দোলনে যোগদানের কারণে তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়।
রাজনৈতিক জীবনঃ মাত্র ২৩ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু সন্ত্রিয় ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ১৯৪৩ সালে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরপর ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করে। বাঙালির মধ্যে এঁক্য ও স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তোলে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও তৎপরতার কারণ ১৯৫৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের (পরিবর্তিত নাম) সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভঃ ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন। যাতে পূর্ব- পাকিস্তানের পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা বর্ণিত ছিল। এর মাধ্যমেই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহব্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭২ সালের ৮ ই জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিলে ১০ জানুয়ারি তিনি নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং পূর্ণোদ্যমে যুদ্ধবিধবস্ত দেশ পুনর্গঠন এর কাজ শুরু করেন।
ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডঃ কিন্তু দেশের মানুষের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তির সংগ্রামের চাকাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু যখন একটি আধুনিক, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে সমগ্র জাতিকে এঁক্যবদ্ধ করে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই দেশি-বিদেশে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। স্বাধিনতাবিরোধিরা বুঝতে পেরেছিলো যে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ও সফল হবেন। তাই তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিতে ১৫ আগস্ট এর নিশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই হত্যাযঙ্গের পরি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির দাপট পরিলক্ষিত হয়। গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়ে দেশ। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘ ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি শক্তিশালী। জাতির পিতা যে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
উপসংহারঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সাল কে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। "রূপকল্প ২০৪১" বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা, দরিদ্র, নিরক্ষরমুক্ত, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিনির্মাণ ই হোক মুজিববর্ষে আমাদের সবার অঙ্গীকার।
৮ম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ২০২১
তোমরা যারা ৮ম শ্রেণিতে পড়ো তাদের এই সপ্তাহের সকল অ্যাাসইনমেন্টে সহ সামনে আরো অনেক অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। এই এসাইনমেন্টগুলো সহ সেই এসাইনমেন্টগুলোও সহজে পেতে আমাদের ফেজবুক পেলে লাইক দিয়ে রাখুন। অথবা নিচে দেওয়া আমাদের ফেজবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
অষ্টম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ নিয়ে কিছু প্রশ্নউত্তরঃ
প্রশ্নঃ ৮ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট কি রচনার মত করে লিখবো?
উত্তরঃ প্রশ্নে বলাই আছে প্রবন্ধ রচনা কর। তাহলে রচনার মত করে লিখতেই হবে।
প্রশ্নঃ প্রবন্ধের জন্য কি যে সংকেত গুলো দেওয়া আছে সেগুলো সব থাকতে হবে?
উত্তরঃ হ্যা, থাকতে হবে। না থাকলে ভালো মার্ক পাবেনা।
প্রশ্নঃ বাংলা এসাইনমেন্ট ৮ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহে যে সংকেত দেওয়া আছে তা কি ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে।
উত্তরঃ হ্যা, সেভাবে লেখাই ভালো। তবে কয়েকটি এদিক সেদিক হলে সমস্যা নাই।