৮ম সপ্তাহ ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ খোঁজ কারি শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এলাম সুখবর। তোমাদের চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট উত্তর দেখতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়।
৮ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহে দুটি এসাইনমেন্ট রয়েছে যার একটি হচ্ছে ইংরেজি অন্যটি চরু ও কারুকলা। তোমরা হয়তো ইংরেজি বিষয়টাকে গুরুত্বের সাথে দেখছো। কিন্তু চারু ও করুকলা বিষয়টিও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ৮ম সপ্তাহ ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্টটি লেখার সময় গুরুত্ব সহকারে লেখা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
{tocify} $title={Table of Contents}
৮ম সপ্তাহ ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১
চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্টটি তোমাদের লিখতে ভালো লাগে এবং এটি খুবই মজাদার একটি বিষয়। এই বিষয়ের এসাইনমেন্টগুলো তুলনামূলক ছোট হয়। তাই তোমাদের লিখতেও সময় কম লাগে।
চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট লিখতে অবশ্যই তোমদের প্রশ্নটি আগে পড়ে নিতে হবে। নিচে চারু ও কারুকলা ৮ম সপ্তাহের প্রশ্নটি দেওয়া হলো
৮ম সপ্তাহ ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন
ক্রমঃ এসাইনমেন্ট ২
অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় অধ্যায়, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে চারুশিল্প ও শিল্পিরা।
এসাইনমেন্টের বিয়ষবস্তুঃ
পাঠ:১
পাঠ: ২ চার ও কারুকলা ইনিস্টিটিউট
পাঠ: ৩ শহীদ মিনার ও ছয় দফা
পাঠ: ৪ আলপনা
পাঠঃ ৫ নবান্ন ও বাংলা নববর্ষ
পাঠ: ৬ স্বাধীনতা ও বিপ্লবী চিত্রের মিছিল
এসাইনমেন্টের নির্ধারিত কাজঃ
সর্বজনীন উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য তোমার পরিবার/এলাকায় কী ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে পারবে তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন কর ।
সংকেত:
০১। বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন বলতে পারি-ব্যাখ্যা কর।
০২। বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদযাপন কর?
০৩। তোমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কী না! হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয়?
এসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ
বছরগুলোতে তোমার পরিবার/এলাকায় কীভাবে দিনগ্রলো উদযাপন করা হত তার আলোকে লিখ ।
মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ
অতি উত্তম:
- বাংলা নববর্ষকে সার্বজলীন উৎসব সংজ্ঞামিত করতে পারা
- একটি ধারাবাহিক ও সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা
- বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন ৫/৬ পণপোর নাম উল্লেখ করতে পারা
উত্তম:
- বাংলা নববর্ষ উত্সব কি? সঠিক তথাসহ লিখতে পারা
- একটি ধারাবাহিক পরিকল্পনা তৈরি করা
- বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন ৫/৬ পণোর নাম উল্লেখ করতে পারা
ভাল:
- বাংলা নববর্ষ উৎসবের কিছ সঠিক তথা দেয়া
- কিন্তু অপোস্থালো একটি পরিকল্তানা তৈরি করা
- বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন ৫/৬ টি পণ্যের নাম উল্লেখ করতে পারা
অগ্রগতি প্রয়োজন:
- বাংলা নববর্ধ উত্সব সম্পর্কে অগোছালোভাবে কিছু লিখতে পারা
- বাংলা নববর্ষ উত্সবের কিছু সঠিক তথ্য দেয়া
- কিছু অগোছালো একটি পরিকল্পনা তৈরি করা
- বৈশাখী মেলায় পাওয়া ঘায় এমন 8/৫ টি পলোর নাম উল্লেখ করতে পারা
|
৮ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট ২০২১
|
উপরের চারু ও কারুকলা প্রশ্নটি যারা পড়েছো তারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছো যে তোমাদের কি করতে হবে। আসলে আমরা চারু ও করুকলা বলতে মনে করি ছবি আঁকানো আর খেলনা তৈরি। আসলে বিষয়টি কিন্তু তেমন না। তোমরা চারু ও কারুকলা বইটি পড়লেই তা বুঝতে পারো।
৮ম সপ্তাহ ৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট সমাধান
১। বাংলা নববর্ষকে সার্বজনীন উৎসব বলতে পারি । কারন বাঙালির নববর্ষ এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব । কেননা পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত । কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন । পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানো । দিনে-দিনে পয়লা বৈশাখ হয়ে ওঠে এক সার্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ উৎসব।
ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা ভূখেন্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ । কবি দাউদ হায়দার ডয়েচ ভেলের স্প্যানিশ বিভাগের এক সাংবাদিককে, বাংলা নববর্ষ এর প্রথম দিনকে বাঙালির কার্নিভাল বলে উল্লেখ করেন। বাঙালির এ কার্নিভালে অসাম্প্রদায়িক দিকটি ফুটে ওঠে। বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাঙালির মধ্যে প্রাণ-সঞ্চারিত হয় । বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে । বৈশাখের উৎসব সাহিত্য অঙ্গনেও ঠীঁই করে নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল থেকে হালের কবি সাহিত্যিকগণ বৈশাখ নিয়ে কবিতা-সাহিত্য রচনা করছেন।
বাঙালি “হালখাতা' নামে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে হিসাব শুরু করে। বাংলা নববর্ষে বাংলাদেশে বেচা-কেনায় ছাড় বা বাট্টা দেওয়ার সংস্কৃতি আছে। বাঙালির এ উৎসব অসাধারণ বৈশিষ্ট্যময় । বাংলা নববর্ষের এ এতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখানে কোনো জাতিভেদ ও ধর্মভেদ নেই। শহর-গ্রামে তরুণ-তরুণীসহ সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন। সকলে রবীন্দ্রনাথের গানটি গেয়ে ওঠেন,
“ এসো হে বৈশাখ, এসো এসো”।
এজন্য বাংলা নবব্কে সাবজ্জনীন উৎসব বলতে পারি ।
২। বাংলা নববষ যেভাবে উদযাপন করা হয়ঃ
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালির প্রাচীনতম এঁতিহ্য । পহেলা বৈশাখের উৎসবের মধ্যদিয়ে এ দেশের মানুষ এ এঁতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে । বৈশাখী মেলায় সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের আনাগোনা । মৈত্রী-সম্প্রীতির এক উদার মিলনক্ষেত্র । নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই এই মেলায় আসে । এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিকিকিনির আশা আর বিনোদনের টান। কৃষিক্ষেত্রেও বৈশাখ মাসের গুরুত্ব অনেক । বৃক্ষের ক্ষেত্রেও নব উদ্যমে নতুন জীবন শুরু হয় নতুন পাতা গজিয়ে ।
মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সম্রাট আকবর সিংহাসন আরোহনের সময় (৯৬৩ হিজরি) ফসলি সন নামে যে সন প্রবর্তন করেন, তা কালক্রমে বাংলা সন নামে পরিচিতি লাভ করে । তখন হিজরি সনের ভিত্তিতে এ দেশে বছর গণনা হতো । হিজরি বছর সৌর বছর থেকে ১১ দিন ছোট হওয়ায় কৃষির হিসাব-নিকাশ এলোমেলো হয়ে যেত। এতে কৃষকদের ফসলি সন গণনায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে কৃষকের কাছ থেকে জমিদারের খাজনা আদায় করতেও সমস্যা দেখা দেয়। জমিদার ও কৃষকদের সুবিধার্থে, এ সমস্যা দূর করতে মূলত বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । তাই বাংলা নববষের উৎসবের আমেজটা কৃষকের একটু বেশিই থাকে।
বৈশাখের প্রথম সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। বৈশাখী সাজে নানা বাহারি মুখোশ, শোলার পাখি, টেপা পুতুল হাতে হাতে নিয়ে ঢাক-ঢোল-বাঁশি বাজিয়ে হাজরো মানুষ অংশ নেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় । ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে এ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে । ২০১৬ হিষ্টাব্দের ৩০ নভেম্বর ইউনেক্কো কর্তৃক “বিশ্ব সাংস্কৃতিক এঁতিহ্যে' হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ সর্বজনীন শোভাযাত্রা।
ধর্ম. বণ; জাতি, লিঙ্গ পরিচয় নিবিশেষে সব পেশার, সব শ্রেণির মানুষ শামিল হন মঙ্গল শোভাযাত্রায় । পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নিতে আসা নারীদের মাথায় শোতা পয়ে ফুল, মুখে মুখে আল্লনা, তরুণদের হাতে পতাকাসহ বিভিন্ন আয়োজন আমাদের কষ্ট-দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।
৩ ।
বাংলা নববর্ষ খুবই আনন্দমুখর উৎসব । স্থানীয় কৃষিজাত ভ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত ইত্যাদি পণ্য এই মেলায পাওয়া যায় । শিশু-কিশোরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রীসহ এই মেলায় তাদের জন্য আরো অনেক বিশেষ সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও মিষ্টান্ন যেমন: চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ইত্যাদি এই মেলার বিশেষ আকষণ।
এ ছাড়া খোলা মাঠের বিশাল পরিসরে ছোটদের খেলনা, হাতে তৈরি বিভিন্ন মৃত্শিল্লের সামগ্রী এবং বিল্নি ধানের খই, মুড়ি, তিলুয়া, কদমা, বাতাসা, জিলাপি, মিষ্টিসহ হরেক রকম খাদ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসতেন ব্যবসায়ীরা । পাওয়া যেত কাঠবাঁশের তৈরি গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে প্রসাধনীসামগ্রী পযন্ত । কিন্তু কালের বিবর্তনে এতিহ্য হারাচ্ছে এসব গ্রামীণমেলা ৷ এ ছাড়া রয়েছে হরেক রকমের কুটিরশিল্প আর হস্তশিল্পের বাহারি প্রদর্শনী ৷ মেলায় দেখা মিলে বাংলার এঁতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের। এ মেলা বাঙালির আনন্দঘন লোকায়ত সংস্কৃতির ধারক, আবহমান বাংলা ও বাংলাদেশের প্রতিমূর্তি । সময়ের প্রবাহে মোঘল প্রবর্তিত বাংলা নববর্ষের উদযাপন-আয়োজনে এসেছে পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলায়।
চারু ও কারুকলা বিষয়টি ৮ম সপ্তাহে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য। তোমাদের কোনো ছোটো ভাই বনেরা ৬ষ্ঠ বা ৭ম শ্রেণিতে পড়লে তোমরা তাদের বলবে বিডিপ্রাইমারি সাইটে গেলেই ৮ম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট উত্তরটি পাওয়া যাবে।
৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট সমাধান
ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেনির ২০২১ সালের সকল নমুনা এসাইনমেন্ট আমরা লিখে থাকি তোমরা সকল এসাইনমেন্ট উত্তরের জন্য আমাদের ফেজবুক পেজটি লাইক দিয়ে রাখো এবং এসানিমেন্টের গ্রুপে জযেন করে রাখ। এবং এসাইনমেন্টগুলি ভিডিও পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেল টি সাবসক্রাইব করে রাখো। নিচে এসাইনমেন্টের পেজ ও গ্রুপ লিংক দেওয়া হলো।
আমাদের ইউটিউব লিংক
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
assignment all class (6-9)📝📝