মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এলাম ৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১। এই ৯ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্টে তোমরা নির্ভূল উত্তর সহ সর্বাধিক নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়ে যাবে।
৯ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর উত্তর লেখার আগে তোমরা সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে নেবে। তাহলে তোমরা এসাইনমেন্টটা সুন্দর ভাবে শেষ করতে পারবে। লেখার ভিতরে অনেক টিপস দেওয়া থাকে যেগুলো তোমাদের এসাাইনমেন্ট লিখতে অনেক কাজে লাগে। তাছাড়া তোমরা কোনো কিছু না পড়ে উত্তর লিখলে লেখার মধ্যে অনেক ভূল থেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ
৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
দেশের সকল প্রান্তের মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ৯ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা সমাধান লিখবে তাদের জন্য নিচ প্রশ্নগুলো দেওয়া হবে। সেখান থেকে তোমরা তোমাদের বাংলা প্রশ্নটি পড়ে নিচে। তোমরা জানো প্রশ্নে কয়েকটি অংশ থাকে যার মধ্যে দুটি অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা হলো এসাইনমেন্টের বিষয় এবং নির্দেশনা। মূল্যয়ন রুব্রিক্স খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে তোমাদের সময় থাকলে অবশ্যই পড়ে নিবে। প্রশ্নের কোনো অংশই বাদ দেওয়া ঠিক নয়।
এটি ৯ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট নং ৩
৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনামঃ কবিতা।
পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ বঙ্গবানী (আব্দুল হাকিম)
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ “বঙ্গবানী ও কপোতাক্ষ নদ উভয় কবিতাতেই মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছ “ - মন্তবটির স্বপক্ষে তোমার যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।
নির্দেশনাঃ শিক্ষার্থীরা পাঠাবই থেকে বঙ্গবাণী' ও কপোতাক্ষ নদ কবিতা দুটি ভালোভাবে পড়ে এ্যাসাইনমেন্টটি সম্পূর্ণ করবে।
মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ
আতি উত্তম:
- “বঙ্গনাণী' কবিতা থেকে মাতৃভাষা প্রীতির উত্তেখ করা
- “কপোতাক্ষ নদ' কবিতা থেকে মাতৃভাষা প্রীতির উল্লেখ করা
- যৌক্তিক বিশ্লেষণ করতে পারা
- লেখায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিষ্তস্বতা ও সৃজনশীলতা
উত্তম:
- বঙ্গবাগী' কবিতা থেকে মাতৃভাষা প্রীতির উদ্লেখ করা
- “কপোতাক্ষ নদ' কবিতা খেকে মাতৃভাষা প্রীতির উল্লেখ করা
- যৌক্তিক বিশ্বেষশ করতে পারা
- লেখায় আংশিক নিজন্বতা ও সৃজনশীলতা
ভালো:
- 'বঙ্গবাণী' কবিতা থেকে মাতৃভাষা প্রীতির উল্লেখ করা
- কপোতাক্ষ নদ' কবিতা থেকে মাতৃভাহা প্রীতির উল্লেখ করা
- যৌক্তিক বিশ্রেষণ আংশিক করতে পারা
- লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজন্বতা ও সৃজনশীলতা
অগ্রগতি প্রয়োজন:
- বঙ্গবাণী' কবিতা থেকে মাতৃভাষা প্রীতির উল্লেখ করতে না পারা
- “কপোতাক্ষ নদ' কৰিতা থেকে মাতৃতাষা প্রীতির উল্লেখ করতে না পারা
- যৌক্তিক বিশ্লেষণ করতে না পারা
- লেখায় নিজশ্বতা ও অভাব
|
৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২১ |
উপরের প্রশ্ন পড়লে তোমরা বুঝতে পারবে তোমাদের কী করতে হবে। তোমাদের মূলত একটি তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে। উত্তরটি লিখতে তোমাদের বঙ্গবানী ও কপোতাক্ষ নদ দুটি কবিতা পড়তে হবে এবং ভালোকরে বুজে নিতে হবে। তারপর উভয় কবিতায় মাতুভূমির প্রতি ভালোবাসার কথা আলোচনা করতে হবে। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তাই তোমরা আমাদের দেওয়া এসাইনমেন্টটি হুবুহু কপি না করে কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে।
৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর
এসাইনমেন্ট শুরু
সূচনাঃ মধ্যযুগের বাংলা কাব্যসাহিত্যের অন্যতম কবি আব্দুল হাকিম রচিত নূরনামা কাবগ্রন্থের অন্তর্গত
বঙ্গবানী এবং বাংলা সনেট এর প্রবক্তা মাইকেল মদুসৃদন রচিত চতুর্দশপদী কবিতাবলীর অন্তর্গত
কপোতাক্ষ নদ উভয় কবিতাতেই মাতৃভাষার প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসার স্বরুপ দেখতে পাই। উপরে উল্লেখিত মন্তব্যটির সাথে আমি একমত পোষণ করছি এবং কেন করছি তার স্বপক্ষে আমার স্বব্যখ্যাত মতামত নিন্মের আলোচনার মাধ্যমে উপস্থাপন করছি।
দেশপ্রেম কীঃ দেশপ্রেম হল নৈতিক পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক নীতি, যার যার নিজের জন্মভূমির প্রতি ভালবাসার উপর ভিত্তি করে একটি বোধ, পাশাপাশি পিতৃভূমির স্বার্থের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক। দেশপ্রেম শব্দটি এসেছে গ্রীক ভাষা থেকে।
বঙ্গবাণী কবিতায় দেশপ্রেমের স্বরুপঃ বঙ্গবাণী কবিতায় কবি আব্দুল হাকিম তীর মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন তার লেখনীর মাধ্যমে । কবি বঙ্গবাণী কবিতা লেখার সময় অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, বাংলা ভাষায় গ্রন্থ রচিত না হলে সাধারণ মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। মানুষের নিজ ধর্ম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর কৃপা পাওয়ার সমান অধিকার রয়েছে। আর আল্লাহ তার সৃষ্ট সব পশু পাখি ও মানুষের ভাষাই বুঝতে পারেন। তাই কৰি নিজ ভাষায় কাব্য রচনায় এবং ধর্মীয় উপাসনার পক্ষে তার মতামত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন মারফত সম্পর্কে যারা অঙ্গ তারাই হিন্দুয়ানী ভাষাজ্ঞানে বাংলা ভাষার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে। তিনি বাংলার মার্টিতে জন্মে যারা বাংলা ভাষার প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করেন তাদের জন্মপরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এই কবিতার মাধ্যমে। অর্থাৎ কবির এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে তিনি তার দেশ ও ভাষাকে কতটা ভালবাসতেন। বঙ্গবাণী কবিতায় কৰি স্বভাষার বিরোধিতাকারীদের এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিদেশি ভাষার প্রতি অনুরাগীদের কৰি প্রছন্দ করেন না্ আত্মবিশ্বাসী কবি বিশ্বাস করেন, বাংলা ভাষায় যত উপদেশ বাণী রচিত হবে তা আমাদের মনকে পুনঃপুন জাগিয়ে তুলবে। কৰি বলেছেন,
“হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিভিধ রতন;
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন লোভে মত, করিনু ভ্রমন
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কী কুক্ষণে আচরি।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টতই কবির দেশের প্রতি অপরিসীম প্রীতি ও ভালবাসা প্রকাশ পায়।
কপোতাক্ষ নদ কবিতায় দেশপ্রেমের স্বরুপঃ “কপোতাক্ষ নদ" কবিতায় কৰি যশোরের সাগরদীড়ির পাশ দিয়ে কুলকুল ধ্বনিতে বয়ে যাওয়া কপোতাক্ষের প্রতি তীর গভীর প্রেমবোধের পরিচয় দিয়েছেন। রোমস্থন করেছেন, হয়েছেন কাতর। জন্মভূমির এ নদ যেন কবিকে মায়ের প্লেহডোরে বেঁধেছে, তাই কিছুতেই তাকে তিনি ভুলতে পারেন না। স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা কবি এই কবিতার মাধ্যমে বঙ্গবাসীর কাছে ব্যক্ত করেছেন। কবির এই মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ও স্মৃতিকাতরতা “কপোতাক্ষ নদ" কবিতার প্রধান উপজীব্য বিষয়। কবি তার প্রিয় নদ তথা দেশকে স্মরণ করে বলেছেন,
”প্রজারুপে রাজরুপ সাগরের দিতে
বারি-রুপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে”
উপসংহারঃ আমার পাঠ্যবই এ রচিত “বঙ্গবাণী ” ও “কপোতাক্ষ নদ” এই দুইটি কবিতাই মূলত মাতৃভাষা প্রীতির মাধ্যমে দেশপ্রেমেরই বহিংপ্রকাশ মাত্র। উপরের আলোচনার মাধ্যমে একথা আরও সুস্পষ্ট হয়।
এসাইনমেন্ট শেষ
নবম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
তোমরা যারা এসাইনমেন্টটি লিখলে তাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে উত্তরটি হুবুহু লিখলে কি নম্বর পাওয়া যাবেনা। উত্তর হচ্ছে হ্যা যাবে। তবে তোমরা উত্তরটি পড়ে নিজের মত করে লিখলে সবথেকে ভালো হয়। তোমাদের যদি বঙ্গবাণী ও কপোতাক্ষনদ সম্পূর্ণ পড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে উপরে কবিতার নামের উপরে ক্লিক করো।
তোমরা ৯ম শ্রেণির ৮ম সপ্তাহ বাংলার মত চারু ও কারুকলা উত্তরটিও পেয়ে যাবে। তাই এসাইনমেন্টের উত্তর দ্রুত পেতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দয়ে রাখ। নিচে আমাদের সোসাল মিডিয়ার লিংকগুলো দেওয়া হলো।
আমাদের ইউটিউব লিংক
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
assignment all class (6-9)📝📝