২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট চলছে। সেই এসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে দশম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রকাশ করা হলো। এটাই তোমাদের ২০২২ সালের এসএসসি ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা ১ম এসাইনমেন্ট। যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এসাইনমেন্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমরা তোমাদের ১০০% নির্ভূল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তোমাদের এই এসাইনমেন্টের উপর নম্বর বিভাজন রয়েছে। তাই তোমদের উচিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো যত্ব সহকারে লিখা। আর তোমাদের নম্বর বিভাজনের কথা বিবেচনা করে আমরা এসাইনমেন্টগুলো নমুনা উত্তর প্রকাশ করছি।
{tocify} $title={Table of Contents}
২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম পত্র ৪র্থ সপ্তাহ লেখার আগে তোমরা প্রশ্নগুলো পড়ে নাও। প্রশ্নগুলো না পড়ে কখনো উত্তর লেখা শুরু করবেনা। প্রশ্ন না পড়লে উত্তরে অনেক ভূল ত্রটি রয়ে যায়।
৪র্থ সপ্তাহ বাংলা এসাইনমেন্টটি তোমাদের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য। তাই তোমরা যারা ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী তারা যেন ভূলে এই এসাইনমেন্টগুলো লিখে ফেলোনা।
দশম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র এসাইনমেন্ট ২০২১
আমরা তোমাদের এসাইনমেন্ট নিয়ে বদ্ধ পরিকর। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট বাংলা উত্তর ভালো ভালে নির্ভূল করে লিখতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়।
করোনাকালীন সময়ে তোমাদের পড়ালেখা এগিয়ে নিতে এই উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা অ্যাসাইনমেন্টগুলো যথাযথ ভাবে লিখলে তোমাদের জ্ঞান ও বৃদ্ধি পাবে সেই থাথে তোমাদের পড়ালেখার যে ঘাটতি সেটাও দুর হবে।
এসএসসি বাংলা বিষয় কোড ১০১। এবং ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টটি তোমাদের ১ম পত্র থেকে দেওয়া হয়েছে। এবং এটি কবিতা অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন
বিষয়ঃ বাংলা প্রথম পত্র
এসাইনমেন্ট ক্রমঃ এসএসসি বাংলা এসাইনমেন্ট ২
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ’বঙ্গবানী’কবিতার আলোকে মাতৃভাষার গুরুত্ব মূল্যায়ন।
শিখনফলঃ কবিতাটি পড়ে তার মূলভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
এ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি)ঃ
- ১. কবি আবদুল হাকিমের মাতৃভাষায় গ্রন্থ রচনার কারণ ।
- ২. মাতৃভাষা-বিদ্বেধীদের প্রতি কবির মনোভাব ।
- ৩. সাধারণ কথোপকথন, বইপত্র, সাইনবোর্ড, ব্যানার, সংবাদ ও গণমাধ্যম ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভাষার অপপ্রয়োগের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন । (প্রয়োজনে ছবি, পেপারকাটিং যুক্ত করা)
- ৪.মাতৃভাষার অপপ্রয়োগ কমাতে এবং যথাযথ প্রয়োগ বাড়াতে একক বা দলগতভাবে কী ধরনের ভূমিকা রাখা যায়, এ বিষয়ক একটি পরিকল্পনা তৈরি।
উপরের প্রশ্নগুলো পড়ে তোমরা বুঝতেই পারছো তোমাদের কি লিখতে হবে এবং কিভাবে লিখতে হবে। নিচের নমুনা উত্তরটি দেখে তোমারা কিছুটা পরিবর্তন করে লিখতে পারো।
২০২২ সালের এসএসসি অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা উত্তর
কবি আব্দুল হাকিমের মাতৃভাষা
গ্রন্থ রচনা কারণঃ
কবি সাধারণ মানুষকে সাহিত্য
পাঠের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কাব্য রচনা করেছেন।যে ভাষা সাধারণের বোধগম্য নয় , সে
ভাষায় সাহিত্য রচনায় করলে তা তারা বুঝতে পারে না । ফলে তারা সাহিত্যপাঠে আনন্দ থেকে
বঞ্চিত হয় । তৎকালীন সময়ে আরবি - ফারসি ভাষায় পুস্তক রচিত হতো বলে তা সাধারন মানুষ
বুঝতে পারত না । কবি এ সকল সাধারণ মানুষের জন্য মাতৃভাষায় কাব্য রচনা করেছেন যাতে
তারাও সাহিত্য পাঠ করতে পারে । বাংলাভাষী মানুষের জন্য বাংলায়গ্রন্থ রচনাই উত্তম বলে
মনে করেন । সাহিত্য রচনা করে লেখক সাধারণ মানুষের সাথে নিজ নিজ মনের সংযোগ ঘটান । সাহিত্য
রচনার ভাষা সাধারণের বোধগম্য না হয় তবে মনের সংযোগ সম্ভব নয় । কবির মতে , সাধারণ
মানুষের জন্য মাতৃ ভাষায় রচিত কাব্য সবচেয়ে উপযোগী । এ কারণেই তিনি মাতৃভাষা তথা
বাংলায় কাব্য রচনা করায় মনোনিবেশ করেছেন ।
মাতৃভাষা বিদ্বেষীদের প্রতি
কবির মনোভাবঃ
কবি বাংলা ভাষা বিদ্বেষীদের
দেশ ত্যাগ করার উপদেশ দিয়েছেন । অনেক মানুষই আছে , যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে অথচ
বাংলা ভাষার প্রতি তাদের কোন মমতা নেই । এদের বংশ ও জন্ম পরিচয় সম্পর্কে কবির মনে
সন্দেহ জাগে । এসব মাতৃভাষা বিদ্বেষীদের প্রতি কবি প্রচণ্ড ক্ষোভ । তাই তিনি সখেদে
বলেছেন , এসব মানুষের নিজ দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যা উচিত । কারণ এদের স্বদেশ এবং স্বভাষার
প্রতি মমত্ববোধ নেই বলে কবি দাবি করেন । স্বদেশে থেকে যারা স্বদেশের প্রতি বীতরাগ তারা
প্রকৃতপক্ষে দেশ ও দেশের ভাষার প্রতি মমত্বহীন । তাদের এরূপ হীন মানোভাব লক্ষ্য করে
ব্যথিত হয়েছেন কবি । শিকড়হীন পরগাছা প্রকৃতির এসব মানুষের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা
প্রকাশ করতেই তিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে তাদের দেশ ত্যাগের উপদেশ দিয়েছেন ।
সাধারণ কথোপকথন , বইপত্র ,
সাইনবোর্ড, ব্যানার , সংবাদ ও গণমাধ্যম ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভাষার অপপ্রয়োগ বিভিন্ন দৃষ্টান্ত
উপস্থাপনা ( প্রয়োজনে ছবি , পেপার কাটিং সংযুক্ত করা )
মায়ের ভাষায় ভাব প্রকাশের অধিকার আদায় বুকের তাজা রক্ত দেওয়ার নজির কেবল বাংলাদেশেই আছে।ভাষা হিসেবেও সেই গৌরব বয়ে বেড়াতে পারছে বাংলা । এত ত্যাগ তিতিক্ষা তবুও দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষা এখন পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি । মাতৃভাষা ব্যবহারে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যদের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে । দেশটির নাগরিকরা জীবনের প্রতিটি পরতে যেন পরম মমতায় অনুভব করেছেন নিজেদের মাতৃভাষাকে ।
সাধারণ কথোপকথন
বাংলা ভাষার চরম বিকৃত হয়েছে সাধারণ কথোপকথন এর মাধ্যমে।কথায় আছে এক দেশের বুলি অন্য দেশের গালি । এক অঞ্চলের ভাষা কোন অঞ্চলের মানুষ সহজে বুঝতে পারে না । অথচ একই দেশে বসবাস করি । বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করলে দেখা যায় মাতৃভাষার বিভিন্ন রূপ । আজ বাংলা ভাষাতে হিন্দি , নেপালি , তিব্বতীয় ও ইংরেজি ভাষার সংমিশ্রণ । যার প্রভাবে আসল মাতৃভাষার শব্দগুলাে এখন বিলুপ্তির পথে ।
বইপত্র
বর্তমানে বিভিন্ন উপন্যাস ও কবিতায় বিভিন্ন বিদেশি শব্দের সংমিশ্রণ দেখা যায় । এছাড়াও এসব পাঠ্যপুস্তকে বানানে ব্যাকরণ রীতি অনুসরণ করা হয় না । মানুষ বানান এখন লেখা হয় মানুস । পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষার বানান এখন আমাদের ভাষায় প্রবেশ করেছে যা আমাদের কাম্য নয় । বিদেশি ভাষার প্রভাবে আমাদের দেশীয় ভাষার শব্দগুলো বইপত্রে কমই দেখা যায় ।
সাইনবোর্ড
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা , মায়ের ভাষা । সেই ভাষায় আমরা সবাই কম বেশি ভুল করি । কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে এ ধরনের ভুল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত । বানান ভুলের কারণে কুড়িল উড়ালসেতু এখন ভাজা সেতুর অর্থ বহন করে । দৃষ্টিনন্দন কুড়িল ফ্লাইওভারের একদিকে সাইনবোর্ড ফ্লাইওভারের বদলে লেখা হয়েছে ফ্রাই ওভার । এর সঙ্গে পাল্লা দিতে হয়তো এই ফ্লাইওভারের ঘিরে অন্যান্য বোর্ডেও চলছে ভুল বানানের উৎসব । দেশের চারদিকে ছড়ানো বিভিন্ন ফ্লাইওভারের দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড গুলো এমনভাবে ভুল বানানে দাঁড়িয়েছে যা দেখে অবাক হওয়ার সঙ্গে , লজ্জাও পেতে হয় । চারিদিকেই ভুল বানানের ছড়াছড়ি । ২০ থেকে ৩০ গজের মধ্যে একেক বানান একেক রকম । স্বরণি লেখা সাইনবোর্ড সত্যি স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো।
ব্যানার
ব্যানারে বাংলা ভাষার ব্যবহার দেখলে চোখ কপালে ওঠার মতন । যারা ব্যানার লেখেন তারা না জানে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রীতি না জানে ভাষার সঠিক অর্থ প্রতিদিন সকালবেলা রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে থাকে বিভিন্ন রঙের ব্যানার । এই ব্যানানের ভাষার বানান দেখলে মনে হয় না যে এগুলো বাংলা ভাষার শব্দ । ব্যানারের বিভিন্ন বিদেশি শব্দ পাশাপাশি বাংলা শব্দগুলাে বাংলায় লেখা হয় । যা দেখে মনে হয় যে বিদেশি ভাষার শব্দগুলো বাংলা ভাষার সন্তান । যাহা এইমাত্র জন্ম গ্রহণ করলো
সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম
তবে আমাদের মাতৃভাষা নিয়ে
আরেকটি সমস্যা প্রকট হয়েছে । সেটা হল- বাংলা সাথে ইংরেজি মিশিয়ে এক অদ্ভুত জগাখিচুড়ি
ভাষার তৈরি । এছাড়াও ইংরেজি শব্দগুলো এখন বাংলা শব্দ পরিণত হয়েছে যেমন মােবাইল ,
ফোন এফএম রেডিও , টেলিভিশন ইত্যাদি । আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে
হাতে গোনা কয়েকটির নাম বাংলায় বাকিগুলো ইংরেজিতে । এই নামগুলো দেখে বােঝার উপায়
নাই যে এগুলো আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় । এছাড়াও বাংলা ভাষার অপব্যবহার বিভিন্ন
সাহিত্যে , চলচ্চিত্রে , নাটকে , গানে , সংবাদপত্রে দেখা যায় । কিছু দেশীয় সংবাদপত্রগুলো
বানান রীতি অনুসরণ করলেও স্থানীয় পত্রিকাগুন [ তাদের ইচ্ছামত ভাষার শব্দ ও বানান লিখতে
দেখা যায় । যা সবার কাছে বোধগম্য নয় । এছাড়াও বাংলা ভাষার অপব্যবহার আরো অনেক ক্ষেত্রে
দেখা যায় যেমন সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালতে ।
মাতৃ ভাষার অপপ্রয়োগ কমাতে এবং যথাযথ প্রয়োগ বাড়াতে একক বা দলগতভাবে কী ধরনের ভূমিকা রাখা যায় এ বিষয়ক একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হলোঃ
ভাষাকে বাঁচাতে হলে , ভাষা
মর্যাদা ও অধিকারকে সমুন্নত রাখতে গেলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভাষা পরিকল্পনা।আর এর সঙ্গে
অনিবার্যভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে সামাজিক- ভাষিক অবস্থিতিবোধ । ভাষার ঐতিহাসিক মর্যাদা
রক্ষা ছাড়া জাতীয় সামূহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় । যে ভাষা নতুন অর্থ প্রদান করতে
সক্ষম , যে ভাষা মানুষের বাসনাকে ধারণ করে , যে ভাষা নতুন- জাগা ও প্রজ্ঞাকে প্রকাশ
করে চিন্তা ও যাপন কে মিলাতে পারে , সে ভাষার লালন প্রাসঙ্গিক । ভাষা , জাতীয়তা এবং
রাষ্ট্র কিভাবে পরস্পর অন্বিত হয়ে একটি অনিবার্য পরিণতির দিকে ধাবিত হয় । অন্যদিকে
অফিস - আদালত কর্মক্ষেত্র ব্যবহারিক বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগে নিশ্চিত করার জন্য দরকার
সরকারি আগ্রহ- উদ্যোগ । সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পণ্যের বিজ্ঞাপনে ভাষা প্রয়োগের
ক্ষেত্রে অসচেতনতা বা ইচ্ছে করে ভাষার অপপ্রয়োগ এর প্রবণতা পরিহার করতে হবে । সর্বজনীন
বাংলা ভাষার প্রয়োগে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষিত নাগরিককে এগিয়ে আসতে
হবে । তবেই শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভাষা সবার মাঝে আজীবন লালিত হবে ।
$ads={2}
আরো পড়ুনঃ
- দশম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের ইংরেজি ১ম পত্র এসাইনমেন্ট ২০২১
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এসাইনমেন্ট লিখন একটা বড় চেলেন্জ। তোমরা এই চেলেন্জ মোকাবেলা করতে সামর্থ হবে আশা করা যায়। তোমাদের সাথে আমাদের সাইট সবসময় ছিল এবং থাকবে।
দশম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলা ১ম পত্র
তোমাদের অনেকেই আমাদের কাছে এসাইমেন্টের জন্য মেসেজ করো। কিন্তু আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত দেরি হওয়ায়। এখন ৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে শুরু করে এইচ এসসি পর্যন্ত এসাইনমেন্ট চলছে। তাই এতগুলো এসাইনমেন্ট একসাথে প্রকাশ করা আমাদের পক্ষে খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
তবে তোমদের সুবিধার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সাথে থাকতে আমাদের সোসাল মিডিয়ার এসাইনমেন্ট সম্পর্কিত ফেজবুক পেজ ও গ্রুপে জয়েন করো।
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391