২য় সপ্তাহের পর ১০ সপ্তাহের আবারো বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টটি দেওয়া হয়েছে। এরপর তোমাদের ১৬ সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৩ এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হবে।
{tocify} $title={Table of Contents}
৬ষ্ঠ শ্রেণির ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ হওয়ার আগে করেনাকালীন লকডাউনে তোমাদের এসাইনমেন্ট প্রোগ্রাম বন্ধ ছিলো। আবার এই ১০ সপ্তাহ চলাকালীন তোমাদের এসাইনমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে যেহেতু তোমরা ১০ সপ্তাহের বাংলাদেশে ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন পেয়ে গেছো সেহেতু এসাইনমেন্ট উত্তর টি তোমরা লিখে রাখো। লকডাউন ছেড়ে গেলে তোমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে জমা দিবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১০ম সপ্তাহ
অন্যান্য সপ্তাহের এসাইনমেন্টের মত এবারো তোমাদের দুটি এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট দুটি হলো বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। এই দুটি অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর তোমরা এখানে পেয়ে যাবে। নিচে ১০ সপ্তাহ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক দেওয়া থাকবে।
$ads={1}
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় লেখা শুরু করার আগে তোমাদের প্রশ্নগুলো পড়ে নেওয়া অন্যন্ত জরুরী। তাই তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেনির ১০ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রশ্নগুলো নিচে দেওয়া হলো।
৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১০ম সপ্তাহ প্রশ্ন
শ্রেণিঃ ষষ্ঠ
বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়।
এসাইনমেন্ট ক্রমঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট-২
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা এবং বর্তমান সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য।
এসাইনমেন্ট বিষয়বস্তুঃ পাঠ-১ ভারত উপমহাদেশের নগর সভ্যতা
পাঠ-২
পাঠ-৩ মহাস্থানগড় (পুন্্রনগর)
পাঠ -৪ ও ৫ প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা
নির্ধারিত কাজঃ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত কর এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নির্দেশনাঃ
১। অনুরুপ ছক তৈরি কর।
২। উপরিউক্ত ছকের আলোকে এ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করবে।
৩। পাঠ্যপুন্তুক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসরণ করবে।
8। প্রয়োজনে একাধিক কাগজ ব্যবহার করতে পারবে।
৫। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি সভ্যতার একটি চিত্র ব্যবহার করবে।
তোমরা যারা উপরের প্রশ্নগুলো পড়েছো তারা স্পষ্ট বুঝে গেছো যে কিভাবে উত্তরটি লিখতে হবে। তবে তোমাদের সুবিধার্তে আমাদের কিছু কথা আমরা নিচে লিখে দিচ্ছি।
তোাদের একটি ছক তৈরি করতে হবে উপরের ছকের মত এবং এবং কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার নাম উল্লেখ পূর্বক তথ্য দিতে হবে। সেই সাথে বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লিখতে হবে।
১০ সপ্তাহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উওর
এসাইনমেন্ট শুরু
তারিখ : ২২ জুলাই, ২০২১
প্রধান শিক্ষক
মতিঝিল,ঢাকা।
বিষয়ঃ বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা এবং বর্তমান বাংলাদেশ ও প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিষয়ক প্রতিবেদন ।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, ২০ জুলাই,২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ যাহার স্মারক ম.ম.স.উ.বি.-০৬ / ২০২১ অনুসারে “বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা এবং বর্তমান বাংলাদেশ ও প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য" বিষয়ক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি” ।
নিম্নে বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য তুলে ধরা হলোঃ
বর্তমান বাংলাদেশে যে জীবনব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তার শুরু ও বিকাশ হঠাৎ করে হয়নি । প্রাচীন বাংলার মানুষের হাতেই তৈরি হয়েছে এর ভিত্তি। আর কালে কালে নানা পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে এর বিকাশ ঘটেছে । তাই আজকের বাংলাদেশের সমাজে অনেক পরিবর্তন এলেও আগের দিনের অনেক বৈশিষ্ট্য এখনো অক্ষুন্ন রয়েছে । আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একেবারে আলাদা ধারাও লক্ষ করা যায়।
মানুষের জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে। আজকের বাংলাদেশের সংস্কৃতি গভীরভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে এতে প্রাচীন বাঙালি সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বাঙালির মধ্যে অসাম্প্রদায়িক জীবনধারা বিকাশে প্রাচীন বাংলার প্রভাব স্পষ্ট । সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধর্ম। বাংলাদেশের মানুষের বেশির ভাগ মুসলমান । কিন্তু এদেশে ইসলাম ধর্ম এসেছে মধ্যযুগে । তাই প্রাচীন বাংলায় ইসলামের প্রভাব ছিল না। তখন হিন্দু ও বৌদ্ধ ধমহ ছিল সমাজের প্রধান ধর্ম। এখানে প্রাচীন বাংলা বলতে বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতবষের পশ্চিমবঙ্গের সীমানাকে বোঝানো হচ্ছে। ধমবিশ্বাসের দিক থেকেও আমাদের দেশে বৈচিত্র্য কম নয়। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্ম এখানে পালিত হচ্ছে । ইসলাম ধর্ম প্রচারে মুসলিম সুফি ও সাধকরাই প্রধান ভুমিকা পালন করেছেন। এভাবেই আজ বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশে পরিণত হয়েছে।
$ads={1}
প্রাচীন বাংলার অথনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর । সেসময়ে কৃষিতে বাংলার উদ্ৃত্ত ছিল। ধান ছিল এই অঞ্চলের প্রধান ফসল । প্রাচীন বাংলায় উৎপাদিত গুড় ও চিনি বিদেশে রপ্তানি হতো। তুলা,সরিষা ও পান চাষের জন্য।
বাংলাদেশের খ্যাতি ছিল। অর্থাৎ প্রাচীন বাংলা কৃষিতে সমৃদ্ধশালী ছিল। বর্তমান বাংলার কৃষির সাথে প্রাচীনকালে উৎপাদিত ফসলের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিদেশি নানা জাতের ফসল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি । প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশের তাতিরা মিহি সুতি ও রেশমি কাপড় বুনতে পারদর্শী ছিল। প্রাচীন বাংলার মসলিন কাপড় ছিল পৃথিবী বিখ্যাত। তখন উন্নত মানের মৃৎপাত্র, ধাতব পাত্র, অলংকার নিম্ণি হতো। বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মসলিন কাপড়ের অস্তিত্ব না থাকলেও যারা মসলিন কাপড় তৈরি করতেন তাদের বংশধররা বর্তমানে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন। বর্তমান বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে পৃথিবীর অন্য দেশ থেকে আনেক এগিয়ে ।
প্রাচীন যুগে বাংলার বিনোদন ও ধম-কমের অংশ হিসেবে গ্রামে-গঞ্জে নাচ- গান, নাটক, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলার প্রচলন ছিলো । বাদ্যযন্ত্র হিসেবে করতাল, বীণা, বাঁশি, মৃদঙ্গ দেখা যেত। তবে বর্তমানে এসব পুরাতন বাদ্যযন্ত্রের কয়েকটি সাথে মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও বর্তমান বাঙালির ইত্যাদি । প্রাটীন যুগের মঞ্চনাটকের প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমান সংস্কৃতির আগ্রহ মূলত টেলিভিশন কিংবা মোবাইলে নাটক. সিনেমা দেখায় । বর্তমানে মঞ্চ নাটকের প্রচলন থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেলিভিশন কিংবা মোবাইল প্রযুক্তির উপর দর্শক নির্ভনশীল।
$ads={2}
প্রাচীন বাংলায় তিনটি বড় ভাষাগোষ্ঠী তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে এসেছে । তারা ছিলো অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও আর্য। তাদের প্রভাব আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিতে এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের রয়েছে প্রকৃতির সাথে বসবাসের দীর্ঘ এতিহ্য, নানা জাতের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া নানান সংস্কৃতিবিভিন্ন ধর্মের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণা । এসব মিলে জনবৈচিত্র্ের মতোই বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকেও লালন করে আসছে। বাঙালি সংস্কৃতির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের হলো, এখানকার প্রকৃতি যেমন সমৃদ্ধ তেমনি এর রয়েছে ভাঙাগড়ার খামখেয়ালিপনা। এটিকে কোনভাবেই এড়িয়ে চলা সম্ভব ছিল না, এখনও অসম্ভব । পরিশেষে বলা যায় যে. প্রাচীন বাংলার ও বর্তমান বাংলার সংস্কৃতির মধ্য বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাদৃশ্য বর্তমানেও বিদ্যমান ।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ ২২ জুলাই, ২০২১
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম. হাজীগঞ্জ
প্রতিবেদন প্রাপকের নাম ও ঠিকানাঃ মোঃ মনির হোসেন হাজীগঞ্জ
এসাইনমেন্ট শেষ
$ads={2}
আরো পড়ুনঃ
- ষষ্ঠ শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর
শেষ কথাঃ তোমরা যারা উপরের অ্যাসাইনমেন্টটি লিখেছো তারা প্রতিটা সভ্যাতার ছবি প্রিন্ট করে লাগালে ভালো হবে। তবে না লাগালেও সমস্যা নাই। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নামের ছকটি অবশ্যই স্কেল দিয়ে দাগ টেনে করবে।
সকল এসাইনমেন্টের উত্তর দ্রত ও নির্ভূল উত্তর পেতে আমাদের সাইটের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখ। অথবা আমাদের এসাইনমেন্টের ফেজবুক গ্রুপে জয়েন করো। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারো। এসাইনমেন্টের উত্তরগুলো আমরা সেখানেও প্রকাশ করে থাকি।
আমাদের ইউটিউব লিংক
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
assignment all class (6-9)📝📝