২০২০ থেকে ২০২১ সালে করোনাকালীন সময়ে মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু রেখেছে। সেই সূত্র ধরে পকাশ করা হবে ৭ম শ্রেণির ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। ৭ম শ্রেণির অন্যান্য এসাইনমেন্টের ন্যয় ১০ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির সকল এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হবে।
৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেতে তোমরা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়। তোমাদের সুবিধার্তে ১০ সপ্তাহের দুটি এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং শারীরিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রকাশ করা হবে। প্রশ্নটি অধিদপ্তরের সাইটে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের কাছে তোমরা উত্তরটি পেয়ে যাবে।
{tocify} $title={Table of Contents}
করোনাকালীন সময়ে তোমাদের যে এসাইনমেন্টগুলো দেওয়া হচ্ছে তা তোমাদের ভালোর জন্যই দেওয়া হচ্ছে। তোমরা এসাইনমেন্টের উত্তরগুলো খুব যত্বসহকারে দিবে। কারণ তোমরা হয়তো জেনে গেছো গত বছরের ন্যয় এ বছরও বিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হলে এই অ্যাসাইনমেন্টের উপর নির্ভর করে ২৫% নম্বর দেওয়া হবে।
৭ম শ্রেণির ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
মাধ্যমিকে পড়ুয়া ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির জন্য ২য় সপ্তাহের মত ১০ সপ্তাহেও দুটি এসাইনমেন্টের উত্তর লিখতে হবে। তবে ২য় সপ্তাহে ছিলো ইংরেজি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। কিন্তু ১০ সপ্তাহে রয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং শারীরিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা।
এই বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টটি তোমাদের ২নং এসাইনমেন্ট কিন্তু শারীরিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা এসাইনমেন্টটি ১নং। ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২নং এসাইনমেন্ট তোমাদের ১০ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে প্রকাশ করা হবে।
৭ম শ্রেণির ১০ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন
বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
এসাইনমেন্ট ক্রমঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ২
অধ্যায়ঃ দ্বিতীয় অধ্যায়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র।
শিখনফলঃ
২। এদেশের নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য রয়েছে তা বর্ণনাকরতে পারব;
৩। বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতি সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব
৪) বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি ও এর উপাদান বর্ণনা করতে পারব;
৫। বাংলাদেশের সাং জীবন সম্বন্ধে বর্ণনা করতে পারব ।
এসাইমেন্টে বিষয়বস্তুঃ
- পাঠ-১: বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ধারণা
- পাঠ-২ ও ৩: বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতি।
- পাঠি-৪: বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি ও এর বিভিন্ন উপাদান
- পাত-৫: বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুত্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি
১০ সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট নির্দেশনাঃ
২. তোমাদের সামাজিক জীবনে প্রচলিত চারটি লোক সাংস্কৃতির উপাদান চিহ্নিত কর এবং এই উপাদানগুলো তোমার জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা বর্ণনা কর।
এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে-
২. প্রচলিত লোকসংস্কতির সঠিক উদাহরণ প্রদান
৩. শিক্ষার্থীর নিজ জীবনের উপর প্রতিফলনের ব্যাখ্যা প্রদান
মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ
ক. অতি উত্তম
২. প্রতিটি লোকসংস্কৃতির উপাদানের সুস্পষ্ট প্রভাব ব্যাখ্য করবে ।
৩. নির্ধারিত কাজটি সুগঠিত, নির্ভুল বানান ও বাক্যে লেখা হবে।
খ. উত্তম
২. প্রতিটি লোকসংস্কৃতির উপাদানের সুস্পষ্ট ধারণার অভাব বয়েছে।
৩. নির্ধারিত কাজটি সুগঠিত, নির্ভুল বানান ও বাকো লেখা হবে।
গ. ভালোই
২. প্রতিটি লোকসংস্কৃতির উপাদানের সুস্পষ্ট ধারণার অভাব রয়েছে।
৩. নির্ধারিত কাজটি আংশিক সুগঠিত, কিছু বানান ও বাক্যে ভুল লেখা থাকলে ।
ঘ. অহগতি প্রয়োজন=
২. প্রতিটি লোকসংস্কৃতির উপাদানের ধারণার অস্পষ্টতা রয়েছে।
৪. নির্ধারিত কাল্জটি কিছু বানান ও বাক্যে ভুল লেখা থাকলে।
উপরের প্রশ্নগুলো পড়ে তোমাদের বুঝে যাওয়ার কথা যে তোমাদের কি করতে হবে। তবুও তোমাদের জন্য ১০ সপ্তাহের ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টটির প্রশ্নগুলো একটু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি। তোমাদের মূলত ৪টি লোকসংস্কৃতির উদাহরণ সহ বর্ণনা দিতে হবে। এবং তোমাদের বাস্তব জীবনে এর প্রভাব কি তা একটু সংক্ষেপে বলতে হবে।
৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
লোকসংস্কৃতির ধারণাঃ
সংস্কৃতি বলতে যা বুঝায, লোকসংস্কৃতি তারই একটি অংশ। লোকসংস্কৃতির বিশেষত্ব নিহিত আছে 'লোক' কথার্টির মধ্যে। এখানে পারিভাষিক শব্দ 'লোক'-এর অর্থ হল মুলত গ্রামীণ, যার অধিকাংশই কৃষিকেন্দ্রিক জীবিকানির্ভর জনগোষ্টী। এতিহ্যনুসারী বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ধর্মী ও সামাজিক বিশ্বাস, আচার- আচরণ ও অনুষ্ঠান, জীবন-যাপন প্রণালী, শিল্প ও বিনোদন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে গডে উঠা সংস্কতিকে সহজ ভাষায় লোকসংক্কৃতি বা জনসংস্কৃতি বলা হয্। বাংলাদেশ একটি গ্রামপ্রধান দেশ। গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠী নিজস্ব বিশ্বাস, কর্মপ্রক্রিযা, বিনোদন ও জীবনপ্রণালীর মাধ্যমে শতশত বছর ধরে যে বহুমুখী ও বিচিত্রধর্মী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, তাই বাংলার লোকসংস্কৃতি নামে অভিহিত। লোকসংস্কৃতির প্রধান উপাদানগুলোকে চারটি প্রধান ধারায় ভাগ করা হয়েছে।
বস্তুগত (Material), মানসজাত (Formal), অনুষ্ঠানমূলক (Functional) এবং প্রদর্শনমুলক (Performing)
$ads={1}
আমাদের সামাজিক জীবনে প্রচলিত চারটি লোকসংস্কৃতির উপাদান চিহ্নিত করা হলো এবং এই উপাদানগুলো আমার জীবনে যে ধরনের প্রভাব ফেলে তা বর্ণনা করা হলো-
💗💗 প্রচলিত লোকসংস্কৃতিঃ
👉 সামাজিক জীবনে প্রচলিত লোকসংস্কৃতি যেমন, অনেকদিন খরা হলে অর্থাৎ বৃষ্টি না নামলে বৃষ্টি নামানোর জন্য গ্রামের মেয়েরা একটি অনুষ্ঠান করে। তারা কুলা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যায়। মুখে বৃষ্টির গান গায় বা ছড়া কাটে। বাড়ির মেয়েরা কুলার উপর পানি ঢেলে দেয় | তারা বিশ্বাস করে এভাবে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামবে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থার কারনে এ রীতির প্রচলন বর্তমানে নেই বললেই চলে।
👉 বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া এক এতিহ্য বায়োস্কোপ। রং-রেরঙরে কাপড় পরে হাতে ঝুনঝুনি বাজিয়ে গীয়ের মেঠোপথে এখন আর ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় না বায়োক্কোপওয়ালারা। খঞ্জনি আর খালি গলায় গাওয়া গানের তালে তালে বাস্কের ভেতর বদলে যাওয়া ছবি দেখে এককালে গল্পের জগতে হারিয়ে যেত গ্রামবাংলার মানুষ। টেলিভিশন শত শত চ্যানেলের ভিড়ে বায়োস্কোপ এখন হারাতে বসেছে।
👉 বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিতে শত শত বছরের এ্রতিহ্য হিসেবে এখনো টিকে আছে নৌকা বাইচ। সাধারণত ভাদ্র- আশ্বিন মাসে নদীনালা যখন পানিতে টইটুন্থবর থাকে সেসময়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচের সময় ঢোল ও করতালের সাথে সাথে মাঝি-মাল্লারা এক সুরে গান গেয়ে বৈঠা চালান।
$ads={1}
👉প্রচলিত লোকসংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরেকটি একটি জনপ্রিয় খেলা। ফসল তোলার পর কৃষকদের আনন্দ দিতে খলি মাঠে এ দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর গরুর গাড়ি নিয়ে এ খেলায় অংশ নেন মুলত কৃষকেরাই। রোমাঞ্চকর এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে গ্রামীন মেলাও বসে।
👉বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে নানারকম লোকজ গান। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, বাউলগান, গন্ভীরাসহ নানান লোকজ গানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ্ ।
👉বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ মেলা। বাংলাদেশের সর্বত্রই এখনো প্রচুর মেলা বসে। গ্রামের পরিমন্ডল অতিক্রম করে এখন শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে মেলার সংস্কৃতি। তবে হাজার বছরের পুরনো গ্রামীন মেলা দিনে দিনেই জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলাদেশে।
👉বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতিতে যুগ যুগ ধরে টিকে আছে নকশিকীথা। এখনো বাংলাদেশের যশোর, জামালপুরসহ গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকার ঘরে ঘরে তৈরি হয় নজরকাড়া নকশিকীথা। এঁতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা এখন বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেচ বিশ্ব দরবারেও।
আমার জীবনে যে ধরনের প্রভাব ফেলেঃ
যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষ যে সংস্কৃতি লালন করে আসছে সাধারণ অর্থে তাই লোকসংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতি বলতে আমরা বুবি সাধারণ মানুষ ও তার সমাজের সংস্কৃতি। অর্থাৎ লোক সমাজের সংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতির জন্ম সাধারণ মানুষের মুখে মুখে, তাদের চিন্তায় ও কর্মে।
হাজার বছর ধরে এই সংস্কৃতি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছডিযে পড়তে থাকে। বাংলাদেশে আদিকাল থেকেই মানুষ লোকসংস্কৃতি লালন করছে। মানুষের মুখে মুখে চলা লোকসংস্কৃতির অনেক কিছুই সময্র সাথে সাথে একটু একটু করে পরিবর্তন হয্ছে।
$ads={2}
লোকসংস্কৃতির যাত্রা শুরু হযে গ্রামীণ কৃষিজীবী সমাজের মধ্য থেকে। যেসব বিষযে লোকসংস্কৃতির পরিচয্ রয়েছে তাকে লোকসংস্কৃতির উপাদান বলা হয্। যেমন- তীত শিল্প, কীসা-শিল্প, মৃৎশিল্প, নকশি কাঁথা শিল্প, লোক কাহিনী বা কিচ্ছা, লোকগীতি, লোকচিকিৎসা, লোকসংগীত, প্রবাদ-প্রবচন, খনার বচন, ডাকের কথা, ছেলেভুলানো ছড্য, ধীধা, লোকনাটক ইত্যাদি। কতক রীতি বা আচার এর উপর ভিস্তি করে লোকসংস্কৃতি গডে, ওঠে। যেমন- হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পীর-ফকির, সাধু-সন্গ্যাসী বা মৌলতী-পুরোহিতদের কাছ থেকে তাবিজ-কবজ, পানি পড়া ইত্যাদি রোগমুক্তির জন্য ব্যবহার করে।
গ্রামীণ জীবনের আনন্দ-বেদনার কাব্য, জীবনবোধের প্রকাশ। তাদের পোশাক, খাবার, প্রার্থনা, পূজা-পার্বণ, ফসল, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, বাসস্থান, বাহন, জীবন সংগ্রাম, দ্বন্দ, বিরহ _ এ সবই লোকসংস্কৃতিকে রূপ দেয়। লোকসংস্কৃতির মাধ্যমে তার সামগ্রিক প্রকাশ ঘটে। লোকগানে, কবিতায়, সাহিত্যে, উৎসবে, খেলাধুলাতেও প্রকাশ পায় লোকসংস্কৃতি।
আরো পডুনঃ
$ads={2}
৭ম শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টটি উপরের মত করে লিখলে তা তোমাদের অতি উত্তম মূল্যায়ন পেতে সহায়তা করবে। সপ্তম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় লেখা শেষ হলে তোমরা ৭ম শ্রেণির ১০ সপ্তাহের শারীরিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা এসাইনমেন্টটি লিখতে পারো যার উত্তর লিংক উপরে দেওয়া আছে।