মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ২০২১ সালের ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েয়ে। এখানে ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ এর উত্তর ২০২১ দেওয়া হলো। তোমরা যারা অষ্টম শ্রেণিতে পড় এবং অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রশ্নের উত্তর খুজছিলে তাদের জন্য আজকের পোস্টটি কালে লাগবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট class 8 ১০ সপ্তাহ তোমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি এসাইনমেন্ট। এই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তোমাদের গভীর চিন্তাবোধ তুলে ধরতে হবে। বিচক্ষণতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তোমাদের ৮ম শ্রেণি ১০ সপ্তাহের এসাইনমেন্টের উত্তর দিতে হবে। অষ্টম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকেই কিন্তু এই এসাইনমেন্টটির উত্তর দিতে হবে। তোমরা যারা ৮ম শ্রেণিতে পড় তাদের খুব গুরুত্বের সাথে এসাইনমেন্টগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত কারণ এই এসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করে কিন্তু তোমাদের জেএসসি ফলাফল নির্ধারণ করা হতে পারে যদি করোনাকালীন বিদ্যালয় ছুটি থাকে।
{tocify} $title={Table of Contents}
৮ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১০ম সপ্তাহ উত্তরে লেখার আগে তোমরা অবশ্যই প্রশ্নগুলো পড়ে নিবে। এবং খুব ভালেভাবে পড়বে। কারণ আমাদের সাইটে সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া আছে। তোমাদের কিন্তু সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া লাগবেনা।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ এর উত্তর ২০২১
১০ সপ্তাহে তোমাদের দুটি এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। একটি হল শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য -১ এবং অন্যটি হলো বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট -২। তোমাদের এই এসাইনমেন্ট দুটির উত্তর তোমরা এই সাইটে পেয়ে যাবে। উত্তরগুলো নমুনা উত্তর হিসেবে দেওয়া হবে। তোমরা এই উত্তরগুলো দেখে তোমাদের নিজেদের মনের মত করে উত্তর লিখতে পারবে। নিচে বাওবি এসাইনমেন্ট ২ এর প্রশ্নগুলো দেওয়া হলো।
$ads={1}
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ প্রশ্ন
তোমাদের বাওবি এসাইনমেন্টের প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়তে হবে। এবং প্রশ্নে কি বলছে সেটা ভেবে উত্তর লেখা শুরু করতে হবে। উত্তর লেখার আগে খাতায় ভালো ভাবে মার্জিন টেনে সুন্দর করে লিখতে হবে।
এসাইনমেন্টের বিষয়বস্তুঃ
মনে করো, ১৯৭১ সালে তুমি অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিচের ঘটনার ক্ষেত্রে তুমি উপস্থিত থাকলে ওই সময় কি করতে তার বর্ণনা দাও।
(যে কোন তিনটি ঘটনার ক্ষেত্রে নিজের অনুভূতি লিখতে হবে)
- ক) রেসকোর্স ময্দানে ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনছ।
- খ) ২৫ শে মার্চ গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্সী।
- গ) পাকিস্তান হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস এলাকাবাসীকে নির্যাতন করছে।
- ঘ) মুক্তিবাহিনীকের হানাদাররা তাড়া করছে।
- ঙ) ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্থানি বাহিনী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করছে।
উপরের প্রশ্নগুলো পড়ে তোমরা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছো যে তোমাদের কি করতে হবে। তোমাদের আবারো বলা হচ্ছে উপরের প্রশ্নগুলো থেকে ৩টি ঘটনার বর্ণনা তোমাদের দিতে হবে। আমরা নিচে নমুনা উত্তরে ৫টি প্রশ্নের উত্তর ই দিয়ে দিবো কিন্তু তোমরা সেখান থেকে যে কোনো তিনটির উত্তর লিখবে।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ প্রশ্ন (ছবি dshe.gov.bd) |
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ১০ সপ্তাহ এর উত্তর
যে কোনো তিনটি ঘটনার বর্ণনা লিখবে
প্রদত্ত ঘটনাগুলোর মধ্যে নিচের তিনটি ক্ষেত্রে আমি উপস্থিত থাকলে ওই সময় যা যা করতাম তার বর্ণনা দেয়া হলো-
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিজয়ী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ষড্যযন্ত্র শুরু করে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বারবার স্থগিত ঘোষণা করলে আযয়ামীলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মার্চের পথম থেকে অসহযোগ আন্দোলন এবং ৭ই মার্চ “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে’ তোলার ডাক দেন। ফলে বাঙালির র প্রস্তুতি শুরু হয্। অন্যদিকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ২৫ শে মার্চ বর্বর গণ হত্যার শুরু করে। ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের নির্দেশনায় পরিচালিত নয় মাসের যুদ্ধশেষে ১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি বিজ লাভ করে।
$ads={1}
রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চের ভাষণ
১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ দিনটি ছিল রবিবার। বঙ্গবন্ধু তীর ৭ ই মার্চের ভাষণে বিজযী দল হিসেবে আওযামী লীগের নির্দেশনা অনুযাযী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন। তিনি তীর ভাষণে বলেন, “যে পর্যন্ত আমার এ দেশের মুক্তি না হচ্ছে ততদিন খাজনা-ট্যক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো” তিনি আরো বলেন প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।” বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমাকে স্বাধীনতার মন্ত্র উজ্জীবীত করে। আমি এবং আমার বন্ধুরা বিদ্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে আলোচনা করছি। এমন সময়ে আমাদের প্রধান শিক্ষক এসে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কল-কারখানা সব বন্ধ হয়ে যাবে।” আমাদের সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন রকমের কথা বলে তিনি প্রস্থান করেন। আমি এবং আমার বন্ধুরা পথিমধ্যে পরিচিত, অপরিচিত সকলের নিকট সংবাদটি প্রচার করি।
২৫শে মার্চের গণহত্যা
২৫ মার্চ, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধের প্রস্তুতি। এই দুঃসময়ের স্মৃতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠছে: আগুন জ্বলছে পলাশীর বস্তিতে বিদ্রোহ ইপিআর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে, দাউদাউ করে জ্বলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। রাতের শেষ প্রহরে কামানের গর্জন। আগুনের ফুলকি চতুর্দিকে। বাবা বললেন- সম্ভবত সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে, জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে “অপারেশন সার্চ লাইট” নামের সামরিক অভিযানে সংঘটিত হচ্ছে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা। জাতিসংঘের ঘোষণায় “জেনোসাইড'-এর যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তার পুঙ্খানপুঙ্খ বাস্তবায়ন হচ্ছে আজ বাঙালির ওপর। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানার তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগরাথ হল, রোকেয়া হল, জহরুল হক হলসহ সারা ঢাকা শহরে তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছি সারারাত। সকাল সকাল উঠে চললাম একে একে রাশেদ, সুজন ও সায্মেদের বাডিতে। তাদের এবং তাদের পরিবারের খোজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। গিয়ে দেখি সুজনদের বাড়ি ভাংচুর লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে। বাড়িতে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। নাকি ব্যাপার? কোথায্ সবাই? রাশেদ আর সায়েমকে নিযে বেরোচ্ছি প্রতিবেশী সবার খৌজ খবর নেওযার জন্য। সারারাত যে হত্যাযজ্ঞ চলেছে তাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আশা করা নিতান্তই বোকামি। ক্রন্দনে জর্জরিত হযে পড়লাম আমরা। আমাদের নিজ নিজ পরিবারের সহযোগিতায় যার যা সামর্থ আছে তা দিযে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য, ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
$ads={2}
১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করছে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে পাকিস্তানি ইন্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারে মিত্রবাহিনীর মেজর জেনারেল জ্যাকব আর পানিস্থান সেনাবাহিনীর নিয়াজির মধ্যে আত্মসমর্পণ চুক্তি নিয়ে যখন দর কষাকষি চলছে তখন পাকিস্থানি বাহিনীর নিরাপত্তা ছিল আলোচনার একটা বড. বিষয়। ঢাকায় তখন পাকিস্তানি সৈন্য আর নানা রকম আধাসামরিক বাহিনীর লোকজন মিলিয়ে ৯৪ হাজার সদস্য আটকা পড়েছে। বিকেল ৪ টার সময় বাবা হাসিমুখে এসে বলছে- চলো, আমরা রমনা রেসকোর্স ময্দানের দিকে যাই। তোমার বন্ধুদেরও আসতে বলো। শুনলাম, বাঙালিদের জন্য আজ একটা খুশির সংবাদ অপেক্ষা করছে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও। প্রস্তুত হয়ে রওনা দিলাম রমনা রেসকোর্স ময্দানের উদ্দেশ্যে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩১ মিনিটে ঢাকার রমনা রেসকোস ময়দানে জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী সই করেন। আত্মসমর্পণের দলিলের নাম ছিল "INSTRUMENT OF SURRENDER" । এই ধটনাকে ঢাকার পতন বলেও ডাকা হয়।
রেসকোর্স ময্দানে ৭ই মার্চের ভাষণ, ২৫শে মার্চের গণহত্যা
পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল তিন প্রস্থে প্রস্তুত করা হয়েছিল। একটি প্রস্থ ভারত সরকার এবং দ্বিতীয্ প্রস্থ পাকিস্তান সরকারের নিকট সংরক্ষিত আছে ও তৃতীয় প্রস্থ ঢাকার শাহবাগ জাদুঘরে আছে। যে টেবিলে পাকিস্থানের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা ঢাকা ক্লাব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই টেবিলটি বাংলাদেশ জাতীয্ জাদুঘরের ৩৭ সংখ্যক প্রদর্শনী কক্ষে সংরক্ষিত আছে। “ডিসেম্বরের সূর্যের দিকে মুখ করে ম্রিয়মান বিষন্ন মুখে ক্যানটনমেনটের দিকে তাকিয়েছিলেন পাক বাহিনীর দীর্ঘতম লে. জেনারেল ফরমান আলি। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্যানটনমেনটের বিভিন্ন ইউনিট লাইনে তীর বাহিনীর ৩০ হাজার পরাজিত সৈন্য নিজেদের হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে। আজ থেকে বাংলাদেশে প্রায় এক লক্ষ পাক সৈন্য ভারতের যুদ্ধবন্দী।' বন্ধুরাসহ বিজয়ের পতাকা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছি। খুশির জোয়ারে ভাসছে সারা বাংলা।
আরো পড়ুনঃ
২০তম আসাইনমেন্ট কোথায়?
উত্তরমুছুন