করোনাকলীন সময়ে তোমাদের এসাইনমেন্ট পুনরায় চালু হয়েছে। মাধ্যমিক অধিদপ্তর কর্তৃক ১১তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে ১১ আগস্ট ২০২১। আজ তোমাদের ১১ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ প্রকাশ করা হলো।
{tocify} $title={Table of Contents}
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টা তোমাদের অনেক পছন্দের একটা বিষয়। তাই এই বিষয়ের এসাইনমেন্ট লিখতে তোমাদের ভালো লাগবে। আজকের আইসিটি এসাইনমেন্টটি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১১ সপ্তাহের এই এসাইনমেন্টটি লিখতে তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই, অথবা ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গাইড থাকলে উপকৃত হবে। আর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে সবার কাছেই বইগুলো আছে।
১১ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
তোমাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই। তোমরা উত্তর লেখার আগে অবশ্যই প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর লিখবে। এবং পোস্টটিও সম্পুর্ণ পড়বে।
ষষ্ঠ শ্রেণির আইসিটি অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
উপরের প্রশ্নগুলো তোমরা পড়ে নিয়েছো নিশ্চয়। যদি পড়তে সমস্যা হয় তাহলে ছবিটা ডাউনলোড করে নিয়ে পড়।
$ads={1}
প্রশ্নটি পড়ে তোমরা বুঝতে পেরেছো তোমাদের একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে। এবং সেটি হতে হবে ২০০ শব্দের। তবে এর বেশি লিখলেও খুব বেশি লেখা ঠিক না। আমাদের নমুনা উত্তরটি ২০০ শব্দের মত। তাই তোমাদের চিন্তার কোনো কারণ নাই।
১১ সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উত্তর
দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
ভূমিকাঃ দৈনন্দিন জীবনযাপনে এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যে সকল ব্যবহার করে থাকি, তা নিম্নোক্ত বণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলোঃ
অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেনের এবং প্লেনের টিকিট কেনা যায় । অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা পড়া যায় । ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকাপয়সা পাঠানো যায়। ই-বুক সুবিধা পাওয়া যায়।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারঃ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার খুব বেড়েছে । যেমনঃ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়। অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়। আবার, করোনার সময় যাতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা করে, সে জন্য শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক অনলাইনে এসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুতরাং, বলা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।
চিকিৎসা সেবায় তথ্যপ্রযুক্তিঃ তথ্যপ্রযুক্তি চিকিৎসা সেবায় অভাবনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে। এ ছাড়াও দেশে টেলি-মেডিসিন সেবার দ্রুত বিকাশ ঘটছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্কাইপের মাধ্যমে ফেনী, নোয়াখালী ও টট্টগ্রামসহ দেশের অঞ্চলের রোগীদের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। একবার অনলাইনে নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে রোগী বাসায় বসেই তথ্য পেয়ে যাবেন তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনে । যে সব ডাক্তার এই সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন তারা পুনঃপুন আপডেট পাবেন সেই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশনকৃত রোগীর সাবিক ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবেন নিমিষেই । এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেমন রোগের চিকিৎসা চলছে, তেমনি গ্রামাঞ্চল বা মফস্বলের প্রশাসনিক কাযক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।
$ads={2}
কৃষিক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রবুক্তিঃ কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের কোথাও যেতে হয় না। তারা ঘরে বসে কৃষি বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলে তাদের সময়, শ্রম, অর্থ ইত্যাদি বেচে যায়। আর কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কৃষক ঘরে বসেই তার সব্ ধরনের পরামর্শ পেতে পারেন।
পরিবেশ ও আবহাওয়াঃ পরিবেশ ও আবহাওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ ও আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারি। ঘৃণিঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদির পৃবভাস তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় ঘরে বসে পাই । তাই বলা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথী ।
উপসংহারঃ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে শুধুমাত্র আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে দিতে পারি। জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চচাঁ করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখার দরজা সবার জন্য খোলা । তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবো এবং দেশকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারবো ।
আরো পড়ুনঃ
উপরের এসাইনমেন্ট উত্তরটি তোমাদের ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট করে জানাও। তোমাদের সকল এসাইনমেন্ট আমরা লিখে দিবো। তাই আমাদের সাথে থাকো।
আমাদের সাথে থাকতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখো। অথবা আমাদের এসাইনমেন্ট ফেজবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারো। এসাইনমেন্টগুলো ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেলটি সাবসক্রাইব কর।
আমাদের ইউটিউব লিংক
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391