৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ


প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পোস্টে সকলকে স্বাগতম। আজকের পোষ্টে পঞ্চম শ্রেণির বা ও বি অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর সেইসাথে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও কাঠামোবদ্ধ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর দেয়া হলো।

{tocify} $title={Table of Contents}


অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

 

👉 অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অল্পকথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন \ ১ \ এমন পাঁচটি ঘটনার কথা লেখ যা মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে ভ‚মিকা রেখেছিল।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে নিম্নের পাঁচটি ঘটনা ভ‚মিকা রাখে।

১. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন।

২. ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন।

৩. ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান।

৪. ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়।

৫. ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় গণহত্যা ও বাঙালিদের প্রতিরোধ।

প্রশ্ন \ ২ \ আজ থেকে কত বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?

উত্তর : আজ থেকে ৪৫ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।

প্রশ্ন \ ৩ \ মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় উপাধিগুলো কী কী?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্রীয় উপাধিগুলো হলো : ১. বীরশ্রেষ্ঠ, ২. বীর উত্তম, ৩. বীর বিক্রম, ৪. বীর প্রতীক।

অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের কীভাবে সাহায্য করেছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের নানা দিক দিয়ে সাহায্য করেছিল। যুদ্ধ চলাকালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিলে ভারত সরকার তাদের খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। এছাড়া ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। শেষ পর্যায়ে সামরিক শক্তি দিয়েও সহায়তা করে। ভারতই বাংলাদেশকে ৬ই ডিসেম্বর প্রথম স্বীকৃতি দেয়।

$ads={1}

প্রশ্ন \ ২ \ বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করেছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা আমাদের অনেক গুণী শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং কবি-সাহিত্যিকদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তাঁদের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়।

প্রশ্ন \ ৩ \ আমরা এখন কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করি?

উত্তর : প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ দেশের সর্বস্তরের জনগণ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। জাতীয়ভাবে ছুটি ঘোষিত হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ দিবস উপলক্ষে সরাসরি ও বেসরকারিভাবে আলোচনা সভা, কুচকাওয়াজ, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। তাছাড়া মসজিদ-মন্দির-গির্জায় জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এই দিনের অনুষ্ঠানমালা আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে শাণিত ও উজ্জীবিত করে।


৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 

👉 যোগ্যতাভিত্তিক

প্রশ্ন \ ১ \ যুদ্ধের সময় ‘ক’ শত্রæদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন। তিনি কোন গ্রæপে কাজ করতেন?

উত্তর : ‘ক’ ইন্টেলিজেন্স গ্রæপে কাজ করতেন।

প্রশ্ন \ ২ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় তুষার একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। গেরিলা হিসেবে তাঁর জন্য নির্দেশনা কী ছিল?

উত্তর : তুষার সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা পেয়েছিল।

প্রশ্ন \ ৩ \ ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করে। এর নাম কী?

উত্তর : এর নাম ছিল অপারেশন সার্চ লাইট।

প্রশ্ন \ ৪ \ অপারেশন সার্চ লাইটের নাম পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। এ হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় কবে?

উত্তর : ২৫শে মার্চ এ হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়।

প্রশ্ন \ ৫ \ ‘ক’ বাহিনী এ দেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এখানে কোন বাহিনীর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : এখানে পাকিস্তান বাহিনীর কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন \ ৬ \ “তারা পথঘাট চিনিয়ে ভাষা বুঝিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করেছিল।” উক্তিটি কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

উত্তর : উক্তিটি শান্তিকমিটি ও রাজাকার বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

$ads={1}

প্রশ্ন \ ৭ \ মুনিরের বাবা একজন শহিদ বুদ্ধিজীবী। তার বাবার স্মরণে আমরা কোন দিবসটি পালন করি?

উত্তর : মুনিরের বাবার স্মরণে আমরা শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি।

প্রশ্ন \ ৮ \ সেলিনা পারভীনকে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে হত্যা করা হয়। তিনি পেশায় কী ছিলেন?

উত্তর : সেলিনা পারভীন পেশায় সাংবাদিক ছিলেন।

প্রশ্ন \ ৯ \ আমাদের দেশে ১৪ ডিসেম্বরে একটি দিবস পালন করা হয়। এটি কোন দিবস?

উত্তর : ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

প্রশ্ন \ ১০ \ শফিক রহমান বাংলাদেশের একজন নামকরা চিকিৎসক। ১৯৭১ সালে তাঁর মতো চিকিৎসকদের কখন হত্যা করা হয়েছিল?

উত্তর : ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়েছিল।

প্রশ্ন \ ১১ \ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশে গণহত্যা এবং লুটতরাজ চালাতে থাকে। এ অবস্থা কয় মাস ছিল?

উত্তর : এই অবস্থা প্রায় ৯ মাস ছিল।

প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিবেশী ‘ক’ দেশটি নানাভাবে সাহায্য করেছিল। সাহায্যকারী এ দেশটির নাম কী?

উত্তর : সাহায্যকারী ‘ক’ দেশটির নাম হলো ভারত।

প্রশ্ন \ ১৩ \ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে দেশে ফিরে আসায় আমরা ‘ক’ দিবসটি পালন করি। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : এখানে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন \ ১৪ \ অপারেশন জ্যাকপটে বাংলাদেশের পক্ষে একটি বাহিনী যুদ্ধ করে। বাহিনীটির নাম কী?

উত্তর : বাহিনীটির নাম হলো মিত্রবাহিনী।

প্রশ্ন \ ১৫ \ তুমি পাঠ্যবইয়ে এমন ৭ জনের ছবি দেখলে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে শহিদ হয়েছেন। এঁদের উপাধি কী?

উত্তর : যে ৭ জন মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে শহিদ হয়েছেন তাঁদেরকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়া হয়েছে। 

প্রশ্ন \ ১৬ \ আজমল সাহেব মুক্তিযুদ্ধ করে বীরত্বের জন্য তৃতীয় বীরত্বসূচক উপাধি লাভ করেন। তিনি কোন উপাধিটি লাভ করেছিলেন?

উত্তর : আজমল সাহেব বীর বিক্রম উপাধি লাভ করেছিলেন।

প্রশ্ন \ ১৭ \ সিপাহি হামিদুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসের সাথে যুদ্ধ করায় সরকার একটি রাষ্ট্রীয় উপাধি দেয়। উপাধিটির নাম কী?

উত্তর : উপাধিটির নাম হলো বীরশ্রেষ্ঠ।

প্রশ্ন \ ১৮ \ রথি যে দেশের নাগরিক, সে দেশ মুক্তিযুদ্ধে আমাদেরকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে। রথি কোন দেশের নাগরিক?

উত্তর : রথি ভারতের নাগরিক।

প্রশ্ন \ ১৯ \ অপারেশন জ্যাকপটে একটি বাহিনী যুদ্ধ করে। এ বাহিনী কোন দেশের?

উত্তর : এ বাহিনী ভারতের।

প্রশ্ন \ ২০ \ ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। এটি গঠিত হবার প্রধান কারণ কোনটি?

উত্তর : মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার প্রধান কারণ হলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া।

প্রশ্ন \ ২১ \ মুজিবনগর সরকারে ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি কোন দায়িত্ব পালন করতেন?

উত্তর : তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতেন । 

প্রশ্ন \ ২২ \ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুজিবনগর সরকার ভ‚মিকা রাখে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনটি?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুজিবনগর সরকারের বেশি ভ‚মিকা রাখতে দেখা যায়।

প্রশ্ন \ ২৩ \ ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই একটি বাহিনী গঠন করা হয়। বাহিনীটির নাম কী?

উত্তর : বাহিনীটির নাম হলো মুক্তিবাহিনী।

প্রশ্ন \ ২৪ \ ১৯৭১ সালে ৩০,০০০ নিয়মিত যোদ্ধাদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করা হয়। বাহিনীটির নাম কী?

উত্তর : বাহিনীটির নাম হলো মুক্তিফৌজ।

প্রশ্ন \ ২৫ \ মনে কর একজন মুক্তিযোদ্ধা তোমাদের বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন। তুমি তাঁর নিকট নিচের কোনটি জানতে চাইবে?

উত্তর : আমি জানতে চাইব মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁদের ভ‚মিকা।

প্রশ্ন \ ২৬ \ তোমার প্রতিবেশী একজন মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমানে অসুস্থ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল। এখন তুমি কী করবে?

উত্তর : আমি তাঁর জন্য সাহায্যের উদ্যোগ নিব।

 সাধারণ

প্রশ্ন-২৭ : কোন সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?

উত্তর : ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।

প্রশ্ন-২৮ : কাদেরকে নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়েছিল?

উত্তর : বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ ও সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনী ।

প্রশ্ন-২৯ : কোন সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল?

উত্তর : ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।

$ads={1}

প্রশ্ন-৩০ : মুক্তিযুদ্ধে প্রায় কত লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।

প্রশ্ন-৩১ : মুজিবনগর সরকার কত তারিখে শপথ গ্রহণ করে?

উত্তর : মুজিবনগর সরকার ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-৩২ : মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছিল কবে?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩৩ : মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের রণাঙ্গনকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের রণাঙ্গানকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩৪ : মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? 

উত্তর : মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রশ্ন-৩৫ : মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ পরিচালার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩৬ : মুজিবনগর সরকার কত তারিখে গঠিত হয়েছিল?

উত্তর : মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩৭ : মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি কতটি?

উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি চারটি।

প্রশ্ন-৩৮ : মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে?

উত্তর :  মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।

প্রশ্ন-৩৯ :  মুজিবনগর সরকার কোথায় গঠিত হয়েছিল?

উত্তর : তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান নাম মুজিবনগর) গ্রামের আমবাগানে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন-৪০ : মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার শরণার্থীদের কীভাবে সাহায্য করেছিল?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার শরণার্থীদের খাদ্য বস্ত্র, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাহায্য করেছিল।

প্রশ্ন-৪১ : বীরশ্রেষ্ঠ কী?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক উপাধি হলো বীরশ্রেষ্ঠ।

প্রশ্ন-৪২ : মুক্তিবাহিনী কেন গঠন করা হয়? 

উত্তর : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তানি নিয়মিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। 

প্রশ্ন-৪৩ : ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কী ধরনের তাণ্ডব চালিয়েছিল?

উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল।

প্রশ্ন-৪৪ : কাদেরকে মুক্তিফৌজ বলা হতো?

উত্তর : ৩০,০০০ নিয়মিত যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত বাহিনীকে মুক্তিফৌজ বলা হতো।

প্রশ্ন-৪৫ : মুক্তিযুদ্ধের ৭ নং সেক্টরের অঞ্চলগুলো লেখ।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের ৭নং সেক্টরের অঞ্চলগুলো হলোÑ সমগ্র রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্ট অংশ এবং ব্র‏‏হ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র পাবনা ও বগুড়া জেলা।

প্রশ্ন-৪৬ : ‘কে’ ফোর্সের নেতৃত্বে কে ছিলেন? 

উত্তর : ‘কে’ ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন খালেদ মোশাররফ।

প্রশ্ন-৪৭ : কীভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে? 

উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

প্রশ্ন-৪৮ : স্থানীয় ছোট ছোট যোদ্ধাবাহিনীকে কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো?

উত্তর : স্থানীয় ছোট ছোট যোদ্ধাবাহিনীকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

প্রশ্ন-৪৯ : মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কোন সেক্টরে ছিল? 

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা ২নং সেক্টরে ছিল।

প্রশ্ন-৫০ : অপারেশন সার্চলাইট কী?

উত্তর : পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালিদের ওপর যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তার সাংকেতিক নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।

প্রশ্ন-৫১ : মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কারা কাজ করে?

উত্তর : শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন-৫২ : বুদ্ধিজীবীদের কবে হত্যা করা হয়?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।

প্রশ্ন-৫৩ : যৌথবাহিনী কবে গঠিত হয়?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর যৌথবাহিনী গঠিত হয়।

প্রশ্ন-৫৪ : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে কারা?

উত্তর : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ।

$ads={1}

প্রশ্ন-৫৫ : অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন কে?

উত্তর : অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তাজউদ্দিন আহমদ।

প্রশ্ন-৫৬ : মুক্তিযুুদ্ধে কারা শত্রæপক্ষের গতিবিধি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করত?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে ‘ইন্টেলিজেন্স গ্রæপ’ শত্রæপক্ষের গতিবিধি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করত।

প্রশ্ন-৫৭ : মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?

উত্তর : মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান সেনাপতি ছিলেন গ্রæপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

প্রশ্ন-৫৮ : মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ধ্বনি কী ছিল?

উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ধ্বনি ছিল ‘জয় বাংলা’।

প্রশ্ন-৫৯ : কত তারিখ রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে পাকিস্তান বাহিনী?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। 

প্রশ্ন-৬০ : শান্তি কমিটি মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছিলেন কাদের?

উত্তর : শান্তি কমিটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করেছিল।

প্রশ্ন-৬১ : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া তৃতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার কী?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া তৃতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার বীর বিক্রম।

প্রশ্ন-৬২ : কার উদ্যোগে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়?

উত্তর : মুজিবনগর সরকারের উদ্যোগে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।

প্রশ্ন-৬৩ : কখন থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।

প্রশ্ন-৬৪ : ভাষা আন্দোলন কত সালে হয়েছিল?

উত্তর : ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল।

৫ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপারিচয় অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

👉 যোগ্যতাভিত্তিক

প্রশ্ন-১ : অপারেশন সার্চলাইট কী? অপারেশন সার্চ লাইট পরিচালিত হয়েছিল কেন? অপারেশন সার্চ লাইটের তিনটি ফলাফল লেখ।

উত্তর : অপারেশন সার্চলাইট : অপারেশন সার্চলাইট হলো ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযানের নাম।

অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হওয়ার কারণ : পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল।

অপারেশন সার্চলাইটের তিনটি ফলাফল :

১. বাঙালি জাতিসত্তার পৃথক সত্তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়া।

২. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা।

৩. স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা।

প্রশ্ন-২ : বুদ্ধিজীবী কারা? বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল কেন? বুদ্ধিজীবী হত্যার তিনটি ফলাফল লেখ।

উত্তর : যারা যুদ্ধের সময় আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য তাদের কর্ম ও মেধা দিয়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন তারাই বুদ্ধিজীবী। বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা এদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে এবং ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১. বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ফলে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। হত্যার ফলে ডিসেম্বর মাসের দিকে যুদ্ধ আকার ধারণ করে। যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাহায্য ও সহযোগিতায় অবশেষে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

প্রশ্ন-৩ : ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : নিজের মেধা ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে জাতির উন্নয়নে যাঁরা অবদান রাখেন, তারাই বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা এদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করে। ১০ই ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। এদের মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রাশীদুল হাসান, সাংবাদিক সেলিনা পারভিন, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আজহারুল হক এবং আরও অনেকে। এসব শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আমরা প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে থাকি।

প্রশ্ন-৪ : পাঁচটি বাক্যে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য বর্ণনা কর।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই দেশ পেয়েছি। এর ফলেই পৃথিবীর বুকে আজ আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটা ভ‚খন্ড, একটা নিজস্ব পতাকা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন, আহত হয়েছেন সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করতে হবে।

প্রশ্ন-৫ : মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশ নিয়েছিলেন পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা, খাওয়া, তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এসব কাজে নারী ও সংস্কৃতি কর্মীগণও অসাধারণ ভ‚মিকা রেখেছিল। এদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সব বিপদ তুচ্ছ করে মুক্তিকামী বাংলার অগনিত জনতা শহরে, গ্রামে যথাসম্ভব রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

$ads={1}

প্রশ্ন-৬ : আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের পাঁচটি গুরুত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর : নিচে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের পাঁচটি গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো :

ক. মুজিবনগর সরকার মুক্তিবাহিনী গঠনে উদ্যোগ নেয়।

খ. সামরিক ও বেসামরিক জনগণ নিয়ে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী।

গ. মুজিবনগর সরকার সীমান্তবর্তী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং প্রদানের ব্যবস্থা করে।

ঘ. বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব প্রদান করে।

ঙ. মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন সেক্টর ও গেরিলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে মুজিবনগর সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।

প্রশ্ন-৭ : কীভাবে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হয়। ১৯৭১ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের দিকে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ২১ নভেম্বর যৌথবাহিনী গঠন করা হয়। যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশ পথে আক্রমণ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকালে যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

প্রশ্ন-৮ : মুক্তিযুদ্ধ কী? মুক্তিযোদ্ধা কারা? মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছেন? তা তোমার নিজের ভাষায় লেখ।

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, সশস্ত্রবাহিনী, বুদ্ধিজীবী ও নারী-পুরুষের সমন্বয়ে যে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয় তাকে মুক্তিযুদ্ধ বলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে ও বাংলাদেশকে হানাদার বাহিনী মুক্ত করতে যারা যুদ্ধ করেছিল তাদেরকে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিবাহিনীর ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ৩১ নভেম্বর যৌথবাহিনী গঠন করা হয়। পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশপথে আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর এভাবেই জন্ম লাভ করে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র।

প্রশ্ন-৯ : স্বাধীনতা যুদ্ধে কেন আমরা বিজয়ী হয়েছি তা আলোচনা কর।

উত্তর : বাঙালিদের সাহসী ভ‚মিকার কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হয়েছি। পাকিস্তানিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাঙালিদের ওপর শোষণ-নির্যাতন চালায়। এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালায়। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

প্রশ্ন-১০ : হানাদার বাহিনী কর্তৃক বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গ একটি জাতির মস্তিষ্কস্বরূপ। পাকিস্তানি শাসকচক্র বাংলাদেশকে চিরতরে মেধাশূন্য করার এক ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়। তারা ভেবেছিল এদেশকে মেধাশূন্য করা গেলে বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে এবং কোনোদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদদে একশ্রেণির দালাল এই হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।

প্রশ্ন-১১ : মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ভ‚মিকা বর্ণনা কর।

উত্তর : মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি যৌথবাহিনী গঠন করা হয়। পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারত আক্রমণ করলে যৌথবাহিনী একযোগে স্থল, নৌ ও আকাশপথে আক্রমণ করে। তীব্র আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী অবশেষে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। আর এর মাধ্যমে জন্ম লাভ করে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন স্বাধীন দেশ।

প্রশ্ন-১২ : কখন মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়? মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের ৪টি ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ কর।

উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অনেক ক্ষতি করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচটি ক্ষয়ক্ষতি :

১. হাজার হাজার গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

২. হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারায়।

৩. ব্রিজ কালভার্ট, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়।

৪. গণহত্যা, লুটতরাজে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

৫. বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়ে।

$ads={1}

প্রশ্ন-১৩ : মুক্তিযুদ্ধে নারীদের পাঁচটি ভ‚মিকার কথা লেখ।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে নারীরা বিভিন্নভাবে ভ‚মিকা রাখে। নিচে পাঁচটি ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করা হলো :

১. মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীরা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিলেন।

২. তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

৩. তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

৪. আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা-শুশ্রƒষা দিয়ে, অস্ত্র সরবরাহ ও নিরাপদ রেখে সুস্থ করে তুলেছেন।

৫. মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য ও লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতেন।

 সাধারণ

প্রশ্ন-১৪ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যেকোনো পাঁচটি সেক্টরের বর্ণনা দাও।

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। নিচে পাঁচটি সেক্টরের বর্ণনা দেওয়া হলো :

সেক্টর-১ : চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।

সেক্টর-২ : নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব এবং ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।

সেক্টর-৩ : আখাউড়া, ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্বদিকে কুমিল্লা জেলা, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।

সেক্টর-৪ : সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল, খোয়াই, শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন থেকে পূর্ব ও উত্তর দিকে ডাইউকি সড়ক।

সেক্টর-৫ : সিলেট জেলার পশ্চিম এলাকা এবং সিলেট ডাইউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

প্রশ্ন-১৫ : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য দেওয়া রাষ্ট্রীয় বীরত্বসূচক উপাধিগুলো কী কী?

উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও সাহসিকতার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কতকগুলো রাষ্ট্রীয় বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করেছে। এগুলো হলো :

১. বীরশ্রেষ্ঠ : এটি সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাদেরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতজন এ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।

২. বীর-উত্তম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি দ্বিতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।

৩. বীর-বিক্রম : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি তৃতীয় বীরত্বসূচক পুরস্কার।

৪. বীর-প্রতীক : মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য দেয়া এটি চতুর্থ বীরত্বসূচক পুরস্কার। 

প্রশ্ন-১৬ : মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী সংগঠনের ভ‚মিকা কীরূপ ছিল?

উত্তর : বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও  কিছু মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। এদের কয়েকটি প্রধান সংগঠনের মধ্যে ছিল শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আল শামস। এ বিরোধিতাকারী সংগঠনের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সাধারণ মানুষের নামের তালিকা তৈরি করে হানাদারদের দিয়েছিল। এছাড়া পথঘাট চিনিয়ে নেওয়া এবং ভাষা বুঝিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে নির্যাতন ও তাণ্ডব চালাতে সাহায্য করে। এদের অত্যাচার কখনো কখনো পাকিস্তানি বাহিনীকেও হার মানিয়েছিল। 



1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন