৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর গুলো দেখবো সেই সাথে ব্রিটিশ শাসন অধ্যায়ের অতিরিক্ত কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও কাঠামোবদ্ধ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে আলোচনা করব দেওয়া হল।

{tocify} $title={Table of Contents}

অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

অল্পকথায় উত্তর দাও :

প্রশ্ন-১ : দুইটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম লেখ।

উত্তর : বাংলাদেশের দুইটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শন হচ্ছে

১. মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ।

২. উয়ারী বটেশ্বরে প্রাপ্ত রৌপ্যমুদ্রা, হাতিয়ার এবং পাথরের পুঁতি।

প্রশ্ন-২ : অষ্টম শতকে কোন ধর্ম পালিত হতো?

উত্তর : অষ্টম শতকে বৌদ্ধ, হিন্দু ও জৈন ধর্ম পালিত হতো।

$ads={1}

প্রশ্ন-৩ : প্রাচীন নিদর্শনগুলো কারা আবিষ্কার করেন?

উত্তর : প্রাচীন নিদর্শনগুলো প্রতœতত্ত¡বিদেরা আবিষ্কার করেন।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

প্রশ্ন-১ : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো কোথায় রাখা হয়?

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সাধারণত জাদুঘরে রাখা হয়। বিভিন্ন প্রতœস্থলেও ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে পরিদর্শনের জন্য 

রাখা হয়। মহাস্থানগড়, উয়ারী-বটেশ্বর, পাহাড়পুর, ময়নামতি, সোনারগাঁও, লালবাগ দুর্গ, আহসান মঞ্জিল ইত্যাদি স্থানে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমরা দেখতে পাই।

প্রশ্ন-২ : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণসমূহ লেখ।

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণ হলো এই নিদর্শনগুলো থেকে আমরা অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা জানতে পারি। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের চর্চা বা দেখা না থাকলে তা ভুলে যেতে হয় এবং শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে যায়। আর নিজ দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন ভুলে গেলে নিজেদের পরিচয়ই বিলুপ্ত হয়ে যায়। সুতরাং যাতে নিদর্শনগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে এবং নিজেদের সমৃদ্ধ অতীত জানতে পারি সেজন্য ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো পরিদর্শন করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৩ : ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত কেন?

উত্তর : আমাদের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ-

১. আমাদের ইতিহাস গড়ে উঠেছে এসব নিদর্শনের ভিত্তিতে।

২. প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে আমাদের ঐতিহ্য মিশে আছে।

৩. এই ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে আমাদের সংস্কৃতির ধারা বের হয়ে এসেছে।

৪. আমাদের সভ্যতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এসব নিদর্শন।

৫. প্রাচীন সভ্যতা থেকে ধারাবাহিক চলে আসছে আমাদের রীতিনীতি ও সামাজিক প্রথা।

মোট কথা, আমাদের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে এসব নিদর্শন সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন।


৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 

 যোগ্যতাভিত্তিক

প্রশ্ন \ ১ \ মহাস্থানগড় প্রায় ১৯০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। মৌর্য আমলে এটি কী নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর : মৌর্য আমলে এটি পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।

প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন। এগুলোর মাধ্যমে আমরা কী জানতে পারি?

উত্তর : এগুলোর মাধ্যমে আমরা অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতি জানতে পারি। 

প্রশ্ন \ ৩ \ সুমনদের বাড়ি বগুড়া শহরে। তাদের শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি. উত্তরে একটি ঐতিহাসিক স্থান অবস্থিত। স্থানটির নাম কী?

উত্তর : স্থানটির নাম হলো মহাস্থানগড়।

$ads={1}

প্রশ্ন \ ৪ \ ‘ক’ নামক ঐতিহাসিক নিদর্শনটি সমুদ্র বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত। নিদর্শনটির নাম কী?

উত্তর : নিদর্শনটির নাম হলো উয়ারী বটেশ্বর।

প্রশ্ন \ ৫ \ তানিয়া নওগাঁ জেলায় বেড়াতে গেল। সেখানে সে কোন ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে পাবে?

উত্তর : তানিয়া নওগাঁ জেলায় বেড়াতে গিয়ে ঐতিহাসিক স্থান পাহাড়পুর দেখতে পাবে।

প্রশ্ন \ ৬ \ মুনির তার বন্ধু সুমনকে নিয়ে মেঘনা নদীর তীরে বেড়াতে গেল। সেখানে তার কোন ঐতিহাসিক নিদর্শনটি দেখতে পাবে?

উত্তর : সেখানে তারা ঐতিহাসিক নিদর্শন সোনারগাঁও দেখতে পাবে।

প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার রয়েছে। কোথায় রয়েছে?

উত্তর : সোনারগাঁওয়ে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার রয়েছে।

প্রশ্ন \ ৮ \ উনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে সোনারগাঁওয়ে একটি নগর গড়ে ওঠে। নগরটির নাম কী?

উত্তর : নগরটির নাম হলো পানাম নগর।

প্রশ্ন \ ৯ \ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে একটি কেল্লা নির্মাণ করা হয়। কেল্লাটির নাম কী?

উত্তর : কেল্লাটির নাম হলো লালবাগ কেল্লা।

প্রশ্ন \ ১০ \ তোমাকে যদি পাহাড়পুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তিটি চিহ্নিত করতে বলা হয়। তুমি কোনটিকে চিহ্নিত করবে?

উত্তর : আমি সোমপুর মহাবিহারটি চিহ্নিত করব।

প্রশ্ন \ ১১ \ রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলাগাছি উপজেলায় একটি অবস্থিত। সেটি কী?

উত্তর : রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলাগাছি উপজেলায় পাহাড়পুর নামক ঐতিহাসিক নিদর্শন অবস্থিত।

প্রশ্ন \ ১২ \ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান দেখে আমরা বিভিন্ন আমলের প্রতœস্থলের কথা জানতে পারি। পাহাড়পুর প্রতœস্থলটি কোন আমলের?

উত্তর : পাহাড়পুর প্রতœস্থলটি পাল রাজাদের আমলের।

প্রশ্ন \ ১৩ \ এটি এমন একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন যা রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রীর কাহিনী বিজড়িত। নিদর্শনটি দ্বারা কোনটিকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : নিদর্শনটি দ্বারা ময়নামতিকে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন \ ১৪ \ পাহাড়পুরে জীবজন্তুর মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো কোনটির সাহায্যে তৈরি হয়েছে? 

উত্তর : এগুলো পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে।

প্রশ্ন \ ১৫ \ এটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। এটি কোন ঐতিহাসিক স্থান হতে পারে?

উত্তর : এটি ময়নামতি নামক ঐতিহাসিক স্থান হতে পারে।

প্রশ্ন \ ১৬ \ ময়নামতিতে জীবজন্তুর অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক রয়েছে। এ মাটির ফলকে কোন দৃশ্য রয়েছে?

উত্তর : এ মাটির ফলকে অলৌকিক জীবজন্তুর দৃশ্য রয়েছে।

$ads={1}

প্রশ্ন \ ১৭ \ ১৯৭৫ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এটি প্রতিষ্ঠার কারণ কী?

উত্তর : সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কারণ সোনারগাঁওয়ের গৌরব ধরে রাখা।

প্রশ্ন \ ১৮ \ স্থানটি ঈসা খাঁর সময় বাংলার রাজধানী ছিল। স্থানটি বর্তমানে বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তর : স্থানটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।

প্রশ্ন \ ১৯ \ বর্তমান পুরনো ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেই  স্থানটির নাম কী?

উত্তর : বর্তমান পুরনো ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থানটির নাম লালবাগ দুর্গ।

 সাধারণ

প্রশ্ন-২০ : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন কোথায় লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সোনার গাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন-২১ : মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : মহাস্থানগড় বগুড়ায় অবস্থিত।

প্রশ্ন-২২ : মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত? 

উত্তর :  মহাস্থানগড় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।

প্রশ্ন-২৩ : ময়নামতি কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত।

প্রশ্ন-২৪ : পাহাড়পুর বিহারের চারদিকে কয়টি কুঠুরি রয়েছে?

উত্তর : পাহাড়পুর বিহারের চারদিকে ১৭৭টি কুঠুরি রয়েছে।

প্রশ্ন-২৫ : উয়ারী ও বটেশ্বর কোন জেলার পাশাপাশি দু’টি গ্রাম?

উত্তর : উয়ারী ও বটেশ্বর নরসিংদী জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম।

প্রশ্ন-২৬ : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন কত সালে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন? 

উত্তর : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ১৯৭৫ সালে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন-২৭ : পাহাড়পুর কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। 

প্রশ্ন-২৮ : কোন ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটলে আহসান মঞ্জিল ঐতিহ্য হারায়?

উত্তর : জমিদার ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটলে আহসান মঞ্জিল ঐতিহ্য হারায়।

$ads={1}

প্রশ্ন-২৯ : মহাস্থানগড়ের ধর্মীয় পুরাকীর্তি কী রয়েছে?

উত্তর : মহাস্থানগড়ে মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় পুরাকীর্তি রয়েছে।

প্রশ্ন-৩০ : সোনারগাঁওয়ে কোন আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে?

উত্তর : সোনারগাঁয়ে মুসলিম সুলতান ও মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে।

প্রশ্ন-৩১ : প্রাচীনতম শিলালিপি কোনটি?

উত্তর :  ব্রা‏হ্মী প্রাচীনতম শিলালিপি।

প্রশ্ন-৩২ : ময়নামতিতে বাংলার কোন ধর্মীয় সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে?

উত্তর : ময়নামেিত বাংলার বৌদ্ধ ধর্মীয় সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন-৩৩ : পুণ্ড্রনগর কোথায় অবস্থিত? 

উত্তর : বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে পুণ্ড্রনগর অবস্থিত।

প্রশ্ন-৩৪ : লালবাগ দুর্গে কত গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ দেখা যায়?

উত্তর : লালবাগ দুর্গে নিদর্শন হিসেবে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ দেখা যায়।

প্রশ্ন-৩৫ : উয়ারী-বটেশ্বর সভ্যতার যাত্রা কখন শুরু হয়?

উত্তর : খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দে মৌর্য যুগে উয়ারী-বটেশ্বর সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়।

প্রশ্ন-৩৬ : শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর আবাসিক ব্যবস্থার নিদর্শন কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?

উত্তর : ময়নামতি প্রতœস্থলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর আবাসিক ব্যবস্থার নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৩৭ : বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন ময়নামতির  কোথায় সংরক্ষিত?

উত্তর : বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন ময়নামতির জাদুঘরে সংরক্ষিত।

প্রশ্ন-৩৮ : সোনারগাঁও কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : ঢাকা শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে মেঘনা নদীর তীরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও অবস্থিত। 

প্রশ্ন-৩৯ : লালবাগ দুর্গ তৈরির কাজ কে শুরু করেন?

উত্তর : ১৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ থাকাকালে লালবাগ দুর্গ তৈরির কাজ শুরু করেন। 

প্রশ্ন-৪০ : বর্তমানে আহসান মঞ্জিল কী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে?

উত্তর : বর্তমানে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রশ্ন-৪১ : পাহাড়পুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তিটি কী নামে পরিচিত?

উত্তর : পাহাড়পুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তিটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামে পরিচিত। 

$ads={1}

প্রশ্ন-৪২ : বাংলাদেশ সরকার কত সালে আহসান মঞ্জিলের তত্ত¡াবধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন?

উত্তর : ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার আহসান মঞ্জিলের তত্ত¡াবধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 

প্রশ্ন-৪৩ : ঢাকার নবাব খাজা আলিমউল্লাহ কত সালে ফরাসিদের নিকট থেকে আহসান মঞ্জিল ক্রয় করেন?

উত্তর : ঢাকার নবাব খাজা আলিমউল্লাহ ১৮৩০ সালে ফরাসিদের নিকট থেকে আহসান মঞ্জিল ক্রয় করেন। 

প্রশ্ন-৪৪ : বাংলাদেশ সরকার আহসান মঞ্জিলের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেন?

উত্তর : আহসান মঞ্জিলের প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার এটি তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৪৫ : কত সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়।

৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক

প্রশ্ন-১ : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন কেন তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক ঐতিহাসিক নির্দশন রয়েছে। এসব নিদর্শন আমাদের অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। এগুলো আমাদের গর্ব। এগুলো সম্পর্কে জানলে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। তাই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।

প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের দুইটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম লেখ। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন কেন? তিনটি বাক্যে লেখ।

উত্তর : বাংলাদেশের দুইটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম হলো : ১. পানাম নগর, ২. ব্রাহ্মী শিলালিপি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের

ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো আমাদের অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয়ে বহন করে। এগুলো আমাদের গর্ব। তাই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : মহাস্থানগড় বাংলাদেশের বিশেষ খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্থান। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে পরবর্তী ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত 

প্রায় ১৯০০ বছরের বাংলার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। মৌর্য আমলে এটি ‘পুন্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল। এটি বগুড়া শহর থেকে তেরো কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে প্রাচীন দুর্গ, ব্রাহ্মী শিলালিপি, পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য, ধাতব মুদ্রা, পুঁতি, মন্দিরের ভগ্নাবশেষ উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন-৪ : মনে কর গত সপ্তাহে তুমি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেছ। সে স্থানটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : গত সপ্তাহে আমি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান সোনারগাঁও পরিদর্শন করেছি। সোনারগাঁও সম্পর্কে নিচে পাঁচটি বাক্য উল্লেখ করা হলো :

১. ঢাকা শহর থেকে পূর্বে মেঘনা নদীর তীরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও অবস্থিত।

২. সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার সুলতানদের রাজধানী ছিল। 

৩. এখানে রয়েছে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের মাজার ও আরও কিছু সমাধি।

৪. সোনারগাঁওয়ের পানাম নগর ছিল ঊনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্য কেন্দ্র।

৫. সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

$ads={1}

প্রশ্ন-৫ : তোমার দেখা একটি ঐতিহাসিক স্থানের বিবরণ দাও।

উত্তর : ঐতিহাসিক স্থানগুলোর গুরুত্ব আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত, আমার দেখা ঐতিহাসিক স্থান হলো ময়নামতি। আমার পরিবারের সাথে আমি কুমিল্লার ময়নামতি ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। এখানে মন্দিরগুলো কারুকার্যম™িত ছিল। মন্দিরের বাইরের দেয়ালও অন্যান্য ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য পোড়ামাটির ফলক দেখলাম। এখানে বতর্মানের সাথে মিলে যায় এমন দৃশ্য অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার দেখার মধ্যে আরও আছে পাথরে ফলকের নিদর্শন। বেজির সাথে যুদ্ধরত গোখরা সাপ, আগুয়ান হাতি ইত্যাদি। এসব জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক আমার মনে বিশেষ স্মৃতি বহন করে। ময়নামতিতে একটি জাদুঘর আছ। জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলক নিজ চোখে দেখতে পারায় খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। 

প্রশ্ন-৬ : বাংলাদেশের একটি উলে­খযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে আহসান মঞ্জিলের বর্ণনা দাও।

উত্তর : আহসান মঞ্জিল ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উলে­খযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন। প্রাসাদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দীর্ঘ বারান্দা রয়েছে। আহসান মঞ্জিলে জলসা ঘর, দরবার হল, রংমহল বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। জমিদার ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটলে আহসান মঞ্জিল তার ঐতিহ্য হারায়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এর তত্ত¡াবধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বর্তমানে আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৭ : আহসান মঞ্জিল এর ঐতিহাসিক বর্ণনা দাও।

[আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

উত্তর : আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে নির্মিত আহসান মঞ্জিল ছিল বাংলার নবাবদের রাজপ্রাসাদ। মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগণার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ এ প্রাসাদটি তৈরি করেন। আঠারো শতকে তার পুত্র শেখ মতিউল্লাহ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। ১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের নিকট থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে এটিকে আবার  প্রাসাদে পরিণত করেন। 

প্রশ্ন-৮ : মনে কর, তুমি পাহাড়পুর নামক ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণে গিয়েছিলে। উক্ত স্থান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর : আমি বন্ধুদের সাথে পাহাড়পুর নামক ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণে গিয়েছিলাম। উক্ত স্থান সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য উল্লেখ করলাম : পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে যা ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামে পরিচিত। পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত নিদর্শনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মন্দির, খাবার ঘর, পাকা নর্দমা। এখানে পাওয়া গেছে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা। পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত পুরাকীর্তি প্রাচীনবাংলার ধর্ম ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর অন্যতম।

$ads={1}

প্রশ্ন-৯ : বাংলায় মুসলিম শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতœতত্তে¡র বিবরণ দাও।

উত্তর : নিচে বাংলায় মুসলিম শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতত্তে¡র বিবরণ করা হলো :

 প্রতœতত্তে¡র ঐতিহাসিক নিদর্শন সোনারগাঁও। এটি বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। মুসলিম শাসনামলে প্রাচীন বাংলার সুলতানদের রাজধানী ছিল সোনারগাঁও। ঊনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে এখানে পানাম নগর গড়ে ওঠে। বার ভ‚ঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁ ও মুসা খাঁর রাজধানী ছিল 

এটি। এখানে সুলতানি ও মুঘল আমলের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বহু আবাসিক ভবন, দিঘি, দরগাহ, সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের সমাধি প্রভৃতি রয়েছে। 

প্রশ্ন-১০ : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের ৫টি সুফল লেখ।

উত্তর : ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের ৫টি সুফল :

১. অতীত ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারা যায়।

২. অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।

৩. জাতির আত্মপরিচয় সম্পর্কে ধারণা হয়।

৪. সমৃদ্ধ নিদর্শন আমাদের গৌরবান্বিত করে।

৫. জাতীয় জীবনে কর্তব্য পালনে উদ্বুদ্ধ হই।

 সাধারণ

প্রশ্ন-১১ : লালবাগ দুর্গের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর : ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়। আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহাজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ এই দুর্গটির নির্মাণ কাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি। দুর্গটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোঘল শাসকগণ তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতেন। দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ এবং একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে। এটি বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১২ : উয়ারী-বটেশ্বরের পরিচয় দাও।

উত্তর : উয়ারী ও বটেশ্বর নরসিংদী জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম। এখানে কয়েক বছর আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতœস্থলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি ‘উয়ারী-বটেশ্বর’ নামে পরিচিত। এটি মহাস্থানগড়ের মতো বাংলার একটি সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দে মৌর্য যুগে এখানে একটি সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়। সমুদ্র বাণিজ্যের সাথে এ অঞ্চলটি যুক্ত ছিল। এখানে রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে। এছাড়া পাথরের অনেকগুলো হাতিয়ার ও পুঁতি পাওয়া গেছে। উয়ারী-বটেশ্বরের অনুসন্ধান কাজ এখনও চলছে।

প্রশ্ন-১৩ : ময়নামতির প্রতœ নিদর্শনসমূহের বর্ণনা দাও।

উত্তর : ময়নামতির প্রতœ নিদর্শনসমূহ অষ্টম শতক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করে। এখানে বাংলার বৌদ্ধ সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এছাড়া এখানে জৈন ও হিন্দুদের দেব-দেবীর অনেক মূর্তি পাওয়া গেছে। এখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের  আবাসিক ব্যবস্থারও নিদর্শন পাওয়া গেছে। এছাড়া রয়েছে জীবজন্তু অঙ্কিত পোড়ামাটির ফলক, বিভিন্ন মুদ্রা ও পাথরের ফলকের নিদর্শন। 

আরো পড়ুনঃ 

  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ২ ব্রিটিশ শাসন
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৩ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৫ জনসংখ্যা
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৬ জলবায়ু ও দুর্যোগ
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৭ মানবাধিকার
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৮ নারী-পুরুষ সমতা
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ৯ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ১১ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  • ৫ম শ্রেণি বা ও বি অধ্যায় ১২ বাংলাদেশ ও বিশ্ব


1 মন্তব্যসমূহ

  1. Casino Site | No Limit Bonus Codes | Best Online Casinos
    With the most innovative gaming platform and a wide variety of deccasino software providers, Casino Site provides you 제왕 카지노 with the opportunity to try out your favorite 카지노 games from the

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন