৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য |
৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য আজকের আলোচনার বিষয়। এখানে অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হবে।
{tocify} $title={Table of Contents}
অধ্যায় ৬ সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
১. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন () দাও।
১) কোনটি জাঙ্ক ফুড?
ক. পাউরুটি খ. দই
গ. পরটা ঘ. পটেটো চিপস
২) জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে কোনটি হতে পারে?
ক. যকৃত অকার্যকর হওয়া খ. মোটা হয়ে যাওয়া
গ. শ্বাসকষ্ট ঘ. ক্যান্সার
৩) মাছ ও মাংসে কোনটির মাধ্যমে পচন ধরতে পারে?
ক. কার্বাইড খ. ফরমালিন
গ. ব্যাকটেরিয়া ঘ. লবণ
২. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় নিম্নরূপ :
- রোদে শুকানো : খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে রোদে শুকানো যায়। যেমন : চাল, ডাল, গম ইত্যাদি।
- হিমাগারে সংরক্ষণ : মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজের ঠাÐায় বেশ কিছু দিন ভালো থাকে। এছাড়াও হিমাগারে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
- লবণ, চিনি, সিরকা ও তেল দ্বারা সংরক্ষণ : লবণ, চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে জলপাই, বরই, আম ইত্যাদি অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া লবণ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা-
১. খাদ্যের অপচয় রোধ ও দ্রুুত পচন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করা যায়।
২. খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।
৩. বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।
৪. অনেক দূরবর্তী এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহ করা যায়।
৫. ভবিষ্যতের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : সুষম খাদ্যে ৬টি পুষ্টি উপাদান যথা : শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। প্রতিটি খাদ্য উপাদানের পৃথক পৃথক কাজে রয়েছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। পুষ্টির অভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। অপুষ্টিজনিত কারণে শিমুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ৪ \ ৬টি খাদ্য দল কী কী?
উত্তর : ৬টি খাদ্য দল হলো
- খাদ্য শস্য ও আলু (শর্করা)
- শাকসবজি (ভিটামিন, খনিজ লবণ)
- ফলমূল (ভিটামিন, খনিজ লবণ)
- মাছ, মাংস ও ডাল (আমিষ)
- দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য (ক্যালসিয়াম, ভিটামিন)
- তেল ও চর্বি।
প্রশ্ন \ ৫ \ কীভাবে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি?
উত্তর : আমরা বিভিন্ন খাদ্য দল থেকে সঠিক ও পর্যাপ্ত খাদ্য বেছে নিয়ে সুষম খাদ্য পেতে পারি। সুষম খাদ্য বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য বেছে নেয়াকে বোঝায়। অসংখ্য খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে সামঞ্জস্য করে বিভিন্ন খাদ্যকে ছয়টি খাদ্যদলে ভাগ করা হয়েছে। সেসব দল থেকে নির্দিষ্ট ধরনের খাদ্য পরিমাণমতো কতবার খাওয়া উচিত তা বাছাই করে নেয়ার মাধ্যমে আমরা সুষম খাদ্য পেতে পারি।
প্রশ্ন \ ৬ \ কোন কোন খাদ্যে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : মিষ্টি, জেলি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদিতে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়।
৩. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। তারপরেও খুব বেশি বার্গার খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেন?
উত্তর : একটি বার্গারে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন- গরু ও মুরগির মাংস, টমেটো, লেটুস, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি থাকে। বার্গার জাঙ্ক ফুডের মধ্যে অন্যতম। জাঙ্ক ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়। কারণ বার্গারে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়। বার্গার এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য, যাতে চর্বি, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে। তাই তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবারে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ খুব কম বা নেই বললেই চলে। সাধারণ খাবারের বদলে বার্গার খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই। কিন্তু খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : খাদ্যের খাদ্যমূল্য বজায় রেখে খাদ্যের পচন রোধ করে, সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় সঞ্চয় করাকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ খাদ্য নিশ্চয়তার ব্যবস্থা এবং খাদ্যের অপচয় রোধ করতে পারি। এর ফলে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারাবছর পাওয়া যায়।
কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণের জন্য কিছু অসৎ ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার না করে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে। তারা খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করে যা খাদ্যকে দীর্ঘদিন অবিকৃত রাখলেও খাদ্যের খাদ্য উপাদানকে নষ্ট করে ফেলে। তাছাড়া ফল পাকানোর জন্য রাসায়নিক পদার্থ কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। এসকল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যাওয়াসহ ক্যান্সারও হতে পারে। তাই বলা যায়, খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা উপকৃত হলেও এ কাজে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ তিনটি খাদ্য উপাদানের নাম লেখ।
উত্তর : তিনটি খাদ্য উপাদানের নাম নিম্নরূপ :
র. শর্করা; রর. আমিষ; ররর. স্নেহ জাতীয় পদার্থ।
প্রশ্ন \ ২ \ ফ্রুটলুপস কী?
উত্তর : উচ্চমাত্রায় মিষ্টিযুক্ত শস্য দানা যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় তাকে ফ্রুট লুপস বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ জাঙ্ক ফুড কী?
উত্তর : যে সকল কৃত্রিম খাদ্যে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে সেগুলোই জাঙ্ক ফুড।
প্রশ্ন \ ৪ \ খাদ্য পরিপাকে পানি কী হিসেবে কাজ করে?
উত্তর : খাদ্য পরিপাকে পানি ‘মাধ্যম’ হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ খাদ্য সংরক্ষণের দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নাম : র. উচ্চ তাপে শুকানো; রর. হিমাগারে সংরক্ষণ।
প্রশ্ন \ ৬ \ আমরা পরিমিত খাদ্য কেন খাব?
উত্তর : দেহ সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য আমরা পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করব।
প্রশ্ন \ ১১ \ জাঙ্কফুডে কোন কোন ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে?
উত্তর : চর্বি, লবণ ও কার্বনেট জাঙ্কুফুডে ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ খাদ্য সংরক্ষণ কী?
উত্তর : খাদ্যের মূল্যমান বজায় রেখে এবং পচন রোধ করে খাদ্যকে সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় সঞ্চয় করাকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে কী কী রোগ হতে পারে?
উত্তর : খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে মানুষের লিভার ও কিডনি বিকল, অ্যাজমা, খর্বাকৃতি, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
প্রশ্ন \ ৯ \ কয়েকটি জাঙ্কফুডের নাম লেখ।
উত্তর : কয়েকটি জাঙ্কফুডের নাম হচ্ছে- আলুর চিপস, বার্গার, ফ্রুট লুপ্স, ক্যান্ডি, কোমল পানীয়- লেমন ও সোডা, কৃত্রিমভাবে তৈরি ফলের রস, চকলেট ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১০ \ খাদ্যে কী ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তর : খাদ্যে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
প্রশ্ন \ ১২ \ সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সুষম খাদ্য গ্রহণ বলতে খাদ্যের প্রতিটি দল থেকে সঠিক পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করাকে বোঝায়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করলে কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ১ \ ব্যবসায়ীরা কেন খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান, তা একটি বাক্যে লেখ। নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে যে সমস্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে দুটি নাম লেখ। কাউকে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে তাকে দেওয়া দুটি পরামর্শ লেখ।
উত্তর :
ব্যবসায়ীরা ফল পাকানোর জন্য খাদ্যে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশান।
নিয়মিত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খেলে যে সমস্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার মধ্যে দুটির নাম নিম্নরূপ :
- ক্যান্সার; রর. বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হওয়া।
কাউকে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশাতে নিরুৎসাহিত করতে তাকে দেওয়া দুটি পরামর্শ নিম্নরূপ :
- এগুলো মানুষের অমনোযোগিতা, অস্থিরতা, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে বলে এ ধরনের কাজ পরিবহার করতে হবে।
- খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো দÐনীয় অপরাধ বলে শাস্তি থেকে বাঁচতে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্ন \ ২ \ সুষম খাদ্যে কয়টি উপাদান থাকে? যারা বেশি পরিশ্রম করা তাদের পরিমিত খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন কেন একটি বাক্যে লেখ। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে তুমি কী করবে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর :
সুষম খাদ্যে ৬টি উপাদান থাকে।
যারা বেশি পরিশ্রম করে তাদের পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ শরীরের কর্মক্ষমতা বজায় রাখার জন্য সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া নিরুৎসাহিত করতে যা করব তা তিনটি বাক্যে নিম্নরূপ :
- অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে মেদ জমে যায়। ফলে ওজনজনিত সমস্যা হয়।
- অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ বাসা বাধে। যেমন : উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
- অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শারীরিক বৃদ্ধি হলেও অলসতা, অস্থিরতা ও অমনোযোগিতা দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ আমাদের শরীরের জন্য কেন সুষম খাদ্য প্রয়োজন তা দু’টি বাক্যে লেখ। আমাদের জীবনের জন্য পানি কেন তাৎপর্যপূর্ণ তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর :
আমাদের শরীরের জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা :
- দেহের গঠন, বৃদ্ধিসাধন ও ক্ষয়পূরণের জন্য সুষম খাদ্য প্রয়োজন।
- সুস্থ সবল দেহের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ খুবই জরুরী।
আমাদের জীবনের জন্য পানির তাৎপর্য :
১. পানি খাদ্যদ্রব্য পরিপাকে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে বলে পানি গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না।
২. বাসন কোসন মাজা, গোসল করা, রান্নাবান্নার কাজে পানি ব্যবহার করা হয়।
৩. পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন করা সম্ভব হচ্ছে, যেমন : পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় লিখ।
উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্য সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় নিম্নরূপ :
১. রোদে শুকিয়ে : চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
২. ঠাÐায় সংরক্ষণ : মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি ফ্রিজের ঠাÐায় সংক্ষণ করা হয়। তাছাড়া শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়।
৩. বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ : ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলি, আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
৪. লবণ দিয় সংরক্ষণ : লবণ দিয়ে সাধারণত সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণ করা হয়।
৫. চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে সংরক্ষণ : জলপাই, বরই, আম ইত্যাদি চিনি, সিরকা বা তেল দিয়ে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ আফরোজা সামান্য কাজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে শরীরের কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। আফরোজার শরীরে কোন খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে? উক্ত খাদ্যের অভাবে আফরোজা আরও কী কী সমস্যায় পড়তে পারে?
উত্তর :
আফরোজার শরীরে সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে।
উক্ত খাদ্যের অভাবে আফরোজা আরও যেসব সমস্যায় পড়তে পারে তা হলো
১. সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে।
২. ওজনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হবে অর্থাৎ ওজন হ্রাস পেতে পারে।
৩. স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।
প্রশ্ন \ ৬ \ রাস্তার ধারে অথবা হোটেলে ভাজা পোড়া ও উজ্জ্বল রঙের খাবার দেখা যায়। এসব খাবারকে স্বাস্থ্যকর বলা যায় কিনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাস্তার ধারে অথবা হোটেলে যে ভাজা পোড়া ও উজ্জ্বল রঙের খাবার দেখা যায় তা স্বাস্থ্যকর নয়। নিচে এসব খাবারকে অস্বাস্থ্যকর বলার কারণ ব্যাখ্যা করা হলো :
রাস্তার ধারে অথবা হোটেলের ভাজা পোড়া ও উজ্জ্বল রঙের খাবারে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়, যা একে সুস্বাদু করে তোলে কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাণিজ চর্বি ও স্যাকারিন থাকে। এই চর্বিকে আমাদের দেহ চর্বিকলায় রূপান্তর করে, ফলে আমাদের দেহ ভারী হয়ে পড়ে এবং অধিক পরিমাণে স্যাকারিন ত্বককে নষ্ট করে দিতে পারে। এসব খাবার মানুষের ক্যান্সার অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ইত্যাদি বেগে সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং আমরা বলতে পারি রাস্তার ধারে অথবা হোটেলের ভাজা পোড়া ও উজ্জ্বল রঙের খাবারগুলো আমাদের দেহের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ আজকাল বিভিন্ন মৌসুমে দোকানপাট ভরে ওঠে ফলের সমারোহে। আবার বিভিন্ন খাবারের দোকানেও মজাদার সব খাবার সাজানো দেখা যায়। এসব ফল ও খাবার খুবই রঙিন ও আকর্ষণীয় দেখায়। তুমিও কি এসব খাবারের প্রতি আকর্ষণ বোধ কর? তুমি কি সেগুলো খাও? কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : হ্যাঁ আমিও রঙিন ও লোভনীয় খাবারগুলোর প্রতি আকর্ষণ বোধ করি। কিন্তু আমি সেগুলো খাই না। কারণ আমি জানি যে, খাবারকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করতে কোনো কোনো খাবারে কৃত্রিম রং মেশানো হয়। যেমন মিষ্টি, জেলি, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চিপস, কোমল পানীয় ইত্যাদি। কৃত্রিম রং মেশানো খাবার মানুষের ক্যান্সার, অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে থাকে। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। এ সকল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃত অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। এসব কারণেই আমি উক্ত খাবার খাই না।
প্রশ্ন \ ৮ \ তুমি কি ‘জাঙ্ক ফুড’-এর কথা শুনেছ? তুমি কী কী ‘জাঙ্ক ফুড’-এর নাম জান? তুমি কি মনে কর জাঙ্ক ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
উত্তর : আমি “জাঙ্ক ফুড”-এর নাম শুনেছি। জনপ্রিয় জাঙ্ক ফুডের মধ্য রয়েছে বার্গার, পিজা, পটেটো চিপস, ফ্রাইড চিকেন, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
আমি মনে করি জাঙ্ক ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ জাঙ্ক ফুড সুস্বাদু হলেও সুষম খাদ্য নয়। এতে অত্যধিক চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরে খুব সামান্যই দরকার হয়। সাধারণ খাবারের বদলে জাঙ্ক ফুড খেলে পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এসব কারণেই জাঙ্ক ফুড স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, বরং ক্ষতিকর।
সাধারণ প্রশ্ন :
প্রশ্ন \ ৯ \ খাদ্য সংরক্ষণ কী? খাদ্য সংরক্ষণের উপায়সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর : খাদ্যের মূল্যমান বজায় রেখে খাদ্যকে পচন রোধ করে সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় সঞ্চয় করাকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে।
খাদ্য সংরক্ষণের উপায়সমূহ হলো
১. চাল, ডাল, গম ইত্যাদি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
২. মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি ফ্রিজের ঠাÐায় সংরক্ষণ করা হয়।
৩. জ্যাম, জেলি, আচার ইত্যাদি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ জাঙ্ক ফুড কী? জাঙ্ক ফুডের ৩টি অপকারিতা লেখ।
উত্তর : যেসকল কৃত্রিম খাদ্যে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে সেগুলোই জাঙ্ক ফুড।
জাঙ্ক ফুডের ৩টি অপকারিতা হলো Ñ
১. পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
২. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হয়ে যায়।
৩. ক্যান্সার ডায়াবেটিস বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১ আমাদের পরিবেশ
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ২ পরিবেশ দূষণ
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৩ জীবনের জন্য পানি
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৪ বায়ু
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৫ পদার্থ ও শক্তি
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৬ সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৭ স্বাস্থ্যবিধি
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ মহাবিশ্ব
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ৯ আমাদের জীবনে প্রযুক্তি
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১০ আমাদের জীবনে তথ্য
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১১ আবহাওয়া ও জলবায়ু
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১২ জলবায়ু পরিবর্তন
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১৩ প্রাকৃতিক সম্পদ
- ৫ম শ্রেণি বিজ্ঞান অধ্যায় ১৪ জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ