|
৫ম শ্রেণি ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ পোস্টে সবাইকে স্বাগতম
{tocify} $title={Table of Contents}
এখানে পঞ্চম শ্রেণি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা তৃতীয় অধ্যায়ের যা যা থাকছে।
- অনুশীলনির প্রশ্ন উত্তর
- অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- অতিরিক্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন উত্তর
তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ
👉 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (চ) দাও :
১. আখলাক অর্থ কী?
ক. আচরণ খ. সদাচার গ. সুন্দর ঘ. উত্তম
২. আমরা বেকার লোকদের কিসের ব্যবস্থা করে দেব?
ক. কাজের খ. সেবার গ. মুক্তির ঘ. বস্ত্রের
৩. দেশপ্রেম অর্থ কী?
ক. দেশের গান করা খ. দেশে বাস করা
গ. দেশকে দেখা ঘ. দেশকে ভালোবাসা
৪. মহানবি (স) কোথায় হিজরত করেছিলেন?
ক. কুফায় খ. তায়েফে গ. মদিনায় ঘ. মিশরে
৫. মানুষ অন্যায় করার পর অনুতপ্ত হলে আল্লাহ তাকে কী করেন?
ক. স্মরণ করেন খ. ক্ষমা করেন
গ. শাসন করেন ঘ. ত্যাগ করেন
৬. ভালো কাজে একে অপরকে কী করবে?
ক. ধমক দেবে খ. মারবে
গ. শাসন করবে ঘ. সহযোগিতা করবে
৭. সততা মানে কী?
ক. ধৈর্যধারণ খ. সরলতা গ. সাধুতা ঘ. বিরোধিতা
৮. হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র) কোথাকার অধিবাসী ছিলেন?
ক. ইরান খ. ইরাক গ. মিশর ঘ. লিবিয়া
৯. মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়, এটি কার উক্তি?
ক. মানুষের খ. ফেরেশতার
গ. মহানবি (স)-এর ঘ. আল্লাহর
$ads={1}
১০. মানুষের অধিকারকে কী বলা হয়?
ক. মানবতা খ. মানবাধিকার
গ. মানবধর্ম ঘ. মানব জাতি
১১. প্রাকৃতিক পরিবেশ কোনটি?
ক. জানালা খ. দালান গ. দরজা ঘ. গাছপালা
১২. কোনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়?
ক. বন্যা খ. ভ‚মিকম্প গ. অগ্নিকাÐ ঘ. ঘূর্ণিঝড়
উত্তরমালা
১. খ ২. ক ৩. ঘ ৪. গ ৫. খ ৬. ঘ
৭. গ ৮. ক ৯. ঘ ১০. খ ১১. ঘ ১২. গ
খ শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. যার আচরণ ভালো সে সকলের সাথে ভালো --- করে।
২. মানুষ আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি --- দেখাবে।
৩. দেশপ্রেম --- অঙ্গ।
৪. মক্কা বিজয়ের পর মহানবি (স) মক্কাবাসীকে --- বলেছিলেন?
৫. সততা মানুষকে --- দেয়।
৬. মায়ের --- নিচে সন্তানের জান্নাত।
৭. চেষ্টা ও শ্রম --- চাবিকাঠি।
উত্তর : ১. ব্যবহার; ২. দয়া; ৩. ইমানের; ৪. কী; ৫. মুক্তি; ৬. পায়ের; ৭. সাফল্যের
গ বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের শব্দগুলো মিলাও :
বাম ডান
১. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র দয়া দেখান না
২. যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি দয়া দেখায় না আল্লাহ তার প্রতি পুরস্কার রয়েছে
৩. আমাদের জন্মভ‚মির নাম ময়লা ফেলব
৪. যে ক্ষমা করল তার জন্য আল্লাহর কাছে সহযোগিতা করবে
৫. আমরা সকলে ডাস্টবিনে সবচেয়ে সুন্দর
৬. তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে বাংলাদেশ
উত্তর :
১. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।
২. যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি দয়া দেখায় না আল্লাহ তার প্রতি দয়া দেখান না।
৩. আমাদের জন্মভ‚মির নাম বাংলাদেশ।
৪. যে ক্ষমা করল তার জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার রয়েছে।
৫. আমরা সকলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলব।
৬. তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
👉 সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন- ১ \ মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।”
প্রশ্ন- ২ \ ‘সৃষ্টির সেবা’ কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি মানুষের দয়া দেখানো এবং সহানুভ‚তি প্রদর্শন করার নামই সৃষ্টির সেবা।
$ads={1}
প্রশ্ন- ৩ \ মহানবি (স) মক্কাবাসীদেরকে কিসের আহŸান জানিয়েছিলেন?
উত্তর : মহানবি (স) মক্কাবাসীদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার আহŸান জানিয়েছিলেন।
প্রশ্ন- ৪ \ ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে?
উত্তর : যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে সেই ক্ষমাশীল।
প্রশ্ন- ৫ \ মন্দকাজ কাকে বলে?
উত্তর : খারাপ ও অসৎ কাজকে মন্দ কাজ বলে।
প্রশ্ন- ৬ \ যার মধ্যে সততা আছে তাকে কী বলে?
উত্তর : যার মধ্যে সততা আছে তাকে সৎব্যক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন- ৭ \ আমরা পিতামাতার সাথে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আমরা সবসময় পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করব।
প্রশ্ন- ৮ \ আমরা পিতামাতার জন্য কী বলে দোয়া করব?
উত্তর : আমরা পিতামাতার জন্য এই বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করব যে,
“হে আমার প্রতিপালক। পিতামাতা আমাকে যেভাবে শৈশবে স্নেহ-যতেœ লালনপালন করেছেন, আপনি তাদের প্রতি ঠিক তেমনি দয়া করুন।”
প্রশ্ন- ৯ \ আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। নিজেরা যা খাই, যা পরি তাই তাদের খেতে দেব, পরতে দেব।
প্রশ্ন- ১০ \ মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও’।
প্রশ্ন- ১১ \ মানবজাতির আদিপিতা ও আদিমাতা কে কে ছিলেন?
উত্তর : মানবজাতির আদিপিতা হযরত আদম (আ) এবং আদিমাতা হাওয়া (আ)।
প্রশ্ন- ১২ \ প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে এসব কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়-পর্বত এসব কিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়।
👉বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ১ \ আমরা কোন কোন মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব?
উত্তর : আমরা যেসব মন্দ আচরণগুলো থেকে দূরে থাকব তা হলো :
১. আমরা কখনো মিথ্যা কথা বলবনা। ২. ঝগড়া-বিবাদ করব না। ৩. হিংসা করবনা। ৪. চুরি-ডাকাতি করবনা। ৫. ধূমপান করবনা। ৬. কটু কথা বলবনা। ৭. দেশের ও জনগণের ক্ষতি করবনা। ৮. আল্লাহর ইবাদত করতে ভুলবনা।
প্রশ্ন- ২ \ আমরা কীভাবে মানুষের সেবা করব?
উত্তর : আল্লাহর ইবাদতের পর আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের সেবা করব। যেমন : ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিয়ে, রোগীদের সেবা করে, আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিয়ে, পাড়া-প্রতিবেশীদের কারো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের চেষ্টা করে, অভাবী ও দুঃখীজনদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা মানুষের সেবা করব। মহানবি (স) বলেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ ব্যক্তির সেবা কর এবং বন্দীকে মুক্তি দাও। তাছাড়াও বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী বিপদে পড়লে সাহায্য-সহযোগিতা করা একান্ত কর্তব্য।
$ads={1}
প্রশ্ন- ৩ \ কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : নিম্নোক্ত উপায়ে আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি:
১. দেশের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করব, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
২. গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেবনা।
৩. বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করবনা, পাতা ছিঁড়বনা, ডাল ভাঙবনা।
৫. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয় করবনা, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
৬. দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব, সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রশ্ন- ৪ \ মহানবি (স)-এর জীবনের ক্ষমার একটি আদর্শ কাহিনী উল্লেখ কর।
উত্তর : মহানবি (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। তাঁর সারা জীবনই আমাদের জন্য ক্ষমার উজ্জ্বল আদর্শ। মহানবি (স)-এর ওপর কাফিররা নির্মম অত্যাচার করত। তাঁকে মক্কা ছাড়তে বাধ্য করল। তিনি আল্লাহর নির্দেশে জীবন রক্ষার্থে এবং ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ গমন করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন পালিত পুত্র যায়িদ (রা)। তায়েফবাসী তাঁর ইসলাম প্রচার শুনল না। তারা তাঁকে লাঞ্ছিত করল, পাথরের আঘাতে তাঁকে এবং যায়িদ (রা) কে রক্তাক্ত করল। আল্লাহর রহমতে তাঁরা দুজনে রক্তাক্ত অবস্থায় তায়েফ থেকে ফিরে আসলেন। কিন্তু তবুও দয়ার নবি (স) তায়েফবাসীদের জন্য বদদোয়া করলেন না। তিনি আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! তারা অবুঝ, তারা কিছুই বোঝে না। তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর।’ তাছাড়া মক্কা বিজয়ের পর শত্রæদের হাতের মুঠোয় পেয়েও ক্ষমা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
প্রশ্ন- ৫ \ আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব?
উত্তর : আমরা নানাভাবে ভালো কাজে সাহায্য করতে পারি। যথা :
১. গরিব ও দুস্থদের স্বাবলম্বনের জন্য তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড়দের সাহায্য করব।
২. এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট, পুল ও সাঁকো নির্মাণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেব এবং এসব নির্মাণে বড়দের সাথে কাজ করব।
৩. ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলব এবং সকলকে ফেলতে বলব।
৪. সকলে মিলে গ্রামে বা মহল্লায় ছোটখাটো গ্রন্থাগার তৈরি করে নিজেরা বই পড়ব এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করব।
৫. রাস্তার পাশে বা ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতে বড়দের সাহায্য করব।
প্রশ্ন- ৬ \ মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কারো মন্দকাজ করতে দেখে তাহলে সে যেন নিজের শক্তি দিয়ে তাকে বাধা দেয়। আর যদি সে শক্তি দিয়ে বাধা দিতে অপারগ হয়, তাহলে সে উপদেশের মাধ্যমে তাকে সংশোধন করে। আর সে যদি তাও না পারে তাহলে সে যেন তার প্রতি ঘৃণা করে। আর এটিই দুর্বল ইমানের পরিচয়।”
প্রশ্ন- ৭ \ হযরত ওমর (রা)-এর সততার পরিচয় দাও।
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) এর চরিত্রে সততার গুণটি পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান ছিল। তিনি রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার করতেন এবং কোনো প্রকার অন্যায় কাজ হলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিতেন। ছোট-বড়, আপন-পর, ধনী-দরিদ্র সকলের জন্য তিনি সমান বিচার করতেন এবং তাঁর বিচারে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব হতো না। তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে মদিনার অলিতেগলিতে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতেন এবং তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতেন। মদিনার এক দরিদ্র মহিলার সৎ কন্যার সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত ওমর (রা) তার যোগ্য ও স্নেহের পুত্রকে তার সাথে বিয়ে দেন।
প্রশ্ন- ৮ \ আমরা পিতামাতার খিদমত করব কেন?
উত্তর : যে কারণে আমরা পিতামাতার খেদমত করব তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. পৃথিবীতে পিতামাতার চেয়ে আপনজন আমাদের আর কেউ নেই।
২. পিতামাতার ওসিলাতেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি।
৩. তাঁদের স্নেহ ও আদরে আমরা লালিতপালিত এবং বড় হয়েছি।
৪. পিতামাতার খেদমত করলে তাঁরা আমাদের ওপর খুশি হবেন।
৫. পিতামাতার খেদমত করলে আমরা দুনিয়ায় ও আখিরাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারব।
$ads={1}
প্রশ্ন- ৯ \ মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন? [২০১৫]
উত্তর : আমাদের সমাজে যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই হলো চাকর। মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে, নিজে যা পরিধান করবে তাদেরও তা পরতে দেবে। কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে, বেশি কষ্ট দেবেনা। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেবে’।
প্রশ্ন- ১০ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা কী কী কৌশল অবলম্বন করব।
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করব তা হলো :
১. যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় বসতভিটা, গোয়ালঘর ও হাঁস-মুরগির ঘর তৈরি করব।
২. ঘরের ভেতরে উঁচু মাচা তৈরি করে তার উপর খাদ্যশস্য ও বীজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করব।
৩. পুকুরের পাড় উঁচু করব। টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন যথাসম্ভব উঁচু স্থানে বসাব।
৪. শুকনো খাবার যেমন : চিড়া, মুড়ি, গুড় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে মজুত রাখব এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাঁতার শেখাব।
৫. বন্যার সময়ে যাতায়াতের জন্য নৌকা না থাকলে কলাগাছের ভেলা তৈরি করে নেব।
অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন \ ১ \ আল্লাহর ইবাদতের পর আমাদের প্রথম দায়িত্ব কী?
উত্তর : আল্লাহর ইবাদতের পর আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা।
প্রশ্ন \ ২ \ তোমার ভাই রাহাত ও তার বন্ধুরা মিলে গ্রামের ভাঙা সাঁকো মেরামত করছে। এটি কোন ধরনের কাজ?
উত্তর : এটি সেবামূলক কাজ।
প্রশ্ন \ ৩ \ তোমার ছোট ভাই তোমার সঙ্গে একটি মন্দ আচরণ করেছে। এখন তুমি কী করবে?
উত্তর : আমি তার প্রতি সহনশীল আচরণ করব।
প্রশ্ন \ ৪ \ তুমি তোমার বন্ধুকে মনে মনেও গালি দেবে না। কারণ কী?
উত্তর : আমি আমার বন্ধুকে মনে মনেও গালি দেব না কারণ আল্লাহর তায়ালার কাছে তা গোপন থাকবে না।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর : কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।
প্রশ্ন \ ৬ \ তোমার চাচা তোমাকে ভালো কাজ করার উপদেশ দিলেন। চাচার উপদেশের আলোকে নিচের কোনটি ভালো কাজের উদাহরণ?
উত্তর : ভালো কাজের উদাহরণ হলো সত্যকথা বলা।
প্রশ্ন \ ৭ \ তুমি বাজারে যাওয়ার সময় তোমার শিক্ষকের সাথে দেখা হলো। তুমি তখন কী করবে?
উত্তর : আমি আমার শিক্ষককে সালাম দেব।
প্রশ্ন \ ৮ \ তোমার মায়ের দেওয়া টিফিন তুমি না খেয়ে তোমার বন্ধুকে দিয়ে দিলে। মা জিজ্ঞাসা করলে তুমি কী বলবে?
উত্তর : মা জিজ্ঞাসা করলে আমি সত্যকথা বলব।
প্রশ্ন \ ৯ \ মহানবি (স) জন্মভ‚মি মক্কা ত্যাগের সময় বার বার ফিরে তাকাচ্ছিলেন কীসের দিকে?
উত্তর : মহানবি (স) জন্মভ‚মি মক্কা ত্যাগের সময় বারবার ফিরে তাকাচ্ছিলেন মাতৃভ‚মি মক্কার দিকে।
প্রশ্ন \ ১০ \ কীভাবে দেশের সেবা করে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : পানি, বিদ্যুৎ, গ্যসের অপচয় রোধ করে দেশের সেবা করে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় ।
প্রশ্ন \ ১১ \ মহানবি (স)-এর প্রেম ও ক্ষমার আদর্শে মুগ্ধ হয়ে কারা স্বেচ্ছায় দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছিল?
উত্তর : মহানবি (স)-এর প্রেম ও ক্ষমার আদর্শে মুগ্ধ হয়ে মক্কাবাসী স্বেচ্ছায় দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছিল।
প্রশ্ন \ ১২ \ ইসলাম আমাদের কোন কোন ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছে?
উত্তর : ইসলাম আমাদের কথাবার্তায়, কাজকর্মে ও আচার-আচরণের মাধ্যমে সততা রক্ষা করার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কোনো অন্যায় কাজে বাধা দিতে অসমর্থ হলে আমরা অন্যায় কাজটি অন্তরে ঘৃণা করব। এটি কোন ধরনের ইমানের পরিচায়ক?
উত্তর : এটি দুর্বলতম ইমানের পরিচায়ক।
প্রশ্ন \ ১৪ \ নিজের স্বার্থ বড় করে না দেখা এবং অপরের স্বার্থ ক্ষুণœ হোক তা না চাওয়ার নাম কী?
উত্তর : নিজের স্বার্থ বড় করে না দেখা এবং অপরের স্বার্থ ক্ষুণœ হোক তা না চাওয়ার নাম সততা।
প্রশ্ন \ ১৫ \ যার মধ্যে সততার মহৎ গুণটি রয়েছে তাকে কী বলা হয়?
উত্তর : যার মধ্যে সততার মহৎ গুণটি রয়েছে তাকে সৎ ব্যক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ রহিম একজন সৎ ব্যক্তি। তাকে কারা বিশ্বাস করবে?
উত্তর : তাকে শত্রæরাও বিশ্বাস করবে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কোনটি মানুষকে ভালো কাজের দিকে পরিচালিত করে?
উত্তর : সততা মানুষকে ভালো কাজের দিকে পরিচালিত করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ আল্লাহ বলেন, তোমরা মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ দাও। ভালো কাজ মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয়?
উত্তর : ভালো কাজ মানুষকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ কোনটির অভাবে সমাজ আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে চলে যায়?
উত্তর : সত্যবাদিতা ও সততার অভাবে সমাজ আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে চলে যায়।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোনটি সমাজকে কলুষিত করে?
উত্তর : প্রতারণা ও দুর্নীতি সমাজকে কলুষিত করে।
প্রশ্ন \ ২১ \ সততা মানুষকে কোন কাজ থেকে বিরত রাখে?
উত্তর : সততা মানুষকে পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।
প্রশ্ন \ ২২ \ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের কোন ধরনের শিক্ষা?
উত্তর : ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের নৈতিকতার শিক্ষা।
সাধারণ
প্রশ্ন \ ২৩ \ পরিমাপের ক্ষেত্রে একজন মুসলমানের আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : পরিমাপের ক্ষেত্রে একজন মুসলমানের ওজনে কখনোই কমবেশি করা উচিত নয়।
প্রশ্ন- ২৪ \ ‘সৃষ্টির সেবা’ সম্বন্ধে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : পৃথিবীতে যা কিছু আছে তাদের প্রতি দয়া দেখাও আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।
প্রশ্ন- ২৫ \ সৃষ্টির সেবা কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখানো, সহানুভ‚তি প্রদর্শন করার নামই সৃষ্টির সেবা।
প্রশ্ন- ২৬ \ মানবাধিকার কাকে বলে?
উত্তর : মানবজীবনের সকল অধিকারই মানবাধিকার।
প্রশ্ন- ২৭ \ হযরত বায়েজিদ বোস্তামী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : হযরত বায়েজিদ বোস্তামী ইরানে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন- ২৮ \ মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।”
প্রশ্ন- ২৯ \ কী ভালো হলে জীবন সুন্দর হয়?
উত্তর : চরিত্র ভালো হলে জীবন সুন্দর হয়।
প্রশ্ন- ৩০ \ আশরাফুল মাখলুকাত অর্থ কী?
উত্তর : আশরাফুল মাখলুকাত অর্থ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।
প্রশ্ন- ৩১ \ রাসুল (স) জনৈক লোককে কোন কাজটি আগে ত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন?
উত্তর : লোকটিকে সর্বপ্রথম মিথ্যা বলা পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন।
প্রশ্ন- ৩২ \ হযরত ওমর (রা) ইসলামের কততম খলিফা ছিলেন?
উত্তর : হযরত ওমর (রা) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন।
প্রশ্ন- ৩৩ \ আমরা সাধ্যমতো কাদের সেবা করব?
উত্তর : আমরা সাধ্যমতো গরিব-দুঃখীদের সেবা করব।
প্রশ্ন- ৩৪ \ গাছ কী ত্যাগ করে?
উত্তর : গাছ অক্সিজেন ত্যাগ করে।
প্রশ্ন- ৩৫ \ আল্লাহ তায়ালা কী পছন্দ করেন?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করা পছন্দ করেন।
প্রশ্ন- ৩৬ \ ‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’Ñ এটা কার বাণী?
উত্তর : জ্ঞানীদের বাণী।
প্রশ্ন- ৩৭\ “নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না”Ñ কার বাণী?
উত্তর : আল্লাহর বাণী।
প্রশ্ন- ৩৮ \ আমরা কার ইবাদত করব?
উত্তর : আমরা আল্লাহর ইবাদত করব।
প্রশ্ন- ৩৯ \ আমরা কাদের কথা শুনব।
উত্তর : আমরা পিতামাতার কথা শুনব।
প্রশ্ন- ৪০ \ আমরা কাকে সম্মান করব?
উত্তর : আমরা শিক্ষককে সম্মান করব।
প্রশ্ন- ৪১ \ কে আল্লাহর সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া দেখালেন?
উত্তর : এক মহিলা আল্লাহর এক সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া দেখালেন।
প্রশ্ন- ৪২ \ মহানবি (স) কোথায় হিজরত করেন?
উত্তর : মহানবি (স) মদিনায় হিজরত করেন।
প্রশ্ন- ৪৩ \ মহানবি (স) কাদের ভালোবাসতেন?
উত্তর : মহানবি (স) মক্কার লোকদের ভালোবাসতেন।
প্রশ্ন- ৪৪ \ আমাদের জš§ভ‚মির নাম কী?
উত্তর : আমাদের জš§ভ‚মির নাম বাংলাদেশ।
প্রশ্ন- ৪৫ \ দেশপ্রেম বলতে কোনটিকে বোঝায়?
উত্তর : দেশপ্রেম বলতে দেশকে ভালোবাসা বোঝায়।
প্রশ্ন- ৪৬ \ নিজের স্বার্থ বড় করে না দেখা কী?
উত্তর : নিজের স্বার্থ বড় করে না দেখাই সততা।
প্রশ্ন- ৪৭ \ ‘তোমরা পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর।’ কার নির্দেশ?
উত্তর : পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা আল্লাহর নির্দেশ।
প্রশ্ন- ৪৮ \ পিতার সন্তুষ্টিতে কার সন্তুষ্টি।
উত্তর : পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি।
প্রশ্ন- ৪৯ \ চেষ্টা ও পরিশ্রম কীসের চাবিকাঠি?
উত্তর : চেষ্টা ও পরিশ্রম শেখার ও জানার চাবিকাঠি।
প্রশ্ন- ৫০ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কী হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের অনেক ক্ষতি হয়।
প্রশ্ন- ৫১ \ আখলাক কাকে বলে?
উত্তর : সুন্দর স্বভাব ও ভালো চরিত্রকে আখলাক বলে।
প্রশ্ন- ৫২ \ চাকরদের সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, “যারা কাজ করে, তারা তোমাদের ভাই। নিজেরা যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। নিজেরা যা পরিধান করবে তাদেরও তা পরতে দেবে।”
প্রশ্ন- ৫৩ \ দেশপ্রেম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : নিজের দেশের উন্নতির জন্য চেষ্টা এবং শত্রæর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার নামই দেশপ্রেম।
প্রশ্ন- ৫৪ \ আখলাক অর্থ কী?
উত্তর : আখলাক অর্থ সদাচার।
প্রশ্ন- ৫৫ \ সততা শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সততা অর্থ সাধুতা, মানবতা ও সত্যবাদিতা।
প্রশ্ন- ৫৬ \ মহানবি (স) -এর পালিত পুত্রের নাম কী?
উত্তর : হযরত যায়িদ (রা)
প্রশ্ন- ৫৭ \ হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র) কোথাকার অধিবাসী ছিলেন?
উত্তর : ইরানের।
প্রশ্ন- ৫৮ \ মহানবি (স)-এর জন্মভ‚মি কোথায়?
উত্তর : সৌদি আরবের মক্কানগরীতে।
প্রশ্ন- ৫৯ \ পরিবেশ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ।
অতিরিক্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর
যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন- ১ \ আমরা অন্যের প্রতি দয়া দেখাব কেন? অন্যকে সাহায্য করার চারটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য আমরা অন্যের প্রতি দয়া দেখাব। অন্যকে সাহায্য করার চারটি উদাহরণ হলো- ১. অসুস্থ ব্যক্তির সেবাযতœ করা ২. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করা ৩. বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করা ৪. নিরাশ্রয়কে আশ্রয়, দরিদ্র ও ভিক্ষককে সাহায্য করা।
প্রশ্ন- ২ \ তুমি কীভাবে পিতামাতার খেদমত কর পাঁচটি বাক্যে লিখ।
আমি আমার পিতামাতার সেবাযতœ করি। তারা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখি। তাদের আদেশ-নিষেধ শুনি এবং মেনে চলি। তাদের সম্মান করি। আমি তাদের মনে সামান্যতম কষ্টও দিই না।
প্রশ্ন- ৩ \ তোমরা ওয়াদা ভঙ্গ করবে না কেন? কীভাবে ওয়াদা ভঙ্গ হয় তার চারটি উপায় লিখ।
উত্তর : ওয়াদা পালন না করলে ধর্ম থাকে না বিধায় আমরা ওয়াদা ভঙ্গ করব না। কীভাবে ওয়াদা ভঙ্গ হয় তার চারটি উপায় হলো :
১. কারও সাথে কথা দিয়ে কথা না রাখা।
২. চুক্তি করলে ভঙ্গ করা।
৩. প্রতিশ্রæতি দিলে তা রক্ষা না করা।
৪. আমানতের খিয়ানত করা
প্রশ্ন- ৪ \ তুমি কীভাবে দেশের সেবা করবে তা পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা দেশকে সেবা করব। এজন্য আমরা-
১. দেশের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করব, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
২. গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেবনা।
৩. বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করবনা, পাতা ছিঁড়বনা, ডাল ভাঙবনা।
৪. বেঞ্চে, দেয়ালে বা অন্য কোথাও আজেবাজে কিছু লিখবনা, সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখব, সংরক্ষণ করব।
৫. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয় করবনা, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
প্রশ্ন- ৫ \ আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : ছোট-বড় যত সদাচার এবং সৎকাজএ সবই ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত। যেমন: গরিব ও দুস্থদের জন্য সেবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, তাদের স্বাবলম্বনের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, রাস্তাঘাট মেরামত ও তৈরি করা। এসব ভালো কাজে একে অপরের সহযোগিতা করতে হয়। যদি এলাকায় রাস্তাঘাট না থাকে তাহলে যাতায়াত ও চলাফেরার খুব অসুবিধা হয়। তাই সকলে মিলে রাস্তাঘাট, পুল বা সাঁকো তৈরি করব।
প্রশ্ন- ৬ \ আমরা কেন আমাদের দেশকে ভালোবাসব? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : যে কারণে আমরা দেশকে ভালোবাসব তা পাঁচটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো :
১. আমরা এদেশের আলো, বাতাস পেয়ে বেঁচে আছি।
২. ‘আমাদের নবি করীম (স) দেশকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
৩. দেশ প্রত্যেকের কাছেই পবিত্র।
৪. দেশপ্রেম তথা দেশকে ভালোবাসা প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।
৫. দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।
প্রশ্ন- ৭ \ কীভাবে আমরা মানবজাতির সেবা ও সাহায্য করতে পারি? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা যেভাবে মানবজাতির সেবা ও সাহায্য করতে পারি তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. অসুস্থ ব্যক্তির সেবাযতœ করে।
২. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে।
৩. বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করে।
৪. নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দিয়ে।
৫. বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে।
প্রশ্ন- ৮ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য তুমি কী করবে? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করব :
১. যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় বসতভিটা, গোয়ালঘর ও হাসমুরগির ঘর তৈরি করব।
২. ঘরের ভেতরে উঁচু মাচা তৈরি করে তার ওপর খাদ্যশস্য ও বীজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করব।
৩. পুকুরের পাড় উঁচু করব। টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন যথাসম্ভব উঁচু স্থানে বসাব।
৪. শুকনো খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, গুড় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে মজুদ রাখব।
৫. পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাতারকাটা শেখাব।
প্রশ্ন- ৯ \ আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন? পাঁচটি বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমরা পিতামাতার খেদমত করব কেন তা পাঁচটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. এই পৃথিবীতে পিতামাতার চেয়ে আপনজন আমাদের আর কেউ নেই।
২. পিতামাতার ওসিলাতেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি।
৩. তাঁদের স্নেহ ও আদরে আমরা লালিতপালিত এবং বড় হয়েছি।
৪. তাঁরা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে আমাদের বড় করে তোলেন।
৫. পিতামাতার খেদমত করলে আল্লাহ খুশি হয়।
প্রশ্ন- ১০ \ মনে কর, তোমার এলাকায় বন্যা হয়েছে বন্যার কবল থেকে গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখার জন্য তোমার করণীয় কাজ কী? ৪টি বাক্যে লিখ।
উত্তর : বন্যার কবল থেকে গবাদিপশুকে নিরাপদ রাখার ৪টি করণীয় নিচে দেওয়া হলো :
১. গবাদি পশুর জন্য উঁচু করে তাদের আবাসস্থল নির্মাণ করা।
২. গবাদি পশুর রোগব্যাধি থেকে রক্ষার জন্য তাদের আবাসস্থল পরিষ্কার রাখা।
৩. বিভিন্ন রোগের টিকা ও ওষুধ সেবন করানো।
৪. পূর্ব থেকেই গবাদি পশুর খাদ্য মজুত রাখা।
প্রশ্ন- ১১ \ ‘মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়’ উক্তিটির আলোকে ইসলামে শ্রমের মর্যাদা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়’ এটি মহান আল্লাহর বাণী। নিচে উক্তিটির আলোকে ইসলামে শ্রমের মর্যাদা ব্যাখ্যা করা হলো :
আমরা প্রতিদিন বিভিন্নভাবে শ্রম দিয়ে থাকি। পরিশ্রম ছাড়া কোনো কাজ সম্পাদন সম্ভব নয়। পরিশ্রম দ্বারাই মানুষ সাফল্যের দ্বারাপ্রান্তে পৌঁছে যায়। চেষ্টা ও শ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমিকরা শ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে। শ্রমিকের কাজ শেষ হলে তার পারিশ্রমিক সাথে সাথে দিয়ে দিলে শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। আমাদের প্রিয় নবি (স) বলেছেন, “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।”
প্রশ্ন- ১২ \ সন্তানের বেহেশত কোথায়? আমরা মাতাপিতার খেদমত করব কেন? ৪টি বাক্যে লিখ।
উত্তর : মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত। এ পৃথিবীতে পিতামাতা ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে আমাদের বড় করেন। আমাদের অসুখ-বিসুখে সেবাযতœ করেন। আমাদের মঙ্গলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। তাই আমরা সবসময় পিতামাতার খেদমত করব।
প্রশ্ন- ১৩ \ মুক্তাদের বাড়িতে রহিমা নামের একটি মেয়ে কাজ করে। তার প্রতি মুক্তার ৫টি সুন্দর ব্যবহার লিখ।
উত্তর : মুক্তাদের বাড়িতে রহিমা নামের একটি মেয়ে কাজ করে। তার প্রতি মুক্তার ৫টি সুন্দর ব্যবহার হলো :
১. মুক্তার কাজকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে।
২. তাকে স্নেহ ও আদর করতে হবে।
৩. নিজে যা খাবে, তাকে তা খাওয়াবে।
৪. একই ধরনের ও মানের পোশাক তাকে পরতে দিবে।
৫. তার কাজকর্মে সম্ভব হলে সাহায্য করবে।
প্রশ্ন- ১৪ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতিজনিত পাঁচটি বিষয় উল্লেখ কর।
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত পাঁচটি বাক্য উল্লেখ করা হলো :
র. গাছপালা, মৎস্যখামার ও শস্যক্ষেতের ক্ষতি হয়।
রর. জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়।
ররর. কৃষিজমির ক্ষতি হয়, জমির উর্বরা শক্তি ও কৃষি উৎপাদন কমে যায়।
রা. অনেক প্রাণহানি ঘটে এবং অনেক সম্পদের ক্ষতি হয়।
া. বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।
সাধারণ
প্রশ্ন- ১৫ \ আমাদের চরিত্র সুন্দর ও আচরণ ভালো করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : আমাদের চরিত্র সুন্দর ও আচরণ ভালো করতে হলে আল্লাহর ইবাদত করব, পিতামাতার কথা শুনব। শিক্ষককে সম্মান করব, সত্য কথা বলব, সৃষ্টির সেবা করব, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব। মানবাধিকার ও বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলব, মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব, মিথ্যা কথা বলবনা, ঝগড়া-বিবাদ করবনা। কারো সাথে হিংসা করব না, চুরি-ডাকাতি করবনা। ধূমপান করবনা, দেশের ও জনগণের ক্ষতি করবনা। আল্লাহর ইবাদত ভুলবনা, কটু কথা বলব না।
প্রশ্ন- ১৬ \ কেন এবং কীভাবে সৃষ্টির সেবা করা যায়? বর্ণনা কর।
উত্তর : সৃষ্টির সেবা করার কারণ : আল্লাহ তায়ালা মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। তাই আমাদের এসব সৃষ্টির প্রতি যতœ নিতে হবে, সহানুভ‚তি দেখাতে হবে।
আমরা নি¤œরূপে সৃষ্টির সেবা করতে পারি :
১. স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি মানুষ, তাদেরকে সম্মান করব।
২. অসুস্থ মানুষের সেবাযতœ করব, ৩. ক্ষুধার্থকে খাদ্য দান ও সাহায্য করব, ৪. আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দান করব, ৫. বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দেব।
৬. বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর বিপদে সাহায্য করব, সর্বদা খোঁজখবর নেব।
৭. সকল প্রকার জীবজন্তু, কীটপতঙ্গের সেবাযতœ করব।
৮. গৃহপালিত পশু-পাখিকে নিয়মিত পরিচর্যা করব, গাছপালার যতœ নিব, গাছপালা ধ্বংস করবনা।
৯. নদীনালা, খালবিল, জলাশয় যাতে দূষিত না হয়, এজন্য ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করব।
প্রশ্ন- ১৭ \ মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।”
প্রশ্ন- ১৮ \ হিজরতের সময় মহানবি (স) এর মনের আকুতি কী ছিল?
উত্তর : হিজরতের সময় মহানবি (স) তাঁর জন্মভ‚মি মক্কানগরী ছেড়ে যেতে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছিলেন, খুব ব্যথিত হয়েছিলেন। তিনি মক্কা ছেড়ে যাওয়ার সময় অশ্রæভেজা চোখে বারবার মক্কার দিকে তাকাচ্ছিলেন। আর কাতরকণ্ঠে বলছিলেন :
“হে মক্কানগরী, তুমি কত সুন্দর!
তুমি আমার জন্মভ‚মি, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি আমার কাছে কতই না প্রিয়!
হায়! আমার স্বজাতি যদি ষড়যন্ত্র না করত,
এদেশ থেকে আমাকে তাড়িয়ে না দিত
আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যেতাম না”।
প্রশ্ন- ১৯ \ মানব চরিত্রের ভালো গুণগুলো লেখ।
উত্তর : মানব চরিত্রের ভালো গুণগুলো হচ্ছে-
সত্যবাদিতা, সৃষ্টির সেবা, দেশপ্রেম, ক্ষমা, ভালো কাজে সহযোগিতা করা এবং মন্দ কাজে বাধা দেওয়া, সততা, পিতা-মাতার খেদমত, শ্রমের মর্যাদা প্রদান, মানবাধিকার রক্ষা, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।
প্রশ্ন- ২০ \ সৃষ্টির সেবা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালা এ পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির সাথে সাথে আরো অনেক প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তিনি এ পৃথিবীতে অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন। সকল সৃষ্টির প্রতি সেবাপ্রদান করাই হলো সৃষ্টির সেবা। আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি সহানুভ‚তি দেখানো, তাদের কল্যাণে এগিয়ে আসা এবং দয়া প্রদর্শন করাই হলো সৃষ্টির সেবা।
আপনার সাতএ যোগাযোগের কোন ফোন নমবর
উত্তরমুছুন