প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানা সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য জরুরী। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
নিচে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো সে বিষয়গুলো হলো।
- ১.১ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা
- ১.২ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য
- ১.৩ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রি-স্কুল হলো আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার পূর্ববর্তী এক বছর মেয়াদি শিক্ষাস্তর যেখানে শিশুর সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত অভিষেক ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা মূলত ৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত ও সামাজিক বিকাশের মজবুত ভিত্তি তৈরি করে থাকে। এই ভিত্তি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য
আনন্দময় ও শিশুবান্ধব পরিবেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বয়সী শিশুদের (৫+ বছর) বয়স ও সামর্থ্য অনুযায়ী শারীরিক, মানসিক, আবেগিক, সামাজিক, নান্দনিক, বুদ্ধিবৃত্তীয় ও ভাষাবৃত্তীয় তথা সার্বিক বিকাশে সহায়তা দিয়ে আজীবন শিখনের ভিত্তি রচনা করা এবং প্রাথমিক শিক্ষার অঙ্গনে তাদের সানন্দ ও স্বতঃস্ফূর্ত অভিষেক ঘটানো।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য
ক) আনন্দময় ও শিশুবান্ধব পরিবেশে বিভিন্ন খেলা ও কাজের মাধ্যমে শিশুর সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা;
খ) শেখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা;
গ) শিশুর সৌন্দর্য, নান্দনিকতাবোধ ও সুকুমারবৃত্তি বিকাশে সহায়তা করা;
ঘ) শিশুকে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা;
ঙ) নিজস্ব সাংস্কৃতিক আচার, কৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি এর চর্চায় উৎসাহিত করা;
চ) নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সামাজিক রীতিনীতি বিকাশে সহায়তা করা;
ছ) শিশুর স্থূল ও সূ²পেশী তথা চলনশক্তির বিকাশে সহায়তা করা;
জ) স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করা;
ঝ) শিশুর ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা;
ঞ) প্রারম্ভিক গাণিতিক ধারণা, যৌক্তিক চিন্তা ও সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করা;
ট) পরিবেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কারণ ও ফলাফল সম্পর্ক অনুধাবনে সহায়তা করা;
ঠ) শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত কল্পনা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশে সহায়তা করা;
ড) শিশুর আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা বিকাশে সহায়তা করা এবং নিজের কাজ নিজে করতে উদ্বুদ্ধ করা;
ঢ) আবেগ বুঝতে পারা ও তার যথাযথ প্রকাশে সহায়তা করা;
ণ) শিশুকে পারস্পরিক সমঝোতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও ভাগাভাগি করতে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা;
ত) শিশুকে প্রশ্ন করতে আগ্রহী করে তোলা ও মতামত প্রকাশে উৎসাহিত করা;
থ) শিশুকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা।
আরো পড়ুনঃ
- প্রাথমিক গণিত শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাক্রম কি
- প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য project
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
- মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- বাংলাদেশের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার বয়সসীমা কত
- বাংলাদেশের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট
- প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির সাপ্তাহিক ক্লাস রুটিন
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক সহায়িকা মোবাইল অ্যাপ
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার মূলনীতিসমূহ
- প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষের উপকরণ তালিকা
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক সহায়িকা pdf download
- প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন কাজসমূহ
- প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ ব্যায় নির্বাহ কমিটি গঠন