শিশুর বিকাশ ও বিকাশের ক্ষেত্রসমূহঃ
শিশুর বিকাশ হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক, অব্যাহত ও সমষ্টিগত প্রক্রিয়া। জন্মগতভাবে মানব শরীর তার ইন্দ্রিয় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে চারপাশ থেকে নতুন কিছু গ্রহণ ও অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তুত থাকে। ফলে মস্তিষ্ক ও শরীর ক্রমাগত পরিণত হতে থাকে। চারপাশের পরিবেশ ও যতœকারীর সাথে ক্রমাগত পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর পঞ্চ-ইন্দ্রিয় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহারে ক্রমশ দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াই মূলত বিকাশ। তাই শিশু তার যতœকারী ও চারপাশের পরিবেশ থেকে বয়স উপযোগী পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যতেœর মাধ্যমে উদ্দীপনা পেলে তার সামগ্রিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। শিশুর সুষম ও সমন্বিত বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে বিভিন্ন উপায়ে, তার পঞ্চ-ইন্দ্রিয় ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহারের সুযোগ রেখে তার সংঙ্গে পারস্পরিক ক্রিয়া করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং শিশুদের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্য বিবেচনা করে যথেষ্ট নমনীয় উপায়ে শিশুর সংঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ করার নির্দেশনা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে নিশ্চিত করা জরুরি। একটি কঠোর রুটিন অনুসরণ না করে শিশুদের শেখার কর্মকাণ্ড যেন তার শিখন-অভিজ্ঞতা ও চাহিদার ভিত্তিতে বিকাশের স্তর অনুযায়ী পরিচালনা করা যায় এরূপ সুযোগ সৃষ্টি করাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
শিশুর সার্বিক বিকাশকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৪টি উড়সধরহ বা ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমের চাহিদা অনুযায়ী ৪টি বিকাশের ক্ষেত্র বিবেচনার পাশাপাশি বিকাশের ক্ষেত্রকে ৮টি খবধৎহরহম অৎবধ বা শিখনক্ষেত্রে বিভাজন করা হয়েছে। প্রতিটি শিখনক্ষেত্রকে একাধিক অর্জনোপযোগী যোগ্যতা ও প্রতিটি অর্জনোপযোগী যোগ্যতাকে একাধিক শিখনফলে নিদিষ্ট করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিটি শিখনফল অর্জনের জন্য পরিকল্পিত কাজ বা শিখন-শেখানো কৌশল প্রণয়ন করে শিক্ষক সহায়িকাসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিশুর বিকাশ ও বিকাশের ক্ষেত্র |