শিখনঘাটতি পূরণে সাপ্তাহিক মূল্যায়ন ও রেকর্ড সংরক্ষণ কিভাবে করতে হবে।

শিখনঘাটতি পূরণে সাপ্তাহিক মূল্যায়ন ও রেকর্ড সংরক্ষণ কিভাবে করতে হবে।


শিখনঘাটতি পূরণে সাপ্তাহিক মূল্যায়ন ও রেকর্ড সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি প্রদান করা হয়েছে। পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে।

উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে ষে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে স্বাস্থ্যাবিধি মেনে সরাসরি স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শ্ররু করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে শিখনঘাটতি পূরণে জাতীয় শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুযায়ী ধারাবাহিক মুল্যায়ন ও রেকর্ড সংরক্ষণের নিমিত্তে নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

(১) প্রত্যেক বিষয় শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের অংশ হিসেবে একক কাজ (Individual work), জোড়ায় কাজ (Pair Work) এবং বাড়ির কাজ (Home Work) দিবেন এবং মুল্যায়ন করবেন;

(২) প্রত্যেক বিষয় শিক্ষক প্রতিটি অধ্যায় পড়ানোর শেষে পঠিত বিষয়ের উপর শ্রেণি পরীক্ষা (Class Test) গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীর সাফল্যাঞ্জের ব্লকর্ড শিক্ষার্থীর প্রাফাইলে সংরক্ষণ করবেন;

(৩) শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন ১টি পিরিয়ডের বরাদ্দকৃত সময়ের ২০ মিনিট শ্রেণি পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং বাকী সময় শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন;

(8) শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণে কোন ফি আদায় করা যাবে না। শিক্ষক শ্রেণি কক্ষের বোর্ডে প্রশ্ন (এমসিকিউ, বর্ণনামূলক, শৃণ্যস্থানপূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন) লিখে দিবেন। এক্ষেত্রে জ্ঞানমূলক শিখন ক্ষেত্র (Cognitive learning area) বিবেচনায় নিবেন;

(৫) শিক্ষক শ্রেণি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন এবং ভুল থাকলে তা সংশোধন করে শুদ্ধ উত্তর শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন খাতায় লিখে দিবেন;

(৬) সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুল্যায়নকৃত খাতা অভিভাবকদের নিকট প্রেরণ করে তা পুনরায় ফেরত নিবেন এবং বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করবেন;

(৭) প্রতিমাসে একবার অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সংশ্রিষ্ট শ্রেণি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সার্বিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ফিডব্যাক প্রদান করবেন;

(৮) প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন কমপক্ষে একজন শিক্ষকের একটি শ্রেণির পাঠদান পর্যবেক্ষণ টুলস ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীরা সাবলীলভাবে বাংলা, ইংরেজি পড়তে পারছে কিনা ও পড়ার দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে কিনা এবং গাণিতিক দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে শ্রেণি শিক্ষককে পরামর্শ (অনুশাসন) প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের মূল্যায়নকৃত প্রতিবেদন মাঠপর্যায়ের মেন্টরগণ মুল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ফলাবর্তন দিবেন;

(৯) প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে একদিন সকল শিক্ষককে নিয়ে সভা করে ফিডব্যাক/পরামর্শ/অনুশাসনগুলো নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন। এক্ষেত্রে মাসে একটি সভাতে মেন্টরগণের একজনকে আসন্ত্রণ জানাবেন;

(১০) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নৈতিকতা বিকাশে আচরণিক বিষয়ক, নম্রতা, ভদ্রতা, সামাজিক ও নৈতিক মুল্যবোধ, (Social and ethical values) অনুশীলনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ চেকলিস্টের মাধ্যমে আচরণিক পরিবর্তনে সহায়তা করতে হবে। শিক্ষার্থী প্রোফাইলে আচরণিক বিষয়ও সংরক্ষণ করতে হবে।

(১১) মাঠ পর্যায়ের মেন্টরগণ (UEO/TEO, URC/TRC, AUEO/ATEO)) বিদ্যালয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা মেন্টরিং করবেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহায়তা করবেন;

(১২) সকল কার্যক্রমের রেকর্ড বিদ্যালয়ে ভিন্ন রেজিস্টারে সংরক্ষন করতে হবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন