প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি ২০২২

প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি ২০২২

জাতীয় কৃতিত্ব অভীক্ষা - নভেম্বর ২০২২ এর সঠিক প্রস্তুতির জন্য আরো কিছু নির্দেশনা ও নমুনা প্রশ্ন সংযোজন করা হল: 

🔶🔶 NSA যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন নির্দেশিকা 2022

🔶🔶 জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন অভীক্ষার বাংলা ও গণিত বিষয়ের কিছু নমুনা প্রশ্ন

১) গণিতের লিঙ্ক: https://drive.google.com/file/d/16iMav355nXDUITpA1H-gts6VGvboZjH2/view?fbclid=IwAR3OnMaHsn0WxHqKEL19FID7YiokeWEg4Z2NRbJxfvOUg6skG24qC4uZKfg

২) বাংলার লিঙ্ক: https://sg.docs.wps.com/l/sIK2ZwuZckMLTmAY?fbclid=IwAR0b-YFrwzzTgAGW4A5pKCPqylQjjY_AeCELpVqg5zocJZA0GFrzxvDB1G0

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

উপস্থাপনায়

ড. উত্তম কুমার দাশ

পরিচালক, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন

অতিরিক্ত দায়িত্ব

পরিচালক, প্রশিক্ষণ

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

এনএসএ কী এবং কেন?

🔶🔶 জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন: 

জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। জাতীয় শিক্ষাক্রমে বর্ণিত শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা এই পরীক্ষার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। এই পরীক্ষাটির ফলাফল দ্বারাই জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর যোগ্যতার মান পরিমাপ করা হয়। পৃথিবীর সকল দেশেই এই পরীক্ষটির দ্বারা শিক্ষার্থীর যোগ্যতার পরিমাপ করা হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার উপর একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়। এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার উপর জাতীয় পরিকল্পনা যেমন, পঞ্চবার্ষিক, টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। আমাদের দেশেও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনের বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে করা হয়। এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ফলাফলই মূলত আমাদের দেশের শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মান। অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার তুলনা এই প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারাই করা হয়। তাছাড়া এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। যারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এ পরীক্ষা পরিচালনা করবে। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাই আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার মান বিশে^ তুলে ধরবে।

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

🔶 প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের (প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউআরসি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা, জেলা প্রাথিমিক শিক্ষা, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সকল অর্জন এই প্রতিদেন দ্বারাই অনেকটা নির্ধারিত।

🔶 শিক্ষার্থীর যোগ্যতা বিকাশের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়, ইউআরসি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

🔶 মাঠ পর্যায়ের এই সকল প্রতিষ্ঠানসমূহের সকলকে দেশের প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। 

জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কী থাকে?

🔶 এনএসএ প্রতিবেদনে জাতীয় পর্যায়, উপজেলা ও জেলাভিত্তিক শিক্ষার্থীর বাংলা ও গণিতের যোগ্যতা পরিমাপের মান থাকে।

🔶 কোন উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বাংলা ও গণিতের যোগ্যতা মানের পাশাপাশি কেন অর্জন করতে পারে নাই তার বিশ্লেষণ থাকে।

🔶 শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ইউআরসি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়ভিত্তিক কর্মতৎপরতার উপর নির্ভর করছে এনএসএ পরীক্ষার সফলতা।

🔶 ২০২২ এ অনুষ্ঠিতব্য এনএসএ পরীক্ষায় জেলাভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতা তুলনা ও মূল্যায়ন করা হবে।

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন এ কার্যক্রমটি এর অগেও ২০০৬, ২০০৮, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এই মূল্যায়নটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়নি। কেননা, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের সাথে এই পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। এই ব্যাপক পার্থক্যের মূল কারণ ৬টি।

এক: শিক্ষার্থীদের এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করা হয়নি; 

দুই: যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত করা হয়নি; 

তিন: শিক্ষক শ্রেণি পরীক্ষা ও টার্মিনাল পরীক্ষায় শিক্ষাক্রমে বর্ণিত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্ন প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেন নি;

চার: শিক্ষার্থীর গঠনকালীন মূল্যায়নে যেমন , শ্রেণি কার্যক্রম এবং শ্রেণি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মূল্যায়ন করেননি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকগণ বিষয়ের অধ্যায়ের বর্ণিত অনুশীলনীতে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী মূল্যায়ন করেছেন। পাঁচ: মাঠ পর্যায়ের মেন্টরদল যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন সম্পর্কে পর্যাপ্তমাত্রায় অবহিত নয়। ছয়: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে অনুশীলনহীনতা।

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

🔶 আগামী নভেম্বর, ২০২২ এ জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ পর্যায়ের প্রধানশিক্ষক, শিক্ষক, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাকটর, সহকারী ইনস্ট্রাকটর, সহকারী উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণকে সংযুক্ত নমুনা প্রশ্নের কাঠামো অনুযায়ী সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর যোগ্যতা ভিত্তিক পরীক্ষায় অভ্যস্ত করতে হবে।

🔶 বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১,১৮০০০) এই পরীক্ষার আওতাভুক্ত। উপজেলাভিত্তিক সকল বিদ্যালয়কে এই মূল্যায়ন কাঠোমো সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। বিদ্যালয়ের কোনো ধরন শিক্ষার্থী মূল্যায়নের এই কাঠামো অবহিত না হলে তার প্রভাব জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নে পড়বে। জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ক্সবশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে এটিতে বিষয় ও শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার গড় পরিমাপ করা হয়। সুতরাং উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের ৩য় ও ৫ম শ্রেণির বাংলা ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে অভ্যস্ত কওে তুলতে হবে। 

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অভ্যস্ত করতে কী করবেন?

প্রথমত: শিক্ষার্থীর প্রান্তিক যোগ্যতা অর্থাৎ  তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ও গণিতের যোগ্যতাগুলো জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রম থেকে জানবেন। এই প্রান্তিক যোগ্যতাগুলো মূলত কী? প্রান্তিক মানে,  তৃতীয় শ্রেণি শেষে এবং পঞ্চম শ্রেণি শেষে। এই দুই প্রান্তে শিক্ষার্থীর এই দুই বিষয়ে কী যোগ্যতা অর্জন করার কথা ছিল। যেমন, বাংলার প্রান্তিক (তৃতীয় ও পঞ্চম) যোগ্যতাগুলো-

শোনার ক্ষেত্রে:

১. বাংলা ভাষার গঠন ক্সবশিষ্ট্য ( বর্ণ, যুক্তবর্ণ সহযোগে গঠিত শব্দ শুনে বুঝতে পারা, পরিচিত শব্দ দিয়ে গঠিত বাক্য শুনে বুঝতে পারা) সম্পর্কে ধারণা লাভ করা;

২. ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প ইত্যাদি শুনে বুঝতে পারা এবং আনন্দ পাওয়া;

৩. কথোপকথন, বর্ণনা ইত্যাদি শুনে বুঝতে পারা।

বলার ক্ষেত্রে:

১. বাংলা ভাষার গঠন ক্সবশিষ্ট্য ( বর্ণ, যুক্তবর্ণ সহযোগে গঠিত শব্দ বলতে পারা, পরিচিত শব্দ দিয়ে গঠিত বাক্য বলতে পারা) সম্পর্কিত ধারণা প্রয়োগ করে কথা বলতে পারা;

২. ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প, কথোপকথন, কোনো বর্ণনা ইত্যাদি বুঝে বলতে পারা;

৩. সহপাঠী ও অন্যদের সাথে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে পারা;

৪. বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদান ও অনুভ‚তি ব্যক্ত করতে পারা।

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অভ্যস্ত করতে কী করবেন?

পড়ার ক্ষেত্রে:

১. স্পষ্ট, শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণে সাবলীলভাবে পড়তে পারা;

২. ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প, কথোপকথন, কোনো বর্ণনা ইত্যাদি পড়ে মূলভাব বুঝতে পারা;

৩. হাতের লেখা ও মুদ্রিত লেখা পড়তে পারা।

লেখার ক্ষেত্রে:

১. স্পষ্ট, পরিচ্ছন্ন ও শুদ্ধভাবে লিখতে পারা;

২. ছড়া, কবিতা, রূপকথা, গল্প, কথোপকথন, কোনো বর্ণনা ইত্যাদিও বিষয়বস্তু ও মূলভাব বুঝে লিখতে পারা;

৩. নিজে যা দেখেছে, নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের মনেরভাব ইত্যাদি শুদ্ধ ও স্পষ্টভাবে নিজের ভাষায় লিখে প্রকাশ করতে পারা;

৪. সাধারণ চিঠি ও দরখস্ত লিখতে পারা এবং ফরম পূরণ করতে পারা।

দ্বিতীয়ত: বাংলা বিষয়ের এই প্রান্তিক যোগ্যতাকে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা বা শ্রেণি অনুযায়ী শিখনফলে রূপান্তরিত করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রমে এভাবেই বর্ণিত হয়েছে। এই শিখনফলের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই প্রণীত হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলবেন প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন উপযোগী করে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের এটিই মূল দায়িত্ব। শিক্ষাক্রমে কীভাবে বর্ণিত হয়েছে তার একটি ফটোকপি এখানে উপস্থাপন করা হলো:



তৃতীয়ত: শিখনফল অর্জন করানোই শিক্ষকের মূল দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করবে। পরিমাপ করতে হবে শিক্ষার্থীর প্রান্তিক যোগ্যতা। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীর প্রান্তিক যোগ্যতা পরিমাপ করে। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ধারাবাহিক মূল্যায়নেও আপনারা এই যোগ্যতা পরিমাপ করবেন। কীভাবে শিক্ষার্থীর এই প্রান্তিক যোগ্যতা পরিমাপ করবেন? প্রায় দুবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর শিখন পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে তাৎক্ষণিক এ ক্ষতি পূরণ করা এবং এ মূল্যায়ন কার্যক্রমে কোমলমতি শিশুদের অংশগ্রহণ করাতে শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের মেন্টরদলকে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৩.১ সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত এবং তাদের

সহযোগিতার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আগামীতে শ্রেণির সকল সকল পরীক্ষা এ পদ্ধতিতে (যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন) অনুষ্ঠিত হবে।

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে অভ্যস্ত করতে কী করবেন?

৩.২ শিক্ষকগণ এবং প্রধান শিক্ষকগণ তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা পাঠ্য বইয়ের জানা শব্দ, যুক্ত বর্ণ সহযোগে গঠিত শব্দ দ্বারা প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজে বাক্য গঠন করতে পারে কিনা, যে কোনো সহজ বাক্য পড়তে পারে কিনা, সহজ বাক্য সমন্বয়ে কোনো অনুচ্ছেদ পড়তে পারে কিনা, উক্ত অনুচ্ছেদ পড়ে বুঝতে পারে কিনা তা দেখবেন।

৩.৩ শিক্ষিত অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের বাড়িতে লিখতে, পড়তে এবং বুঝতে পারেন কিনা তা তদারকি করতে বলবেন এবং প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য বলবেন।

৩.৪ বিষয় শিক্ষকগণ বাংলা পাঠ্যবইয়ের এ সকল শব্দ বাছাই করবেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাক্য গঠন করাতে শিখাবেন যাতে শিক্ষার্থী নিজে এ বাক্য ক্সতরি করতে পারে।

৩.৫ শিক্ষার্থীর জানা শব্দ দ্বারা শ্রেণি উপযোগী সহজ বাক্য সমন্বয়ে প্রত্যেক বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নতুন নতুন অনুচ্ছেদ ক্সতরি করবেন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পড়তে দিবেন, জড়তা বা দুর্বলতা চিহ্নিত করে ফলাবর্তন দিবেন এবং শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে তুলবেন।

৩.৬ জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নে প্রশ্নের কাঠামোর প্রকৃতি ও নমুনা পরবর্তি স্লাইডগুলোতে দেয়া হলো । এই নমুনা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণ নতুন নতুন অনুচ্ছেদ ক্সতরি এবং এর সাথে সম্পর্কিত ৪টি প্রশ্ন (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতা) করে শিক্ষার্থীর শোনা, পড়া, লেখা, এবং বোঝার যোগ্যতা পরিমাপ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, শিক্ষার্থী একবারে এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না তাকে পর্যায়ক্রমিক ফলাবর্তনের মাধ্যমে তাকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।

৩.৭ প্রধান শিক্ষকগণ তার নিজ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী যাতে এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তা মেন্টরিং করবেন। এ কাজে কোনোরুপ অবহেলা পরিলক্ষিত হলে তার প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩.৮ মাঠ পর্যায়ের মেন্টরগণ ইআরসির সহকারী ইনস্ট্রাকটর, ইনস্ট্রাকটর, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, এডিপিইও পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ের তদারকি করবেন। আপনারাও এ নির্দেশনা মোতাবেক নিজেদের ক্সতরি করবেন এবং প্রতিটি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত করে তুলুন। কোনো বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমে গাফিলতি বা অবহেলা পরিলক্ষিত হলে ডিপিইও/ডিডি/পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে অবহিত করুন।

৩.৯ নভেম্বরের মাঝামাঝি এ মূল্যায়ন করা হবে। সুতরাং প্রতিটি বিদ্যালয়কে এর পূর্বেই প্রস্তুত করে তুলুন।

বিদ্যালয় পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি-২০২২

[নির্দেশনা: শিক্ষক শিক্ষার্থীর নাম, ছেলে কিংবা মেয়ে হলে টিক দেয়া, শ্রেণি, শাখা এবং বিদ্যালয়ের নাম লেখা শিখাবেন।]

নাম:                 ছেলে                           মেয়ে

শ্রেণির নাম:

 শাখা:

বিদ্যালয়ের নাম:

শিক্ষকগণকে বাংলা পাঠ্য বইয়ের শব্দ পড়তে ও লিখতে পারে কিনা এ সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে (তৃতীয় শ্রেণি)। নিচের শব্দগুলো এবং বাংলা পাঠ্যের শব্দ পড়া এবং লেখা শিখাতে হবে।

জাতীয়, পতাকা, সবুজ, আমার, ভালোবাসি, বাঁশি, আকাশ, বাতাস, প্রাণ, ঘ্রাণ, পাগল, বাড়ি, আমাদের, বন্ধু, সবজি, ফল, বাগান, সাদা, ফুল, সুন্দর, শিম, বেগুনি, শালিক, পাতা, প্রজাপতি, হলুদ, ফড়িং, কীটপতঙ্গ, শস্যদানা, পিঁপড়ে, মৌমাছি, মুকুল, পরিণত, উপকার, অক্সিজেন, খুশি, হাততালি, সূর্য, পূর্বদেশ, বাংলাদেশ, বীর, কবি, স্বাধীন, তেরোশত, মাতৃভাষা, মিষ্টি, জন্মভ‚মি, কন্যা, রাজা, সুখ, রাজ্য, শান্তি, গল্প, সঙ্গে, জিজ্ঞেস, প্রশ্ন, মুচকি, মেঝো, নুন, অবাক, অস্থির, সেনাপতি, বনবাস, গভীর, জঙ্গল, অরণ্য, জন-প্রাণী, দুঃখ, সুন্দর, পশুপাখি, ফলমূল, শিকার, উজির, নাজির, ক্ষুধার্ত, মাংস, কোরমা, তরকারি, জিভ, রান্না, বিস্বাদ, বিরক্ত, রাজ্য, জিজ্ঞাসা, হাট, নায়ের, মাঝি, নি-ঘাটা, কড়ি, সোনামুখে, হাসিটুকু, ভাষাশহিদ, ফেব্রæয়ারি, ফাল্গুন, পতা গজানো, বিশ^বিদ্যালয়, থমথমে, রাষ্ট্রভাষা, দাবি, ছাত্র, উর্দু, বাঙালি, কেড়ে, ভাষা, মিছিল, মিছিল, বাঁচানো, হাসপাতাল, সম্ভব, ব্যবসায়, কলেজ, পুলিশ, গরিব, চাকরি, অসুস্থ, শাশুড়ি,

শিক্ষকগণকে বাংলা পাঠ্য বইয়ের শব্দ পড়তে ও লিখতে পারে কিনা এ সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে (তৃতীয় শ্রেণি)। নিচের শব্দগুলো এবং বাংলা পাঠ্যের শব্দ পড়া এবং লেখা শিখাতে হবে।

চিকিৎসা, কাঁদা, শরীর, ডাক্তার, সম্মান, অত্মত্যাগ, অমর, থমথমে, ঊর্ধ্ব, গগন, মাদল, নি¤েœ, উতলা, ধরণী, অরুণ, প্রাতে, ঊষা, প্রভাত, টুটাব, বিন্ধ্যাচল, নবীন, সজীব, শ্মশান, বৃহস্পতিবার, পিরিয়ড, পরামর্শ, শ্রেণিকক্ষ, অপেক্ষা, টেবিল, আর্টবোর্ড, রাংতা, কারুকাজ, সাঁটা, রাইফেল, যুদ্ধ, মগডাল, পরস্কার, তিরস্কার, ভাস্কও, বর্শা, দর্শক, কুঁজো, খিদে, মুশকিল, এক্ষুনি, তক্ষুনি, নাস্তানাবুদ, মহানন্দ, নিমিষে, দাঁড়িয়ে, সাধ, থত্থর, উঁকি, ঝরঝর, পৃথিবী, অধিনায়ক, অশুতোভয়, আত্মত্যাগ, অত্মদান, নির্বিঘেœ, বীরশ্রেষ্ঠ, সমাহিত, গোলা, পরিখা, ভ‚ষিত, মুক্তিযুদ্ধ, গুরুজন, পাঠ, হেলা, আদেশ, ফাঁকি, কভু, সামলিয়ে, প্রতিবেশি, পালক, পোঁচ, চঞ্চল, ছোপ, ঝুঁটি, শখ, ঝাঁক, তাঁতি, স্থির, শক্স্খচিল, উজ্জ্বল, কন্ঠ, শেথা, পাঠশালা, কিরণ, আত্মীয়, হেন, গ্রীষ্ম, মিছামিছি, বনভোজন, ঝাঁক, ছড়া, ক্সশশব, আদর্শ, কবে, বল, তেজ, পণ, চেতনা, খাটা, কল্যাণ, ব্যায়াম, ্হইচই, সেনাশাসক, নকসা, দানব, কারখানা, ব্রতচারী, সততা, পটুয়া, সংগঠন, নায়ক, ব্যস্ত, বেঙ্গল, শরীরচর্চা, গোধুলি, হোঁচট, চাল, টালমাটাল, বার্ষিক, ভ্রমণ, অভিজ্ঞতা, প্রশস্ত, শ্যামল, শস্য, দৃশ্য, বিস্তীর্ণ, অভিজ্ঞতা, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, কঠিন, ব্যাপার, সংসার, ব্রিজ, বোর্ড, সতর্ক, সরব, নির্দিষ্ট, বংশ, গোত্র, খলিফা, সাহাবি, অসাধারণ, ক্রীতদাস, মহৎ, আদর্শ, বন্ধুত্ব, সুবক্তা, শত্রæতা, ক্রয়, রক্ষক, ইন্তেকাল, নিঃস্ব।

উপরের ¯øাইডের তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের শব্দভান্ডার থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাক্য গঠন করা শিখাতে হবে। এখানে শিক্ষার্থী শব্দের অর্থ বুঝে নিজে বাক্য গঠন করবে।

যেমন,

জাতীয়: আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ।

পতাকা:

সবুজ:

আমার:

ভালোবাসি:

বাঁশি:

আকাশ:

বাতাস:

শিক্ষকগণ উপরের কয়েকটি শব্দ নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ ক্সতরি করবেন এবং শিক্ষার্থীকে পড়তে দিবেন। প্রথমত শিক্ষার্থী পড়তে পারে কিনা তা দেখবেন। পরবর্তি সময়ে পড়ে বুঝতে পারে কিনা তা দেখবেন।

আমি রহমত। আমার মা আমাকে এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন। প্রতিদিন সকালে মা আমাকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন। বিদ্যালয় ছুটি হলে আমরা দল বেঁধে আমাদের গ্রাম রসুলপুরে যাই। আমার বাবা কাজের ফাঁকে সময় পেলে আমাকে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

নির্দেশনা:

[শিক্ষার্থীদের বøাক বোর্ডে লিখে পড়তে দিন। লক্ষ করুন পড়তে পারে কিনা? আবার মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে বুঝুন বুঝতে পারে কিনা? 

যেমন, কে রহমতকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন? বিদ্যালয় ছুটি হলে শিক্ষার্থীরা কিভাবে তাদের গ্রামে যায়? রহমতের বাবা কেন প্রতিদিন রহমতকে বাড়িতে পৌছে দিতে পারেন না? এভাবে বোর্ডে প্রতিদিন ২/৩টি অনুচ্ছেদ লিখুন, এককভাবে পড়তে বলুন। দুর্বলতা লক্ষ করুন এবং ফলাবর্তন দিন।

আগামী নভেম্বর,২০২২ জাতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করুন। এ দায়িত্ব আপনার এবং আমাদের। এ দায়িত্বে অবহেলা লক্ষ করা গেলে তার দায় সংশ্লিষ্টদের উপর বর্তাবে। ]

নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে শিক্ষক একটি গল্প বা অনুচ্ছেদ লিখবেন। নতুন অনেক শব্দ ঘটনায় বা গল্পে আসতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীর এ শব্দ জানা আছে কিনা। শিক্ষার্থীর এ শ্রেণিতে জানার বাহিরের শব্দ প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে শিখতে পারে বা ঐ স্তরের জানা শব্দ ব্যবহার করা যাবে। নিচে একটি উদাহরণ দেয়া হলো:

[শিক্ষক, প্রশ্ন, শান্তি, গল্প, সঙ্গে, সেনাপতি, বনবাস, বন, গভীর, ত্যাগ, জঙ্গল, পশুপাখি, শিকার, উজির, নাজির, রাজ্য,তীর-ধনুক, নায়ের, মানুষ, প্রবেশ, তাক, ভয়] অনুচ্ছেদটি পড় এবং ১ থেকে ৪ পর্যন্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দাও।

শিক্ষক শ্রেণিতে একটি গল্প শুরু করল। একদিন শান্তিপুর রাজ্যের সেনাপতি বলরাম গভীর জঙ্গলে শিকারের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। সাথে তার উজির সুখলাল ও নায়েব বনমালি ছিল। গভীর জঙ্গলে ছিল অনেক পশু ও পাখি। এই বনে একটি বনমানুষ নিমাই থাকত। তারা যতই জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ প্রবেশ করছিল ততই নতুন নতুন পশু ও পাখি দেখতে পেল। এই ধরনের পশুপাখি কখনই তারা দেখেনি। যখনই কোনো পশুর দিকে তীর ধনুক তাক করত তখনই ঐ পশু তার শরীরের রং বদলিয়ে ফেলত। সেনাপতি এতে ভয় পেয়ে গেল এবং শিকার না করেই জঙ্গল ত্যাগ করল।

১. শান্তিপুর রাজ্যের সেনাপতির নাম কী? ২. সেনাপতি বলরাম কেন বনে গিয়েছিল? ৩। শিকার না করে সেনাপতি কেন জঙ্গল ত্যাগ

করল?

ক. বলরাম      ক. শিকার করতে       ক. কোন শিকার ছিল না

খ. সুখলাল     খ. পশু-পাখি ধরতে     খ. তীর-ধনুক চালাতে পারত না

গ. বনমালি     গ. বনমানুষ মারতে     গ. ভয় পেয়েছিল

ঘ. নিমাই     ঘ. উজির ও নায়েবকে শাস্তি দিতে     ঘ. বনমানুষ তাড়া করেছিল

১ থেকে ৪ পর্যন্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দাও

৪। গল্পটির উপযুক্ত নাম কী হতে পারে?

ক. বনমানুষ নিমাই

খ. শান্তিপুরের রাজ্যের সেনাপতি বলরাম

গ. উজির ও নায়েব

ঘ. পশু শিকার

প্রশ্ন

নিচের ঘটনাটি পড় এবং প্রশ্ন ১ ও ৩ এ সঠিক উত্তরে টিক দাও।

অনেক প্রজাপতি প্রতিদিন মিনার বাগানে ফুলের মধুখাবারের জন্য ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়। মিনা লক্ষ করে প্রজাপতি যত বেশি আসে ফুলও তত বেশি ফুটে। মিনা মাকে প্রশ্ন করে, কেন এমন হয়? মা তাকে বলেন, প্রজাপতি যাদুজানে। প্রজাপতি বাগানে আসলেই সে তার পিছনে পিছনে ছুটে বেড়ায়। মিনা ভাবে প্রজাপতির সাথে সে খেলা করে বলেই প্রজাপতি তার বাগানে বেশি আসে। মাঝে মাঝে মৌমাছি ও ভোমরও আসে। ভোমর গুনগুন করে গানও গায়। মিনা গানও খুব পছন্দ করে। মিনা ভাবে তার জন্যই ভোমর আসে।

১। মিনার প্রশ্নে মা তাকে কী বললেন? ২। প্রজাপতি মিনার বাগানে কেন আসে? ৩। ভোমর বাগানে কী করে?

ক. প্রজাপতি জাদুজানে ক. মিনার সাথে খেলতে ক. গান করে ও মধুখায়

খ. প্রজাপতি ফুল ভালোবাসে খ. ফুলের মধুখেতে খ. মিনাকে খুঁজে

গ. প্রজাপতি খেলতে ভালোবাসে গ. ভোমরের গান শুনতে গ. ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়

ঘ. প্রজাপতি গান গাইতে আসে। ঘ. মিনার পিছনে ছুটে বেড়াতে ঘ. প্রজাপতির সাথে খেলা করে

পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন

পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন





ধন্যবাদ

আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

আসুন আমরা প্রত্যেকে আমাদের শিশুদের পড়তে, লিখতে

এবং বুঝতে সর্বাত্মক সহায়তা করি। 

6 মন্তব্যসমূহ

  1. উত্তরগুলি
    1. https://www.bdprimary.com/2022/09/national-student-assessment-aspirational-sample-questions.html
      উপরের লিংকে পাবেন

      মুছুন
  2. স্যার , জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন 2017 5ম শ্রেণির গণিত পিডিএফ দেন

    উত্তরমুছুন
  3. স্যার তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বিষয়ের নমুনা প্রশ্ন দিলে ভালো হতো।

    উত্তরমুছুন
  4. স্যার গণিতের উত্তর পাওয়া যাবে

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন