সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন পদ্ধতি ও মূল্যায়ন ছক ২০২২ |
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে তাই নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে দ্বিধাদন্দ রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২৪/১০/২০২২ তারিছে একটি পরিপত্র দ্বারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করেছেন। নিচে সেটি তুলে ধরে হলো।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন পদ্ধতি
উপর্যুক্ত বিষয় ও সুত্রোক্ত স্মারকের বরাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) তাদের
মতামতে জানিয়েছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ এ প্রাক-প্রাথমিক হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদিত মূল্যায়ন নীতিমালায় প্রাথমিক স্তর থেকে এসএসসি বা মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্বে কোনো ধরণের পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ পিইসিই, জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা না গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
👉০২। জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম শ্রেণির কোন প্রান্ত্রিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রবর্তিত ধারাবাহিক মুল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকে ফলাফল প্রদান করা হবে। এছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন সাপেক্ষে শতভাগ ধারাবাহিক মুল্যায়ন বাবস্থা এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে হতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সংমিশ্রণে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মুল্যায়ন প্রবর্তনের পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে নিয়োক্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণযোগ্য:
(ক) বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শোনা, বলা, পড়া এবং লেখা বিষয়গত নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীর দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। পড়া ও লেখা শ্রেণি পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধো যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(খ) গণিত বিষয়ে গাণিতিক ধারণা, প্রক্রিয়াগত ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের উপর লিখিত শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরণের পরিমাপ শিক্ষকগণ এতদিন করে এসেছেন। সুতরাং শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্ব্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(গ) বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং অন্যান্য বিষয়সমূহে বিষয়গত জ্ঞান, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার জ্ঞান, দৃষ্টিভজি ও মূল্যবোধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ও অনুশাসন প্রভৃতি পরিমাপের উপর বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা প্রহণ করেছেন ভার মধো যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এসন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) প্রত্যেকটি বিষয়ের শ্রেণি পরীক্ষাসমুহের মোট নম্বরের (৫টি) 8০% এবং বাকী ৬০ নম্বরের উপর ৩য় প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ শ্রেণি পরীক্ষাসমূহ ও ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষার নম্বর যোগ করে ২০২২ এর শিক্ষার্ধীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
(ঙ) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করার পর প্রত্যেক বিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ফলাফল ঘোষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিবেন।
(চ) শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
👉০৩। এমতাবস্থায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর উল্লিখিত মতামতের ভিত্তিতে চলতি ২০২২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা তথা মুল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রেরিত মূল্যায়ন ছক (মূল্যায়ন ছক) অনুযায়ী মুল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন ছক
শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন ছক ২০২২ তথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মুল্যায়ন করে যে ছকে লিপিবদ্ধ করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো।
বার্ষিক মুল্যায়ন ছক ২০২২ |
বার্ষিক মুল্যায়ন ছক কিভাবে পূরণ করতে হবে তা নিয়ে অনেক শিক্ষক হয়তো দ্বিধাদন্দে পড়ে যেতে পারেন। এই জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নিচে একটি পূরণকৃত বার্ষিক মুল্যায়ন ছক ২০২২ দেওয়া হলো যা দেখে আপনারা জানতে পরবেন কিভাবে বার্ষিক মুল্যায়ন ছক ২০২২ পূরণ করতে হবে।
বার্ষিক মুল্যায়ন ছক ২০২২
শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন ছক ২০২২ |
আরো পড়ুনঃ