প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ বাংলা অনুচ্ছেদ থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (৮ মার্ক)

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ বাংলা অনুচ্ছেদ থেকে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (৮ মার্ক)


প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ এ বাংলা বিষয়ে ২৫ নম্বরের মধ্যে ৮ নম্বর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হবে যেখানে দুটি অনুচ্ছেদ থাকবে প্রতিটি অনুচ্ছেদ থেকে ৪টি করে মোট ৮টি mcq প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের চারটি করে অপশন থাকবে।

নিচে ৫ম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের কতগুলি অনুচ্ছেদ ও অনুচ্ছেদ থেকে ৫টি করে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার্থীরা নিচের অনুচ্ছেদগুলি অনুশীলন করলে বৃত্তি পরীক্ষায় ভালো করবে বলে আশা করা যায়।

বাংলা অনুচ্ছেদ থেকে বহুনির্বাচনী

{tocify} $title={Table of Contents}

অনুচ্ছেদ-০১

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। তাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনযাপন পদ্ধতি, আনন্দ উৎসব। বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট ও আশপাশের এলাকায় গারো জাতিগোষ্ঠীর বাস। গারোরা নিজেদের ‘অচিকমান্দি’ বা পাহাড়ি মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। অর্থাৎ মা পরিবারের প্রধান ও মেয়েরা সম্পদের উত্তরাধিকারী। বাবা বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে শ্বশুরালয়ে থাকেন এবং পরিবারের দেখাশোনা করেন। গারোরা ‘আবেং’ ভাষায় কথা বলে, যার কোনো লিখিত রূপ নেই। আরেকটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হলো ত্রিপুরা। এরা বাংলা বছরের সমাপনী দুদিন এবং নববর্ষের প্রথম দিন ‘বৈসু’ উৎসব পালন করে। তখন গ্রামবাসী গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়, কিশোরীরা কানে ফুল, গলায় টাকার ছড়া, পুঁতির মালা আর হাতে কুঁচিবালা ইত্যাদি পরে আনন্দ উৎসবে মাতে। এই দিন ত্রিপুরা নারীরা ১০৮ প্রজাতির লতাপাতা ও ফলমূল সংগ্রহ করে বাড়িতে রান্না করে ও অতিথিদের আপ্যায়ন করে। বাংলাদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী হলো মণিপুরি। তাদের আদিবাস ভারতের আসাম ও মণিপুর রাজ্য। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় বাস করে। এরা মূলত কৃষিজীবী। অধিকাংশই সনাতন ধর্মের অনুসারী। মণিপুরি সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ।
 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। গারোরা নিজেদের কী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে?
ক পাহাড়ি মানুষ খ নদীর মানুষ গ মাটির মানুষ ঘ বন মানুষ
০২। ‘বৈসু’ উৎসব পালিত হয়-
ক বিয়ে উপলক্ষ্যে খ জন্মদিন উপলক্ষ্যে গ পূজা উপলক্ষ্যে ঘ নববর্ষ উপলক্ষ্যে
০৩। অনুচ্ছেদটি পড়ে আমরা জানতে পারব-
ক বাংলাদেশের মানুষের পেশা সম্বন্ধে খ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিচয়
গ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্বন্ধে ঘ বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সম্বন্ধে
০৪। গারো নৃগোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার জন্য তোমাকে কোথায় যেতে হবে?
ক মৌলভীবাজার খ হালুয়াঘাট গ হবিগঞ্জ ঘ চট্টগ্রাম
০৫। গারো, মণিপুরি ও ত্রিপুরারা তৈরি করেছে-
ক প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য খ ধর্মীয় বৈষম্য গ জাতিগত বৈচিত্র্য ঘ জাতীয় সমস্যা
$ads={1}

অনুচ্ছেদ-০২

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

বিশাল এ পৃথিবীকে জানার জন্য আমাদের অনন্ত উৎকণ্ঠা। আর পৃথিবীকে জানার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় হলো ঘরের কোণে বন্দি না থেকে দেশভ্রমণে বেরিয়ে পড়া। দেশভ্রমণের মাধ্যমেই আমাদের বই পড়ে অর্জিত জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করে। এর ফলে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে, মন উদার হয়। জাফর শরাফীও বুঝেছিলেন দেশভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা। পেশায় ছিলেন দর্জি, আর নেশা ছিল সাইকেল চালানো। দেশভ্রমণকে জীবনের লক্ষ্য করে সাইকেল নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। সাইকেলে চড়েই ঘুরে এসেছেন বাংলাদেশের সব জেলা, ভারতের আজমীর শরিফ ইত্যাদি স্থান। ইচ্ছে আছে নেপাল, ইরানসহ আশপাশের আরও অনেক দেশ ঘুরে দেখার। তাঁর আগ্রহ সাইকেলে চড়ে সৌদি আরবে হজ পালন করতে যাওয়া এবং সেখান থেকে পরে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া। তবে যেখানেই যান না কেন সঙ্গী হবে প্রিয় সাইকেলটি। দৃঢ় মনোবলের এই মানুষটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১ সালে ৪ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। দেশভ্রমণে অপরিসীম আনন্দ পেলেও কষ্টও কম করতে হয়নি তাঁকে। খেয়েছেন সস্তা হোটেলে। থেকেছেন রাস্তায়। আর সাইকেল চালানোর শারীরিক পরিশ্রম তো আছেই। সব বাধা অতিক্রম করে তিনি ছুটে চলেছেন আপন লক্ষ্যে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে যদি মৃত্যু হয়, সেজন্য প্রস্তুতি হিসেবে সাথে রেখেছেন কাফনের কাপড়।
 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। জাফর শরাফীর পেশা কী ছিল?
ক জুতা সেলাই খ কাপড় সেলাই গ সাইকেল চালানো ঘ রিকশা চালানো
০২। জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে তুমি কীভাবে সবচেয়ে ভালো জানতে পারবে?
ক বইয়ে পড়ে খ টিভিতে দেখে
গ শিক্ষকের কাছে শুনে ঘ বইয়ে পড়ে ও সেখানে ঘুরতে গিয়ে
০৩। জাফর শরাফীর কর্মকান্ডের সাথে নিচের কোন কথাটি মিলে যায়?
ক ছবির মতো দেশ খ শুধু দেখো আর খুশি হও মনে
গ দেখব এবার জগৎটাকে ঘ বইয়ের পাতায় প্রদীপ জ্বলে
০৪। অনুচ্ছেদটিতে মূলত বলা হয়েছে জাফর শরাফীর-
ক দেশপ্রেমের কথা খ জীবন সংগ্রামের কথা গ দুঃসাহসী অভিযাত্রার কথা ঘ শারীরিক সামর্থ্যরে কথা
০৫। জাফর শরাফী নিজের সাথে কাফনের কাপড় রেখেছেন, কেননাÑ
ক তাঁর বাঁচার আগ্রহ নেই খ তাঁর কোনো পিছুটান নেই
গ তিনি মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করেন ঘ তিনি একজন দর্জি
$ads={1}

অনুচ্ছেদ-০৩

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চড়–ইয়ের মতোই ছোট্ট একটি পাখি টুনটুনি। পালকের রং জলপাই সবুজ। মাথায় লাল আভা। লম্বা ঠোঁট কালচে খয়েরি। পায়ের রং হলুদাভ। চড়–ই ও টুনটুনি দুজনেই মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে। টুনটুনি পাখি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু খেয়ে পরাগায়ণেও সাহায্য করে। ময়না পাখি দেখতে যেমন মিষ্টি তেমনি মিষ্টি তার গান। অন্য পাখির ডাক, মানুষের কথা অবিকল নকল করতে পটু সে। মানুষ এজন্য তাকে শখ করে পোষে। চড়–ইয়ের মতো চঞ্চল একটি পাখি বুলবুলি। এরা কলহপ্রিয়, কিছুটা দুর্বিনীত। মাথার ওপর থাকে রাজকীয় কালো ঝুঁটি। ঠোঁট ও পা কৃষ্ণবর্ণের। পোকামাকড় ও কীট-পতঙ্গ খেয়ে পরিবেশ বাঁচায়। পানির সঙ্গে যার সখ্য, সেই পাখির নাম পানকৌড়ি। কুচকুচে কালো এই পাখি ডুব দিয়ে তিন মিটার পর্যন্ত সাঁতরাতে পারে। এদের পায়ের পাতা হাঁসের মতো। এরা খুব পেটুক স্বভাবের হয়ে থাকে। পাখিরা আমাদের অনেক উপকার করে। তারা আমাদের প্রতিবেশীর মতো। আমাদের বন্ধুর মতো।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। চঞ্চলতার জন্য বুলবুলিকে কোন পাখির সাথে তুলনা করা যায়?
ক টুনটুনির সাথে খ কাকের সাথে গ ময়নার সাথে ঘ চড়–ইয়ের সাথে
০২। মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে কোন কোন পাখি?
ক কোকিল ও ময়না খ টুনটুনি ও চড়–ই গ দোয়েল ও চড়–ই ঘ বুলবুলি ও টুনটুনি
০৩। ময়না পাখির কোন গুণের কথা অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে?
ক পরাগায়ণে সাহায্য করে খ পরিবেশ সুন্দর রাখে
গ মানুষের কথা নকল করতে পারে ঘ সহজে পোষ মানে
০৪। অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায় -
ক পাখি শিকার করা খারাপ কাজ নয় খ পাখি পরিবেশের জন্য অপকারী
গ পাখিদের রক্ষা করা উচিত ঘ পাখিরা খুবই চঞ্চল
০৫। ‘কলহ’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
ক ঝগড়া খ আরাম গ আনন্দ ঘ কোলাহল

$ads={1}

অনুচ্ছেদ-০৪

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক কাক এক টুকরো মাংস চুরি করে উঁচু এক গাছের ডালে গিয়ে বসল। মাংসের টুকরোটা ছিল তার দুই ঠোঁটের মাঝখানে ধরা। এমন সময় এক শেয়াল তাকে দেখতে পেয়ে মাংসের টুকরোটা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটল। গাছতলায় বসে সে কাককে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগল, ‘কাকের চেহারাটা কী সুন্দর! কী চমৎকার গায়ের রং, কী সুন্দর দেহের গঠন। শুধু গলার স্বরটাই যদি তার চেহারাটার মতো সুন্দর হতো। তাহলে অনায়াসে তাকে পাখিদের রানি বলা যেত।’ শেয়ালের মুখে প্রশংসাবাক্য শুনে কাকের তো দেমাগে বুক ফুলে উঠল। সে তখন ভাবল, তার গলার আওয়াজ নিয়ে যেহেতু এত দুর্নাম, তাই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া দরকার যে তার কণ্ঠ কারও চেয়ে মন্দ নয়। তাই সে বিকট আওয়াজে কর্কশভাবে কা কা রবে ডেকে উঠল। যেই না সে মুখ খুলেছে অমনি মাংসের টুকরোটা তার মুখ থেকে খসে টুপ করে নিচে পড়ে গেল। শেয়াল মাংসটা মুখে তুলে নিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল। কাক বুঝতে পারল শেয়ালের মিষ্টি কথায় ভুলে গিয়ে সে কেমন বোকামিটাই না করেছে।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। কাককে দেখে শেয়ালের মনে কী জাগল?
ক মাংস নেওয়ার সাধ খ কাকটার প্রতি মমতা গ গাছে চড়ার সাধ ঘ বন্ধুত্ব করার আগ্রহ
০২। নিচের কোনটি ‘দুর্নাম’ শব্দটির বিপরীত শব্দ?
ক নাম খ সুনাম গ পরিণাম ঘ সুন্দর নাম
০৩। অনুচ্ছেদটি পড়ে নিচের কোনটি বলা যায়?
ক কাকটি ছিল খুব সৎ খ কাকটি ছিল খুব সুন্দর গ শেয়ালটি ছিল খুব ধূর্ত ঘ শেয়ালটি ছিল খুব বোকা
০৪। ‘কাকের চেহারাটা কী সুন্দর!’ শেয়াল এটি বলেছিল-
ক সত্যবাদী বলে খ কাকটাকে ভালোবেসে
গ খাবার হাতানোর ফন্দি হিসেবে ঘ চোখে কম দেখত বলে
০৫। অনুচ্ছেদটির মূল শিক্ষা কী?
ক বিপদেই বন্ধু চেনা যায় খ তোষামোদে ভুলতে নেই গ অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ঘ ধৈর্য মহৎ গুণ


অনুচ্ছেদ-০৫

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৯৬০ সালে দরিদ্র পরিবারে জন্ম দিয়াগো ম্যারাডোনার। শৈশব কাটে বস্তিতে। মাত্র দশ বছর বয়সেই ফুটবল খেলায় তাঁর প্রতিভার প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ড্রিবলিং, পাসিং, ফ্রি-কিক নেওয়া সবগুলোতেই তিনি অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঁ পায়ের খেলোয়াড়। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে লাভ করেন ‘গোল্ডেন বল’। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যারাডোনা ছয়জন ইংরেজ ফুটবলারকে তাঁর অসাধারণ ড্রিবলিং নৈপুণ্যে নাস্তানাবুদ করে বিখ্যাত এক গোল করেন। গোলটিকে গত শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে ধরা হয়। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন। সেবার আর্জেন্টিনা রানার্সআপ হয়।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। উল্লিখিত খেলোয়াড়ের সাথে পাঠ্য বইয়ের কোন চরিত্রের মিল লক্ষ করা যায়?
ক মওলানা ভাসানীর খ নূর মোহাম্মদ শেখের গ ইমদাদ হক কাজির ঘ জগদীশচন্দ্র বসুর
০২। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কী হয়?
ক রানারআপ খ চ্যাম্পিয়ন গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
০৩। ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা গোল্ডেন বল জেতেন কেন?
ক অধিনায়ক ছিলেন বলে খ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বলে
গ সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বলে ঘ প্রতিভাবান ফুটবলার ছিলেন বলে
০৪। ম্যারাডোনার মতো সফল হওয়ার জন্য আমাদের-
ক প্রচুর অর্থের মালিক হতে হবে খ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হতে হবে
গ সময়ের অপচয় করতে হবে ঘ আর্জেন্টিনায় যেতে হবে
০৫। অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফুটবল বিশ্বকাপ হয়ে থাকে-
ক প্রতিবছর খ এক বছর পর পর গ যখন ইচ্ছে তখন ঘ চার বছর পর পর

অনুচ্ছেদ-০৬

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর তখন ছিলেন পাকিস্তানের কারাকোরামে। সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটি নিলেন কয়েক দিনের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অতিক্রম করে পৌঁছান ভারতে। ভারতের মালদহ জেলার মেহদিপুরে অবস্থিত মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলেন। দেশ শত্রæমুক্ত হওয়ার দুদিন আগে বীরের মতো যুদ্ধ করে শহিদ হন তিনি। জাহাঙ্গীরের মতোই ভাবনা ছিল বৈমানিক মতিউর রহমানের। মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তিনি তখন ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিমান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে। ১৯৭১ সালের ২০শে আগস্ট করাচির মাশরুর বিমানঘাঁটি থেকে টি-৩৩ বিমান নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করলেন তিনি। সাথে পাকিস্তানি বৈমানিক মিনহাজ রশিদ। বিমান আকাশে ওঠার পর বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া নিয়ে মতিউরের সাথে মিনহাজের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে বিমানটি পাকিস্তানের থাট্টায় বিধ্বস্ত হয়। এভাবেই দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। ২০৬ সালে তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় ঢাকার শহিদ বুদ্ধিজীবী সমাধিস্থলে।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কিসের সিদ্ধান্ত নেন?
ক পাকিস্তানে থেকে যাওয়ার খ বৈমানিক হওয়ার গ মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার ঘ বিমান নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার
০২। মতিউর রহমান যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে শহিদ হন তার নাম কী?
ক সি-১৯৭১ খ টি-২০ গ সি-০৭ ঘ টি-৩৩
০৩। ‘অবস্থিত’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত?
ক স + ত খ স + হ গ স + থ ঘ স + দ
০৪। রাফিনের বড় ভাইয়া বিমান চালান। রাফিনের বড় ভাইয়া পেশায় -
ক ল্যান্স নায়েক খ সৈনিক গ বৈমানিক ঘ বিমানবালা
০৫। অনুচ্ছেদটিতে কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কথা খ বীরশ্রেষ্ঠদের দেশপ্রেমের কথা
গ মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ের বর্ণনা ঘ পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসার উপায়


অনুচ্ছেদ-০৭

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৯৫২ সালের ২৬এ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। ফলে ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। আওয়ামী মুসলিম লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মিলে তখন ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’ গঠন করে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’। ২০এ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় নুরুল আমিন সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১এ ফেব্রæয়ারি তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে এগিয়ে যায়। এই সংগ্রামে বহু ছাত্রছাত্রী ও জনতা আহত হয়, গ্রেফতার-বরণ করেন এবং রফিকউদ্দিন, জব্বার ও আবুল বরকত শহিদ হন। ২২এ ফেব্রুয়ারি সমগ্র জাতি বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ঢাকার রাজপথ হয়ে ওঠে উত্তাল। বহু হতাহতের সঙ্গে এই দিন শহিদ হন শফিকুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, কিশোর অহিউল্লাহ। ২৩এ ফেব্রæয়ারি শহিদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মিত হয়। পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে দেয়। আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিশেষে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখেন?
ক স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে খ ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ আহŸানের মাধ্যমে
গ ১৪৪ ধারা ভাঙার মাধ্যমে ঘ অনশন পালনের মাধ্যমে
০২। কাকে ভাষাশহিদ বলা যায়?
ক খাজা নাজিমউদ্দিনকে খ মহিউদ্দিন আহমদকে গ আব্দুল আউয়ালকে ঘ শেখ মুজিবুর রহমানকে
০৩। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
ক ভাষা আন্দোলনের কথা খ মুক্তিযুদ্ধের কথা
গ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের কথা ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের কথা
০৪। ২৩এ ফেব্রæয়ারির পর আন্দোলন তীব্রতর হয় কেন?
ক পুলিশ গণহত্যা চালানোয় খ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করায়
গ খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণায় ঘ শহিদ মিনার ভেঙে দেওয়ায়
০৫। আমরা বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। এটি কাদের অবদান?
ক মুক্তিযোদ্ধাদের খ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গ রাজাকার-আলবদরদের ঘ ভাষাশহিদদের

অনুচ্ছেদ-০৮

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তাঁত হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র, যা দিয়ে তুলা বা তুলা হতে উৎপন্ন সুতার মাধ্যমে কাপড় বানানো যায়। সাধারণত তাঁত নামক যন্ত্রটিতে সুতা কুণ্ডলী আকারে টানটান করে ঢুকিয়ে দেওয়া থাকে। যখন তাঁত চালু করা হয় তখন নির্দিষ্ট সাজ অনুসারে সুতা টেনে নিয়ে সেলাই করা হয়। তাঁতে কাপড় বোনা যার পেশা সে হলো তন্তুবায় বা তাঁতি। তাঁতশিল্পের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আদি বসাক স¤প্রদায়ের তাঁতিরাই আদিকাল থেকে তন্তুবায়ী গোত্রের লোক। এদেরকে এক শ্রেণির যাযাবর বলা চলে। শুরুতে এরা সিন্ধু অববাহিকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের কাজ শুরু করে। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়ায় শাড়ির মান ভালো না হওয়ায় চলে আসে বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। পরবর্তীকালে তারা নানা অংশে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, ঢাকার ধামরাই ইত্যাদি এলাকায়। বাংলাদেশের মণিপুরী স¤প্রদায়ের তাঁতশিল্পের বেশ সুনাম রয়েছে। নিজেদের বস্ত্রের চাহিদা মেটাতে এরা দীর্ঘকাল ধরে তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। শাড়ি, ওড়না, তোয়ালে, গামছাসহ নানা রকম শৌখিন বস্ত্র তৈরি করে মণিপুরীরা। বর্তমানে তাদের তৈরি তাঁতের নানা জিনিসপত্র বাঙালি সমাজে বেশ জনপ্রিয়।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
ক তাঁতিদের জীবন যাপনের কথা খ তাঁতে তৈরি জিনিসপত্র সম্পর্কে
গ বিভিন্ন আকারের তাঁত যন্ত্রের কথা ঘ তাঁতশিল্পের পরিচয় সম্পর্কে
০২। মুর্শিদাবাদ থেকে তাঁতিদের এদেশে আসার কারণ কী?
ক যুদ্ধ শুরু হওয়া খ প্রতিক‚ল আবহাওয়া গ ঠিকঠাক দাম না পাওয়া ঘ সুতার দাম বেড়ে যাওয়া
০৩। মণিপুরীরা দীর্ঘদিন ধরে মূলত কেন তাঁতে কাপড় বুনে আসছেন?
ক ব্যবসার জন্য খ নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে
গ বাঙালিদের প্রয়োজন মেটাতে ঘ এটি তাঁদের আদি পেশা বলে
০৪। ‘সুনাম’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
ক কুনাম খ দুর্নাম গ কুখ্যাত ঘ আনাম
০৫। ‘আদি বসাক স¤প্রদায়’- এখানে ‘আদি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে-
ক নতুনত্ব বোঝাতে খ প্রাচীনত্ব বোঝাতে গ কর্মদক্ষতা বোঝাতে ঘ বিশেষত্ব বোঝাতে


অনুচ্ছেদ-০৯

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর নির্দিষ্ট একটা শ্রæতিসীমা রয়েছে। এই সীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ আমাদের কানে এসে পৌঁছলে আমাদের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ বিষয়টিকেই আমরা শব্দদূষণ বলি। আমাদের পরিবেশে যদি অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দ থাকে, তখন তাকে শব্দদূষণ বলা হয়। যানবাহন, কলকারখানা, যন্ত্রপাতি, মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি ইত্যাদি কারণে তীব্র শব্দ উৎপন্ন হয়ে শব্দদূষণ ঘটায়। বাড়িতে উচ্চ শব্দে সিডি, টেলিভিশন ইত্যাদি বাজলে শব্দদূষণ হয়। কান যেকোনো শব্দের ব্যাপারে যথেষ্ট সংবেদী। তাই যে তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয় তা কানের পর্দাকে নষ্ট করেও দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর প্রভাব অনেক বেশি। শব্দদূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য এবং আচার-আচরণ উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের ফলে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো, বাড়িতে নানা রকম যন্ত্রপাতি জোরে না চালানো, অকারণে হইচই না করা, রাস্তাঘাটে মাইক না বাজানো ইত্যাদির প্রতি মনোযোগী হতে হবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারবে।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। শব্দদূষণ কখন ঘটে?
ক যখন অপ্রয়োজনীয় ও অনেক বেশি শব্দ সৃষ্টি হয় খ যখন খুব কম শব্দ হয়
গ যখন কোনো শব্দ শোনা যায় না ঘ যখন প্রয়োজনীয় ও সীমিত পরিমাণে শব্দ সৃষ্টি হয়
০২। ‘হ্রাস’ শব্দটির বিপরীত শব্দ কোনটি?
ক কম খ বৃদ্ধি গ উঁচু ঘ নিচু
০৩। অনুচ্ছেদে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক শব্দদূষণের উপকারী দিক খ শব্দদূষণের সমাধান
গ শব্দদূষণের অপকারিতা ঘ শব্দদূষণের কারণ
০৪। শব্দদূষণ কমানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি কোনটি?
ক গাড়ি চলা বন্ধ করা খ জনসচেতনতা সৃষ্টি গ কলকারখানা বন্ধ করা ঘ রাস্তায় বের না হওয়া
০৫। আমরা বাড়িতে উচ্চশব্দে গান বাজাব না। কেননা এতে-
ক গান ঠিকমতো বোঝা যায় না খ দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়
গ পরিবেশ দূষিত হয় ঘ সময় নষ্ট হয়

অনুচ্ছেদ-১০

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯এ আগস্ট ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পরিবারের সাথে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তাঁর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’তে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। কলকাতায় তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেওয়া’র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্তে¡ও প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জহির রায়হান তাঁর নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যাঁকে স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী অপহরণ করেছিল। জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মিরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সেদিন বিহারিরা ও ছদ্মবেশী পাকিস্তানি সৈন্যরা বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালালে এই স্বনামখ্যাত বুদ্ধিজীবী নিহত হন।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। গণ-অভ্যুত্থান কত সালে হয়েছিল?
ক ১৯৫২ সালে খ ১৯৫৯ সালে গ ১৯৬৯ সালে ঘ ১৯৭২ সালে
০২। ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে কোনটির প্রভাব লক্ষ করা যায়?
ক সিপাহি আন্দোলনের খ ভাষা আন্দোলনের গ গণ-অভ্যুত্থানের ঘ মুক্তিযুদ্ধের
০৩। নিচের কাদেরকে বিশ্বাসঘাতক বলা যায়?
ক মুক্তিযোদ্ধা খ পাকবাহিনী গ আলবদর ঘ বিহারি
০৪। শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণ করেছিল কারা?
ক রাজাকাররা খ আলবদর বাহিনী গ পাকিস্তানি বাহিনী ঘ বিহারিরা
০৫। অনুচ্ছেদে মূলত বলা হয়েছে জহির রায়হানের-
ক শৈশব সম্পর্কে খ জীবন ও কাজ সম্পর্কে গ দানশীলতা সম্পর্কে ঘ বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে

অনুচ্ছেদ-১১

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে \
জানি নে তোর ধনরতন
আছে কি না রানির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে \
কোন বনেতে জানি নে ফুল
গন্ধে এমন করে আকুল,
কেন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে \
আঁখি মেলে তোমার আলো
প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে \


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। বাংলাদেশকে সকল দেশের রানি বলা যায়-
ক ধনরতœ আছে বলে খ এদেশে অনেক মানুষ বলে
গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে ঘ বিশ্বকে শাসন করে বলে
০২। কবিতাংশের কোন শব্দটির সাথে ‘চোখ’ শব্দটির অর্থ মিলে যায়?
ক অঙ্গ খ নয়ন গ জনম ঘ হাসি
০৩। কবিতাংশের মূলভাব হলো-
ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা খ জন্মভ‚মির প্রতি ভালোবাসা
গ জননীর স্নেহের কথা ঘ মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা
০৪। কবিতাংশে উল্লেখিত ‘মা’ হচ্ছেন কবির-
ক জন্মদাত্রী মা খ মাতৃভাষা গ মাতৃভ‚মি ঘ সৎমা
০৫। কোনটি করতে পারলে আমাদের জন্ম সার্থক হবে?
ক দেশের জন্য কাজ করতে পারলে খ দেশের বাইরে যেতে পারলে
গ নয়ন মুদতে পারলে ঘ ধনরতন সংগ্রহ করতে পারলে


অনুচ্ছেদ-১২

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এক দেশে এক রাজা ছিলেন। তাঁর ছিল এক রানি ও তিন কন্যা। রাজ্যে সুখ ও শান্তি বিরাজ করছিল। রাজা একদিন তিন কন্যাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? প্রথম দুই কন্যা যথাক্রমে চিনি ও মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের ভালোবাসার কথা বলল। রাজা তাদের ওপর সন্তুষ্ট হলেন। কিন্তু ছোট কন্যা পারুল রাজার প্রতি তার ভালোবাসাকে নুনের সঙ্গে তুলনা করলে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে বনবাসে পাঠালেন। গহিন অরণ্যে পরিরা ও বনের জীবজন্তু তার সঙ্গী হলো। একদিন রাজা শিকারে এলেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তিনি ছোট কন্যার কুটিরে খেতে বসলেন। পরিদের সাহায্য নিয়ে পারুল পোলাও, কোরমা, রেজালাসহ অনেক ধরনের খাবার রান্না করেছিল। কিন্তু সব খাবারই ছিল নুন ছাড়া। ফলে খাবার হলো বেজায় বিস্বাদ। রাজা কোনো খাবার মুখেই তুলতে পারলেন না। বিস্বাদ খাবারের জন্য রাজা খুব বিরক্ত হলেন। তখন পারুল নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, ‘বাবা, আমাকে চিনতে পারছেন? মনে আছে, আমি বলেছিলামÑ আপনাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি।’ এ কথায় রাজার ভুল ভাঙল। তিনি ছোট কন্যাকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। সবাই খুশি হলো। রাজার পরিবারে ও রাজ্যে সুখ-শান্তি ফিরে এলো।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। রাজা কোনো খাবার খেতে পারলেন না কেন?
ক ক্ষিধে ছিল না বলে খ চিনির অভাব ছিল বলে গ নুন বেশি হয়েছিল বলে ঘ নুনের অভাব ছিল বলে
০২। অনুচ্ছেদটি পড়ে বলা যায়-
ক রাজারা সবসময় সুখে থাকেন খ নুনের সাথে কাউকে তুলনা করা উচিত নয়
গ নুন খাবারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান ঘ রাজারা কখনো ভুল করেন না
০৩। ‘খাওয়ার ইচ্ছা’-এককথায় প্রকাশ কোনটি?
ক ক্ষুধা খ ক্ষুধার্ত গ খাদক ঘ খাতক
০৪। অনুচ্ছেদটি পড়ে আমরা কী সম্পর্কে ধারণা পাই?
ক কবিতা লেখার নিয়ম খ রূপকথার গল্প গ প্রবন্ধ রচনার নিয়ম ঘ হাস্যরসাত্মক নাটিকা
০৫। পারুল রান্নায় নুন ব্যবহার করেনি কেন?
ক প্রয়োজন ছিল না বলে খ ক্ষতিকর বলে
গ রাজাকে নুনের গুরুত্ব বোঝাতে ঘ রাজার ওপর রাগ করে

অনুচ্ছেদ-১৩

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পানিতে ক্ষতিকর কোনো কিছু মিশে থাকলে সে পানিকে দূষিত পানি বলা হয়। পানি পরিষ্কার দেখা গেলেও সব সময় তা নিরাপদ নাও হতে পারে। টলটলে পুকুরের পানিও দূষিত হতে পারে। খালি চোখে দেখা যায় না এমন জীবাণু বা ক্ষতিকর পদার্থ এতে মিশে থাকতে পারে। নলক‚পের পানি সাধারণত নিরাপদ। তবে আমাদের দেশে কিছু কিছু নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক নামক বিষাক্ত পদার্থ মিশে আছে। পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না। তবে নলক‚পের পানি পরীক্ষা করে বোঝা যায় তাতে আর্সেনিক আছে কি না। যেসব নলক‚পের পানিতে আর্সেনিক আছে, সেই নলক‚পগুলোকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব নলক‚পের পানি পান করা যাবে না। আর সবুজ দাগ থাকার অর্থ-এর পানি নিরাপদ। দূষিত পানি জীবনের জন্য খুব ক্ষতিকর। দূষিত পানি পান করলে আমরা কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডায়রিয়া Ñ এসব পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারি। পেটের পীড়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করলে হাত-পায়ে এক ধরনের ক্ষত বা ঘা তৈরি হয়, যা আর্সেনিকোসিস রোগ নামে পরিচিত। এ রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ ধরা পড়লে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করা বন্ধ করলেই সুস্থ হওয়া যেতে পারে। এ রোগ সংক্রামক নয়, অর্থাৎ আর্সেনিকোসিস রোগীদের কাছে গেলে অন্যদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা নেই।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। কোনো নলক‚পের গায়ে লাল রং করা দেখলে কী বুঝবে?
ক পানি নিরাপদ খ পানি আর্সেনিকমুক্ত গ পানি খাওয়া যাবে ঘ পানি আর্সেনিকযুক্ত
০২। আর্সেনিকযুক্ত পানি পানের কারণে কোন রোগ হয়?
ক আর্সেনিকস খ আর্সেনসিস গ আর্সেনিকোসিস ঘ আর্সিনেকোসিস
০৩। আমরা আর্সেনিকোসিসে আক্রান্তদের সাথে কেমন আচরণ করব?
ক তাদের থেকে দূরে থাকব খ তাদের সেবা করব
গ তাদের আর্সেনিকযুক্ত পানি খাওয়াব ঘ তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করব
০৪। আর্সেনিক কী?
ক এক ধরনের রোগ খ এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ গ এক ধরনের জীবাণু ঘ এক ধরনের ওষুধ
০৫। নিচের কোনটি পানিবাহিত রোগ নয়?
ক আমাশয় খ কলেরা গ ক্যান্সার ঘ ডায়রিয়া


অনুচ্ছেদ-১৪

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। আমাদের প্রাত্যহিক প্রয়োজন মেটাতে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। গাছ থেকেই আমরা পাই খাদ্য, বস্ত্র তৈরির উপাদান, বাসগৃহ ও আসবাবপত্র নির্মাণের কাঠ। গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের জোগান দেয়। আমরা নিঃশ্বাসের সাথে যে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি তা গাছ গ্রহণ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করে। বৃক্ষ ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধেও ভ‚মিকা রাখে। একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভ‚মি প্রয়োজন হলেও আমাদের আছে মাত্র ১৭ ভাগ। যা আছে তাও মানুষের লোভের কারণে দ্রæত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। অবাধে গাছ কেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ না লাগালে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
ক নানা ধরনের গাছপালা সম্বন্ধে খ গাছপালার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে
গ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে ঘ পরিবেশ দূষণ সম্বন্ধে
০২। কোনটি ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারব না?
ক কার্বন ডাই-অক্সাইড খ কাঠ গ অক্সিজেন ঘ বস্ত্র
০৩। বৃক্ষ শব্দে ‘ক্ষ’ যুক্ত বর্ণটিতে নিচের কোন বর্ণগুলো রয়েছে?
ক খ + অ খ ক + ষ গ ক + অ ঘ খ + ষ
০৪। একটি দেশের মোট আয়তনের কত ভাগ বনভ‚মি থাকা উচিত?
ক শতকরা ২০ ভাগ খ শতকরা ২৫ ভাগ গ শতকরা ৩০ ভাগ ঘ শতকরা ৩৫ ভাগ
০৫। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের কী করা উচিত?
ক নদী ভরাট করা খ বেশি করে গাছ কাটা গ বেশি করে গাছ লাগানো ঘ বনভ‚মি উজাড় করা

অনুচ্ছেদ-১৫

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পাহাড়পুর বিহারের আরেক নাম ‘সোমপুর বিহার’। এটি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ‘পাহাড়পুর’ গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ১৪শ বছর আগে বৌদ্ধধর্মের ভিক্ষুগণ এখানে থেকে ধর্মচর্চা করতেন আর শিষ্যদের শিক্ষা দিতেন। প্রকাণ্ড এই কীর্তি একসময় খালি পড়ে থাকে। ধারণা করা হয়, যুগ যুগ ধরে ধুলাবালি ও মাটি উড়ে এসে এর চারদিকে জমে। একসময় এটি মাটির স্তূপে ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায় বলে এর নাম পাহাড়পুর। মহাস্থানগড় বগুড়া জেলা থেকে ৮ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত। ধর্মীয় দিক থেকে মহাস্থানগড় হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে টিলার মতো উঁচু দেখতে গোবিন্দভিটা নামের একটি প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই প্রতœস্থলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। এ নগরের প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন, যাকে এখন পুণ্ড্রনগরও বলা হয়। ধ্বংসাবশেষ খনন করে এখানে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের নিদর্শনও পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের এ ধরনের পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পাহাড়পুর, ময়নামতি ও মহাস্থানগড়ে এ ধরনের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতœতত্ত¡ নিদর্শন থেকে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে এই জাদুঘর। আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই ইতিহাসখ্যাত স্থানসমূহ পরিদর্শন করার মাধ্যমে তাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারে।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। সোমপুর বিহার দেখতে হলে তোমাকে বাংলাদেশের কোন বিভাগে যেতে হবে?
ক ঢাকা খ রাজশাহী গ সিলেট ঘ খুলনা
০২। মহাস্থানগড়ের আদি নাম কী?
ক সোমপুর বিহার খ পন্ড্রবর্ধন গ রাজবন বিহার ঘ গোবিন্দভিটা
০৩। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে-
ক প্রতœস্থলগুলো সংরক্ষণ করলে খ প্রতœস্থলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ করালে
গ প্রতœস্থলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করলে ঘ প্রতœস্থলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখলে
০৪। গোবিন্দভিটার পাশ দিয়ে কোন নদীটি বয়ে গেছে?
ক যমুনা খ মেঘনা গ সুরমা ঘ করতোয়া
০৫। জাদুঘর প্রতœনিদর্শন কাদের জ্ঞানার্জনে সহায়তা করে?
ক মুক্তিযোদ্ধা খ নতুন প্রজন্ম গ শিক্ষক ঘ পর্যটক

অনুচ্ছেদ-১৬

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল
মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানি।
এই শস্য-শ্যামল ফসল ভরা
মাঠের ডালি খানি
খোদা তোমার মেহেরবানি।
তুমি কতই দিলে রতন
ভাই-বেরাদার পুত্র-স্বজন,
ক্ষুধা পেলে অন্ন জোগাও।
মানি চাই না মানি।
খোদা তোমার মেহেরবানি।
খোদা! তোমার হুকুম তরক করি
আমি প্রতি পায়,
তবু আলো দিয়ে বাতাস দিয়ে
বাঁচাও এ বান্দায়।
শ্রেষ্ঠ নবি দিলে মোরে
তরিয়ে নিতে রোজ-হাশরে,
পথ না ভুলি তাইতো দিলে
পাক কোরানের বাণী \


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। কবিতাংশে নদীর পানি কেমন বলা হয়েছে?
ক তেতো খ টক গ মিঠা ঘ নোনতা
০২। কোনটি ‘বাতাস’ শব্দের সমার্থক?
ক পবন খ গগন গ নিশি ঘ অপরাহ্ণ
০৩। কোন কাজটি করে আমরা ভুল করি?
ক ক্ষুধা পেলে অন্ন খেয়ে খ খোদার গুণগান করে
গ আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক রেখে ঘ খোদার হুকুম ভঙ্গ করে
০৪। কবিতাংশে মূলত কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক সৃষ্টিকর্তার উদারতার কথা খ সৃষ্টিকর্তার হুকুম মানার কথা
গ আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বন্ধনের কথা ঘ পৃথিবীর সৌন্দর্যের কথা
০৫। আমরা ভুল করলে খোদা আমাদের মাফ করে দেন। এটি খোদার-
ক মেহেরবানি খ শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ গ ক্ষমতার প্রকাশ ঘ অনিচ্ছাকৃত

অনুচ্ছেদ-১৭

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ব্রজেন দাস একজন স্বনামধন্য বাংলাদেশি সাঁতারু। তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি যিনি সাঁতার কেটে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মাঝে অবস্থিত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। ১৯৫৮ সালের ১৮ই আগস্ট তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ১৯৫৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমের সাঁতার প্রতিযোগিতায় মোট ২৩টি দেশ অংশ নেয়। পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তাতে অংশ নেন ব্রজেন দাস। ১৮ই আগস্ট প্রায় মধ্যরাতে ফ্রান্সের তীর থেকে প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। প্রচণ্ড প্রতিক‚ল পরিবেশে সাঁতার কেটে তিনি পরদিন বিকেলবেলা প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংল্যান্ড তীরে এসে পৌঁছান। পরের মাসেই তিনি ইংলিশ চ্যানেলকে ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে সাঁতার কেটে পার করেন। ১৯৬১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডের মাঝে চ্যানলটিকে সবচেয়ে কম সময়ে মাত্র ১০ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে পার হয়ে তখনকার সময়ে বিশ্বরেকর্ড করেন। ব্রজেন দাস ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ ও ১৯৬১ সালে মোট ছয়বার এই চ্যানেলটি পাড়ি দেন। অনন্য কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ‘প্রাইড অফ পারফরম্যান্স’ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৬ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে লাভ করেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৯৯ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত করে।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। ব্রজেন দাস কত সালে ইংলিশ চ্যানেল সবচেয়ে কম সময়ে পাড়ি দেন?
ক ১৯৫৮ সালে খ ১৯৫৯ সালে গ ১৯৬০ সালে ঘ ১৯৬১ সালে
০২। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোটা সময় ব্রজেন দাসকে কী করতে হয়েছে?
ক নৌকা চালাতে হয়েছে খ সাঁতার কাটতে হয়েছে গ জাহাজে থাকতে হয়েছে ঘ প্যারাসুটে থাকতে হয়েছে
০৩। ব্রজেন দাস সম্পর্কে কোনটি বলা যায়?
ক বিশিষ্ট দৌড়বিদ খ একুশে পদকপ্রাপ্ত গ বাঙালির গর্ব ঘ কৃতী ছাত্র
০৪। ব্রজেন দাস মোট কয়বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন?
ক ৪ বার খ ৬ বার গ ৮ বার ঘ ১০ বার
০৫। ব্রজেন দাসের মতো সাফল্য পেতে হলে কী প্রয়োজন?
ক দেশ ভ্রমণ খ বিশেষ পরিচিতি গ পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় ঘ প্রচুর টাকা

অনুচ্ছেদ-১৮

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমারে চেনো না? আমি যে কানাই।
ছোকানু আমার বোন।
তোমার সঙ্গে বেড়াবো আমরা
মেঘনা, পদ্মা, শোন।
সব নাও, মাঝি, চকচকে সিকি
এই আনি দুটো, তাও।
ল²ী তো, মোরে-আর ছোকানুরে
নৌকায় তুলে নাও।
শুয়ে-শুয়ে দেখি অবাক আকাশ,
আকাশ মÑস্ত বড়ো,
পৃথিবীর সব নীল রং বুঝি
সেখানে করেছে জড়ো।
সারাদিন গেলো, সূর্য লুকালো
জলের তলার ঘরে,
সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল
কালো হলো তার পরে
সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটে ওঠেÑ
এবার নামাও পাল,
গান ধরো, মাঝি; জলের শব্দ
ঝুপঝুপ দেবে তাল।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। ছোকানু কানাইয়ের কী হয়?
ক ভাই খ বন্ধু গ বোন ঘ শিক্ষক
০২। কোনটি ‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক?
ক দিবাকর খ শশী গ যামিনী ঘ দিবস
০৩। কানাই কখন মাঝিকে গান গাইতে বলে?
ক আকাশে মেঘ জমলে খ সূর্য অস্ত গেলে গ বৃষ্টি হলে ঘ সূর্যের উদয় হলে
০৪। কানাই কী দেখে আশ্চর্য হয়?
ক ঘন নীল আকাশ খ পদ্মা, মেঘনা, শোন গ সূর্যের অস্ত যাওয়া ঘ চকচকে নতুন সিকি
০৫। কবিতাংশে মূলত প্রকাশিত হয়েছে-
ক নৌভ্রমণের বাসনা খ শরতের আকাশের বর্ণনা গ ভাইবোনের ভালোবাসা ঘ নদীর সৌন্দর্যের কথা

অনুচ্ছেদ-১৯

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আয়নার মতো স্বচ্ছ পানি ১৫০ ফুট ওপর থেকে পাহাড়ের শরীর বেয়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথরের গায়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি জলকণা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। দৃশ্যটি মৌলভীবাজারের নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাতের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে একে হাম্মাম বলে ডাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা আদিবাসীরা বলেন, এখানে পানি পতনের স্থানে একসময় পরিরা গোসল করত। গোসলখানার আরবি নাম হাম্মাম। আবার জলের স্রোতধ্বনিকে ত্রিপুরাদের টিপরা ভাষায় হাম্মাম বলে। তাই এ জলপ্রপাতটি হাম্মাম নামে পরিচিত। জলপ্রপাতের চারদিকের শীতল প্রাকৃতিক পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানোর উপায়ই থাকে না। জঙ্গলে উল্লুক, বানর, আর হাজার রকমের প্রজাতির পাখির ডাকাডাকি জলপ্রপাতের শব্দের সাথে মিলে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ। অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত দুর্গম এ জলপ্রপাতটি বহুদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগের অভাবে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। প্রচার-প্রচারণার অভাবও এর অন্যতম কারণ। এখনও খুব বেশি মানুষ এ জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। ‘টিপরা’ কী?
ক বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা খ ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষা
গ ত্রিপুরাদের ভাষায় জলপ্রপাতের নাম ঘ গোসলখানার অন্য নাম
০২। ‘রোমাঞ্চকর’ শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত?
ক ন+চ খ ঞ+চ গ ন+ঞ+চ ঘ ঞ+জ
০৩। কোনটি করলে হামহাম জলপ্রপাত দেখতে আরও বেশি মানুষ আসবে?
ক খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করলে খ ছবি তোলার অনুমতি দিলে
গ রাস্তাঘাট উন্নত করলে ঘ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করলে
০৪। এক সময় হামহাম জলপ্রপাতে কারা গোসল করত বলে জনশ্রæতি রয়েছে?
ক পরিরা খ রাজা-বাদশাহগণ গ শ্রমিকেরা ঘ পর্যটকেরা
০৫। মৌলভীবাজার দেশের কোন বিভাগে অবস্থিত?
ক ঢাকা খ চট্টগ্রাম গ খুলনা ঘ সিলেট

অনুচ্ছেদ-২০

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক গৌরবময় দিন। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে এই দিনে আমরা শত্রæমুক্ত স্বদেশ লাভ করি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসন-শোষণের অবসান হয় ১৯৪৭ সালে। জন্ম হয় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। আজকের বাংলাদেশের নাম তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ব্রিটিশদের পর আমরা আবার পশ্চিম পাকিস্তানি স্বৈরাচারীদের হাতে নতুন করে পরাধীন হলাম। একই দেশের নাগরিক হয়েও সম-অধিকার পাওয়া তো দূরের কথা বরং আমরা শিকার হই নির্যাতন, নিষ্পেষণের। এমনকি আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলার ওপরও আঘাত আসে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৫২ সালে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার লাভ করি। এরপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এসে পৌঁছাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ক্ষণে। বঙ্গবন্ধুর আহŸানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শত্রæমুক্ত করার মরণপণ সংগ্রামে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। ব্রিটিশদের পর আমরা কাদের অত্যাচারের শিকার হয়েছি?
ক বাঙালি শাসকদের খ পাকিস্তানি শাসকদের গ ইংরেজ শাসকদের ঘ ভারতীয় শাসকদের
০২। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষার স্বীকৃতি লাভ করে কত সালে?
ক ১৯৪৭ সালে খ ১৯৫২ সালে গ ১৯৫৭ সালে ঘ ১৯৭১ সালে
০৩। বাংলাদেশের পূর্ব নাম কী?
ক পাকিস্তান খ পূর্ব পাকিস্তান গ পশ্চিম পাকিস্তান ঘ পূর্ববাংলা
০৪। অনুচ্ছেদে মূলত প্রকাশিত হয়েছে-
ক ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস খ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
গ পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা ঘ মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা
০৫। ‘বঙ্গবন্ধু’ কার উপাধি?
ক এ কে ফজলুল হকের খ শেখ মুজিবুর রহমানের গ মওলানা ভাসানীর ঘ তাজউদ্দীন আহমদের

অনুচ্ছেদ-২১

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত স্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাল্যকালে তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ ছিল না। গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৮৭৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডে যান আইনবিদ্যা পড়তে। সেখানে তিনি আইনবিদ্যা পড়া শুরুও করেছিলেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে পড়াশোনা সমাপ্ত করতে পারেন নি। ১৮৮০ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং সাহিত্য সাধনায় মনোনিবেশ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভ‚ষিত করে। তবে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ১৯১৯ সালে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা আয়তনে ব্যাপক। বলাকা, সোনার তরী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। তাঁর ছোটগল্প ও গানসমূহ যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতানে সংকলিত হয়েছে। তাঁর যাবতীয় রচনাগুলো ৩২ খণ্ডে ‘রবীন্দ্র রচনাবলি’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট, বাংলা ১৩৪৮ সনের ২২শে শ্রাবণ মৃত্যুবরণ করেন।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। অনুচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে-
ক বিশ্বকবির দেশপ্রেমের কথা খ বিশ্বকবির স্বপ্নের কথা
গ বিশ্বকবির জীবন ও কর্মের কথা ঘ বিশ্বকবির কবিতার কথা
০২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী কবে পালন করা হয়?
ক ৭ই জানুয়ারি খ ৭ই এপ্রিল গ ৭ই মে ঘ ৭ই আগস্ট
০৩। ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে কোনটি দিয়ে সম্মানিত করে?
ক ‘নোবেল’ পুরস্কার দিয়ে খ ‘বিশ্বকবি’ উপাধি দিয়ে
গ ‘নাইট’ উপাধি দিয়ে ঘ ‘সর্বশ্রেষ্ঠ’ সাহিত্যিক উপাধি দিয়ে
০৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-
ক এশিয়ার একমাত্র নোবেল বিজয়ী খ বিশ্বের প্রথম নোবেল বিজয়ী
গ সাহিত্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী ঘ প্রথম এশীয় নোবেল বিজয়ী
০৫। ‘পুনশ্চ’ শব্দের যুক্তবর্ণ দ্বারা গঠিত শব্দ কোনটি?
ক বঞ্চিত খ আশ্চর্য গ শ্মশান ঘ বিশ্ব

অনুচ্ছেদ-২২

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১৯৭১ সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি হানাদারেরা রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বিচারে নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা চালাতে থাকে। এ কাজে তাদের সহায়তা করে আলবদর, আল-শামস ও রাজাকারের দল। গ্রামে-গঞ্জে-শহরে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-পুলিশ-আনসার সবাই মিলে শত্রæর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মোট এগারোটি সেক্টরে ভাগ হয়ে সারা দেশে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী একসঙ্গে আক্রমণ শুরু করে। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ১৪ই ডিসেম্বর তারা এদেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকবাহিনী রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। ত্রিশ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রাণের স্বাধীনতা।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ।
০১। আলবদর, আল-শামস, রাজাকারদের কোনটি বলা যায়?
ক দেশপ্রেমিক খ মুক্তিযোদ্ধা গ বুদ্ধিজীবী ঘ বিশ্বাসঘাতক
০২। কোন দিনটিতে আমরা উল্লাস করতে পারি?
ক ২১এ ফেব্রæয়ারি খ ২এ মার্চ গ ১৪ই ডিসেম্বর ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
০৩। অনুচ্ছেদে কী প্রকাশিত হয়েছে?
ক ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস খ মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা
গ স্বাধীনতা লাভের আনন্দ ঘ বীরশ্রেষ্ঠদের বীরগাথা
০৪। পাক হানাদাররা ১৪ই ডিসেম্বর হত্যা করেছিল-
ক অসংখ্য বুদ্ধিজীবী খ অসংখ্য আইনজীবী গ অসংখ্য সাংবাদিক ঘ অসংখ্য স্থানীয় নেতা
০৫। মুক্তিযুদ্ধে এদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
ক ৯টি খ ১০টি গ ১১টি ঘ ১২টি

অনুচ্ছেদ-২৩

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমাদের ছোটো গ্রাম মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ
মাঠ ভরা ধান আর জল ভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি।
আমগাছ জামগাছ বাঁশঝাড় যেন,
মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন।
সকালে সোনার রবি পূর্ব দিকে ওঠে
পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে।


👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। গ্রামটি কেমন?
ক সুন্দর খ চমৎকার গ বড় ঘ ছোটো
০২। গ্রামটি কার সমান?
ক ভাইয়ের খ বোনের গ মায়ের ঘ আত্মীয়ের
০৩। জলভরা কী?
ক ঘড়া খ ডোবা গ নদী ঘ দিঘি
০৪। কিসের কিরণ লাগে?
ক চাঁদের খ সূর্যের গ রবির ঘ বাতির
০৫। রবি কোন দিকে ওঠে?
ক পশ্চিম খ পূর্ব গ দক্ষিণ ঘ উত্তর

অনুচ্ছেদ-২৪

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হযরত আবু বকর (রা) ছিলেন খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম খলিফা। ৫৭৩ খিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের তাইম গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকে আবু বকর (রা) কোমল হৃদয় ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি বড় কবি, সুবক্তা ও দানশীল ছিলেন। নবিজির দাওয়াত পেয়ে আবু বকর (রা) পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে আবু বকর (রা) নবিজির সঙ্গে ছায়ার মতো থাকতেন। তিনি ছিলেন সাহসী ও প্রভাবশালী। আবু বকর (রা) ছিলেন গরিবের বন্ধু। নিঃস্ব, দুঃখী ও অভাবী মানুষের আপনজন ছিলেন তিনি। আবু বকর (রা) ছিলেন দায়িত্বশীল মানুষ। মহৎ আবু বকর (রা) ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


👉সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। খোলাফায়ে রাশেদিনের প্রথম খলিফা কে?
ক হযরত আবু বকর (রা) খ হযরত উমর (রা) গ হযরত আলী (রা) ঘ হযরত ওসমান (রা)
০২। হযরত আবু বকর (রা) কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে খ ৬৭২ খ্রিষ্টাব্দে গ ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দে
০৩। পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন কে?
ক হযরত আলী (রা) খ হযরত আবু বকর (রা) গ হযরত ওমর (রা) ঘ হযরত ওসমান (রা)
০৪। আবু বকর (রা) কার সঙ্গে ছায়ার মতো থাকতেন?
ক কুহাফা উসমানের সাথে খ নবিজির সাথে গ হযরত ওমর (রা)-এর সাথে ঘ মাতা সালমার সাথে
০৫। আবু বকর (রা) কখন মারা যান?
ক ৬০ খ্রিষ্টাব্দে খ ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে গ ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে

অনুচ্ছেদ-০১

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বই মানুষের জীবনের সর্বোত্তম বন্ধু। তোমার অনেক ভালো বন্ধু থাকতে পারে কিন্তু প্রয়োজনের সময় তুমি নাও পেতে পার। তারা তোমার সাথে ভদ্রভাবে কথা নাও বলতে পারে। দুই একজন মিথ্যাও প্রমাণিত হতে পারে এবং তোমাকে ক্ষতিও করতে পারে। কিন্তু বই সর্বদাই তোমার পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত আছে। কিছু কিছু বই তোমাকে হাসাবে, কিছু কিছু বই তোমাকে আনন্দ দিবে আবার কিছু কিছু তোমাকে জ্ঞান এবং নতুন ধারণা দিবে এবং তোমাকে মহৎ করে তুলবে। তারা সারা জীবনব্যাপী তোমার বন্ধু।

 
👉 সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখ:
০১। কে তোমার ক্ষতি করতে পারে?
ক বন্ধুরা খ সহকর্মীরা গ বই ঘ সহপাঠীরা
০২। কে সর্বদা তোমার পাশে থাকতে প্রস্তুত?
ক প্রকৃত বন্ধুরা খ বই গ শিক্ষকেরা ঘ প্রতিবেশীরা
০৩। বই কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়?
ক জ্ঞানের বাহন খ লাইব্রেরির সৌন্দর্য গ ঘরের সৌন্দর্য ঘ ছাত্রশিক্ষকের দিকনির্দেশক
০৪। শিক্ষক বললেন, ‘বেশি বেশি খেলাধুলা করবে এবং বই পাঠ করবে’- জ্ঞানের জন্য তুমি কোনটি বেচে নিবে?
ক ফুটবলা খেলা খ বই পড়া গ ক্রিকেট খেলা ঘ ব্যায়াম করা
০৫। তুমি ছাত্র, তোমার জন্মদিনে একজন বই উপহার দিল, অন্যরা হাসাহাসি করতে লাগলো, এ উপহারটি তুমি কোন দৃষ্টিতে দেখবে?
ক মহান উপহার খ সামান্য উপহার গ কোন উপহারের যোগ্য নয় ঘ তামাসার উপহার
০৬। তোমার মতে কারো উপহার দিতে হলে কোন উপহারটি বেছে নিবে?
ক সোনার জিনিস খ বই গ শাড়ি-গাড়ি ঘ টাকা-পয়সা


বৃত্তি পরীক্ষার সকল বিষয়ের সাজেশন দেখুন এখানে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন